আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে চার লাখ টন ধান এবং ১২ লাখ ৫০ হাজার টন সিদ্ধ চাল। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। আর সিদ্ধ চাল ৪৪ টাকা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সভাপতিত্বে সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক, পানিসম্পদমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে খাদ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ৭ মে বোরো ধান-চাল সংগ্রহ শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। গমের সংগ্রহ মূল্য ৩৫ টাকা করা হয়েছে। গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ টন। গত বছর বোরো মৌসুমে সাড়ে ছয় লাখ টন ধান ও ১৩ লাখ ৬১ হাজার টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত বছরের ২৮ এপ্রিল থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ২ লাখ ৬৮ হাজার ২৪৮ টন ধান ও ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৭৯ টন চাল সংগ্রহ করে সরকার। ধান কেজি ২৭ টাকা ও চাল ৪০ টাকা দরে কেনা হয়েছিল।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এবার ধানের উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ২৮ থেকে ২৯ টাকা। আমরা মনে করি ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে সঠিক দাম নির্ধারণ করতে পেরেছি। আশা করছি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারব।’ এ সময় খাদ্য সচিব জানান, এ মুহূর্তে সরকারি গুদামে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুত আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ধানের দাম বাড়ানো হয়েছে। এমনিতেই বাজারে ধানের দামটা একটু বেশি আছে। আমরা যা বাড়িয়েছি, সেটার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গত বছর বাজারে বেশি দাম ছিল। সে অনুযায়ী আমাদের দাম কম থাকায় ধান সংগ্রহ করতে পারিনি।