ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২২ বছরে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে দেশের ৩৩ জেলায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৫৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের ৩২ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে নিপাহ ভাইরাস। সকল উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চিকিৎসকরা বলছেন, নিপাহ ভাইরাসে কোন ওষুধ না থাকায় মৃত্যৃহার প্রায় ৭০ শতাংশ। তাই খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

কয়েক বছর পর আবারো আলোচনায় নিপাহ ভাইরাস। ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জেলায়। এমন পরিস্থিতিতে সকল হাসপাতালে আলাদা বেড ও আইসিইউ প্রস্তুত রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০০১ সালে দেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়।

সাধারণত বাদুড়ের লালা থেকেই ছড়ায় প্রাণঘাতি এই রোগ। বছরের অন্য সময় বাদুড়ের সংস্পর্শে মানুষের আসার তেমন কোন সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু শীতকালে খেজুরের রসের মাধ্যমে এ ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।

খোলা পদ্ধতিতে খেজুরের রস সংগ্রহ করেন গাছিরা। অন্ধকার নামলেই ঝাঁকে ঝাঁকে বাদুড় এসে বসে খেজুর গাছে। কাটা অংশে জিহবা দিয়ে চেটে খায় রস। এমনকি যে নল দিয়ে রস হাঁড়িতে পড়ে, সে নলেও মুখ লাগায় বাদুড়। এ থেকেই ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস।

রাজধানীর শ্যামলী ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের  সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন “এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে জর, খিঁচুনি এবং গা ব্যাথা হয়।”

এক্ষেত্রে রোগীকে পরিবার থেকে আলাদা করে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

নিপাহ ভাইরাস রক্তের মাধ্যমে সরাসারি আক্রমণ করে মস্তিষ্কে। ফলে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে রোগীরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবছরও আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ৭০ শতাংশ।

সতর্কতার অংশ হিসেবে, কাঁচা খেজুরের রস না খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। একইসাথে বাদুড় যাতে গাছে বসতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও তাগিদ দিয়েছেন তারা।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক পরা সহ স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

২২ বছরে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে দেশের ৩৩ জেলায়

আপডেট টাইম : ১২:২৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশের ৩২ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে নিপাহ ভাইরাস। সকল উপজেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চিকিৎসকরা বলছেন, নিপাহ ভাইরাসে কোন ওষুধ না থাকায় মৃত্যৃহার প্রায় ৭০ শতাংশ। তাই খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

কয়েক বছর পর আবারো আলোচনায় নিপাহ ভাইরাস। ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জেলায়। এমন পরিস্থিতিতে সকল হাসপাতালে আলাদা বেড ও আইসিইউ প্রস্তুত রাখতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০০১ সালে দেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়।

সাধারণত বাদুড়ের লালা থেকেই ছড়ায় প্রাণঘাতি এই রোগ। বছরের অন্য সময় বাদুড়ের সংস্পর্শে মানুষের আসার তেমন কোন সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু শীতকালে খেজুরের রসের মাধ্যমে এ ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।

খোলা পদ্ধতিতে খেজুরের রস সংগ্রহ করেন গাছিরা। অন্ধকার নামলেই ঝাঁকে ঝাঁকে বাদুড় এসে বসে খেজুর গাছে। কাটা অংশে জিহবা দিয়ে চেটে খায় রস। এমনকি যে নল দিয়ে রস হাঁড়িতে পড়ে, সে নলেও মুখ লাগায় বাদুড়। এ থেকেই ছড়ায় নিপাহ ভাইরাস।

রাজধানীর শ্যামলী ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালের  সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বলেন “এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রাথমিকভাবে জর, খিঁচুনি এবং গা ব্যাথা হয়।”

এক্ষেত্রে রোগীকে পরিবার থেকে আলাদা করে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

নিপাহ ভাইরাস রক্তের মাধ্যমে সরাসারি আক্রমণ করে মস্তিষ্কে। ফলে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে রোগীরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবছরও আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে প্রায় ৭০ শতাংশ।

সতর্কতার অংশ হিসেবে, কাঁচা খেজুরের রস না খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের। একইসাথে বাদুড় যাতে গাছে বসতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করারও তাগিদ দিয়েছেন তারা।

নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক পরা সহ স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ চিকিৎসকদের।