রফিকুল ইসলামঃ কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা গোপদিঘী ইউনিয়নের পুরান বগাদিয়া গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসা শাওন মিয়া (৫) নামের একজন শিশু দগ্ধ হয়ে মারা গেছে।
এছাড়া পাঁচটি বসতঘর, নগদ টাকা ৮ লাখ টাকা ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ফ্রিজ, ৩০ মণ চাল, মূল্যবান আসবাবপত্র ও মালামালসহ কাপড়চোপড় পুড়ে অন্তত ২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি।
এ মর্মে তারা কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা পথে বসে গেছি।’
এ ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ঘর বরাদ্দের জন্য এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের কাছে জোরালো দাবি করেছেন।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার একটু আগে খড়ের পাড়া থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে চাঁন মিয়া (৬৫), ছফুর উদ্দিন (৩০) ও রুবেল মিয়ার (২৮), চারচালা ৩টি বসতঘর এবং শাহীন মিয়া (২৭) ও সরুজ মিয়ার (৭০) দোচালা ২টি বসতঘরসহ ৩টি রান্নাঘর পুড়ে ও আগুন নিভাতে ধ্বংস হয়ে যায়। তাছাড়া রুবেল মিয়ার (২৮) ১টি গরুর খামারও পুড়ে যায়।
এলাকাবাসী ও মিঠামইন ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট অনেক চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে সব পুড়ে যায়।
পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, এ সময় খড়ের পাড়ার মধ্যে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। মুহূর্তে আগুন অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে।
তারা আরও জানায়, খড়ের পাড়া থেকে চাঁন মিয়ার বসতঘরে আগুন ধরে গেলে শাওন খাটের নিচে লুকায়। তাতে সে দগ্ধ হয়ে মারা যায়।
খুঁজ নিয়ে জানা যায়, শাওন তার মা শিউলী আক্তারের সঙ্গে নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। শিউলী আক্তারের ২ মেয়ে এক ছেলের মধ্যে ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায়। শিউলী পুরান চাঁনপুর গ্রামের মামুন মিয়ার স্ত্রী।
ক্ষতিগ্রস্ত চাঁন মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন প্রতি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৪ হাজার করে টাকা দিয়েছেন বলে জানান।
তিনি গোপদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ও ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার রাজা মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৫ বস্তা করে চাল দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
এদিকে মিঠামইন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে ওসি (তদন্ত) সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন।