ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আপিলেও হেরে গেলেন মেনন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০১৬
  • ২৮৩ বার

আপিলেও হেরে গেলেন বিমানমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ কমিটিকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

সংসদ সদস্যদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং গভর্নিং বডির বিশেষ কমিটির বিধান অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে রোববার সকালে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে সংসদ সদস্যরা স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি থাকতে বা হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের

রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনকারী ‍আইনজীবী ড. ইউনুচ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন।

তিনি জানান, সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের বিষয়ে নো অর্ডার দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন। এর ফলে এ বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি থাকতে বা হতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

গত ১ জুন বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৫ (২) এবং ৫০ ধারাকে বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুচ আলী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা ২০০৯-এর ৫ ও ৫০ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিলো। এর মধ্যে ৫ ধারা হচ্ছে এমপিদের সভাপতি পদ ও ৫০ ধারা হচ্ছে বিশেষ কমিটি গঠন নিয়ে। আদালত দু’টি ধারাই বাতিল ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেছেন।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব পালন এবং নির্বাচন ছাড়া কমিটি গঠন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

আপিলেও হেরে গেলেন মেনন

আপডেট টাইম : ১১:১১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০১৬

আপিলেও হেরে গেলেন বিমানমন্ত্রী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিচালনার জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষ কমিটিকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

সংসদ সদস্যদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং গভর্নিং বডির বিশেষ কমিটির বিধান অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে রোববার সকালে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে সংসদ সদস্যরা স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি থাকতে বা হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের

রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনকারী ‍আইনজীবী ড. ইউনুচ আলী আকন্দ নিজেই শুনানি করেন।

তিনি জানান, সর্বোচ্চ আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের বিষয়ে নো অর্ডার দিয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে বলে উল্লেখ করেছেন। এর ফলে এ বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্যরা স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি থাকতে বা হতে পারবেন না বলে জানান তিনি।

গত ১ জুন বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৫ (২) এবং ৫০ ধারাকে বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুচ আলী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রবিধানমালা ২০০৯-এর ৫ ও ৫০ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিলো। এর মধ্যে ৫ ধারা হচ্ছে এমপিদের সভাপতি পদ ও ৫০ ধারা হচ্ছে বিশেষ কমিটি গঠন নিয়ে। আদালত দু’টি ধারাই বাতিল ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করেছেন।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব পালন এবং নির্বাচন ছাড়া কমিটি গঠন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।