ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরের তুলশীমালা ধান জি.আই পণ্যের স্বীকৃতি পেল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
  • ১০০ বার

শেরপুরের তুলশীমালা ধান/চাল পেলো জি.আই পণ্যের স্বীকৃতি। শেরপুর জেলা প্রশাসনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তুলশীমালা ধান/চাল জেলার জি.আই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

সোমবার রাতে শেরপুরের বাহারি সুগন্ধি চাল তুলশীমালা জি.আই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বীকৃতির অনুমোদনের একটি কপি শেরপুর জেলা প্রশাসনের ‘ডিসি শেরপুর’ ফেইসবুক পেইজে পোস্ট করার পরে সুসংবাদটি জেলাব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে।

এরপরই ওই পেইজে অভিনন্দন বার্তা জানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান শতশত লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করে চলেছেন। ডিসি শেরপুর ফেসবুক পেইজে উল্লেখ করা হয়- ‘একটি উদ্যোগের সফল পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে। আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে জেলা প্রশাসন শেরপুরের আবেদনের প্রেক্ষিতে তুলশীমালা ধান জেলার জি.আই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ এর পরেই শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকলেকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাসহ কৃতজ্ঞতা জানানোর ধুম পড়ে যায়।

এ বিষয়ে কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতরাধীন শেরপুর খামার বাড়ির উপপরিচালক কৃষিবিদ সুকল্প দাস বলেন, জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং কৃষি বিভাগের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ তুলশীমালা ধান/চাল জি.আই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি জেলাবাসীর জন্য সুসংবাদ ও সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বটে। তিনি জানান, এবছর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি প্যাকেটে এক কেজি করে ১১ হাজার কেজি (১১ হাজার প্যাকেট) তুলশীমালা চাল বাজারজাত করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তুলশীমালা চালের গুণাগুণ উল্লেখ করা হয়েছে। উপপরিচালক কৃষিবিদ সুকল্প দাস আরো বলেন, জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার সাত হাজার হেক্টর জমিতে তুলশীমালা ধানের আবাদ করা হয়েছিলো। বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রায় ১০ হাজার মেট্রিকটন তুলশীমালা চাল পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে শেরপুরের উৎপাদিত তুলশীমালা চাল বিদেশে রফতানির লক্ষে কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

শেরপুরের তুলশীমালাকে জি.আই পণ্যের অন্তর্ভুক্ত করার যাত্রা এবং সে প্রচেষ্টার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সাফল্য অর্জন করায় ফেইসবুক ব্যবহারকারী অগণিত লোকজন শেরপুর জেলা প্রশাসনকে বিভিন্ন ভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন, যার ধারা অব্যাহত আছে। এই সংবাদটি শেরপুরবাসীর জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গৌরবের। এতোদিন শেরপুরকে মানুষ যে ভাবেই চিনে থাকুক না-কেন; আজ থেকে শেরপুর জেলাকে সবাই তুলশীমালার জেলা হিসেবে একনামে চিনবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

শেরপুরের তুলশীমালা ধান জি.আই পণ্যের স্বীকৃতি পেল

আপডেট টাইম : ১০:১৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

শেরপুরের তুলশীমালা ধান/চাল পেলো জি.আই পণ্যের স্বীকৃতি। শেরপুর জেলা প্রশাসনের আবেদনের প্রেক্ষিতে তুলশীমালা ধান/চাল জেলার জি.আই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

সোমবার রাতে শেরপুরের বাহারি সুগন্ধি চাল তুলশীমালা জি.আই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বীকৃতির অনুমোদনের একটি কপি শেরপুর জেলা প্রশাসনের ‘ডিসি শেরপুর’ ফেইসবুক পেইজে পোস্ট করার পরে সুসংবাদটি জেলাব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে।

এরপরই ওই পেইজে অভিনন্দন বার্তা জানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান শতশত লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট করে চলেছেন। ডিসি শেরপুর ফেসবুক পেইজে উল্লেখ করা হয়- ‘একটি উদ্যোগের সফল পরিসমাপ্তি ঘটতে চলেছে। আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে জেলা প্রশাসন শেরপুরের আবেদনের প্রেক্ষিতে তুলশীমালা ধান জেলার জি.আই পণ্য হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক চুড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’ এর পরেই শিল্প মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকলেকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছাসহ কৃতজ্ঞতা জানানোর ধুম পড়ে যায়।

এ বিষয়ে কৃষি সস্প্রসারণ অধিদফতরাধীন শেরপুর খামার বাড়ির উপপরিচালক কৃষিবিদ সুকল্প দাস বলেন, জেলা প্রশাসকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং কৃষি বিভাগের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ তুলশীমালা ধান/চাল জি.আই পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটি জেলাবাসীর জন্য সুসংবাদ ও সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বটে। তিনি জানান, এবছর কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি প্যাকেটে এক কেজি করে ১১ হাজার কেজি (১১ হাজার প্যাকেট) তুলশীমালা চাল বাজারজাত করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় তুলশীমালা চালের গুণাগুণ উল্লেখ করা হয়েছে। উপপরিচালক কৃষিবিদ সুকল্প দাস আরো বলেন, জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার সাত হাজার হেক্টর জমিতে তুলশীমালা ধানের আবাদ করা হয়েছিলো। বাম্পার ফলন হওয়ায় প্রায় ১০ হাজার মেট্রিকটন তুলশীমালা চাল পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে শেরপুরের উৎপাদিত তুলশীমালা চাল বিদেশে রফতানির লক্ষে কৃষি বিভাগ কাজ করছে বলেও তিনি জানান।

শেরপুরের তুলশীমালাকে জি.আই পণ্যের অন্তর্ভুক্ত করার যাত্রা এবং সে প্রচেষ্টার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে সাফল্য অর্জন করায় ফেইসবুক ব্যবহারকারী অগণিত লোকজন শেরপুর জেলা প্রশাসনকে বিভিন্ন ভাবে অভিনন্দন জানিয়েছেন, যার ধারা অব্যাহত আছে। এই সংবাদটি শেরপুরবাসীর জন্য নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গৌরবের। এতোদিন শেরপুরকে মানুষ যে ভাবেই চিনে থাকুক না-কেন; আজ থেকে শেরপুর জেলাকে সবাই তুলশীমালার জেলা হিসেবে একনামে চিনবে।