ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ ১৯৬৯ সাল থেকে এই এলাকায় আমার রাজনীতির শুরু। নেতৃত্বের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর যে সান্নিধ্য আমি পেয়েছি তার নীতি এবং আদর্শ বুকে ধরে রেখে কোনদিন বিচ্ছুতি হইনাই।
১৯৭০ সালের পর থেকে বিভিন্ন সরকারের আমলে আমাকে মন্ত্রীত্বের প্রস্তাব করা হয়েছে না হলে জেলে যেতে হবে বলা হয়েছে। আমি তাদের প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছি। সেই কারনে এই এলাকার মানুষ আমি যত গুলো নির্বাচন করেছি ওনারা আমাকে বার বার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমিও চেষ্টা করেছি তাদের প্রতিদান দিয়ে হাওরের উন্নয়ন করার জন্য। আমি প্রথমে যখন হাওরে রাস্তার প্রস্তাব করি তখন ইঞ্জিনিয়াররা হাসি টাট্রা করতো বলতো হাওরে পাকা রাস্তা ঠিকবে না। পরে আমরা সাবমার্সেবল রাস্তা করলাম।
একপর্যায়ে ইটনা মিঠামইন ও অষ্ট্রগ্রামের জনসাধারণ সারাবছর চলাচলের জন্য হাওর একটি অলওয়েদার রাস্তাও করলাম। এখন মানুষ হাওরের সুন্দর্য দেখতে আসে। এক সময় আমরা হাওরে লোকজনদের বেড়ানোর দাওয়াত করলে আমাদের এখানে বেড়াতে আসতে চাইতনা। এখন হাওর দেখার জন্য নিজেরাই চলে আসে।
এতে আমি মনে শান্তি পাই। আমি একজন সাধারন মানুষ আপনাদের ভালবাসায় দুইবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হইলাম। আমার আর দুই মাসের মত মেয়াদ আছে। পরে আমি অবসরে যাব। তখন আমি সময় করে তিন উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে জনসভা করে আপনাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক বিদায় নিব। আমার রাজনীতির জীবনে দলমত নির্বিশেষে কেউ বলতে পারবেনা আমি কারো ব্যাক্তিগত কোন ক্ষতি করেছি। মানুষ রাজনীতি করলে মেইল ফ্যাক্টরি, শিল্প কারখানা, টেলিভিশনের মালিক, ব্যাংক ব্যালেন্স করে জীবনে উন্নতি করে। আমি কোনদিনও এসব আশা করিনী।
আমি চেয়েছি সাধারন ভাবে জীবন যাপন করতে। আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কে বলছি আমাদের হাওরের মানুষের জন্য একটি উড়াল সেতু দরকার। পরে তিনি ৫ হাজার ৭ শত কোটি টাকা ব্যয়ে সারে ১৫ কিলোমিটার উড়াল সেতুর প্রস্তাব একনেকে পাশ করিয়ে দিয়েছেন।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি মিঠামইন ক্যান্টনমেন্ট উদ্ধোধন ও একটি জনসভা করবেন। সেখানে হাওড়ের তিন উপজেলার জনসাধারণ কে স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণের আহবান জানান।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে এ কথা গুলো বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, জনবিভাগ সচিব ওয়াহেদুল ইসলাম, প্রেস সচিব জয়নাল আবদিন, জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শেখ রাসেল, সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী কামরুল হাসান, ইউএনও নাফিসা আক্তার প্রমুখ।