ঢাকা ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তরের বাতাস বাড়িয়েছে শীতের অনুভূতি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকায় শীত খানিকটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতিতে রয়েছে কুয়াশার দাপট। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্যও কমেছে।

ঢাকায় হঠাৎ শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ কী? এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনূর ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তরের বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি আরও দুদিন থাকতে পারে।

ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাপমাত্রা কিন্তু খুব একটা কমেনি। উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া বাতাস শীতের অনুভূতি বাড়িয়েছে। আজ ঢাকায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার।

ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারছে না উল্লেখ করে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকছে। আবার কুয়াশা কাটতে না কাটতে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে সূর্যের তাপ কম সময় ধরে পাওয়া যাচ্ছে। কুয়াশা যদি দ্রুত কেটে যেত তাহলে সূর্যের তাপ বেশি সময় ধরে পাওয়া যেত। সেক্ষেত্রে শীত কম অনুভূত হতো।

এছাড়া ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়াও শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ মনে করছেন আবহাওয়াবিদ শাহীনূর ইসলাম। তিনি বলেন, আজ ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দুই-তিন দিন আগেও ছিল ২৫ ডিগ্রির ঘরে।

আরও অন্তত দুই দিন আবহাওয়ায় এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে এবং আগামী শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) থেকে শীত কিছুটা কমে আসতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারি কি না- এ প্রশ্নের জবাবে শাহীনূর বলেন, কমলেও তা খুব বেশি না, সামান্য কমতে পারে হয়তো।

এদিকে দেশের উত্তরের জনপদে কয়েক দিন ধরেই বইছে কনকনে বাতাস, সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপট। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। আর শীত বাড়তে শুরু করায় ফুটপাতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাদর বিছিয়ে বা ভ্যানে করে শীতের কাপড় বিক্রি বেড়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরের বাতাস বাড়িয়েছে শীতের অনুভূতি

আপডেট টাইম : ০১:২৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গত কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকায় শীত খানিকটা বেশি অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতিতে রয়েছে কুয়াশার দাপট। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্যও কমেছে।

ঢাকায় হঠাৎ শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ কী? এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাতে আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনূর ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, উত্তরের বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি আরও দুদিন থাকতে পারে।

ঢাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাপমাত্রা কিন্তু খুব একটা কমেনি। উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে যাওয়া বাতাস শীতের অনুভূতি বাড়িয়েছে। আজ ঢাকায় বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮-১২ কিলোমিটার।

ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারছে না উল্লেখ করে এ আবহাওয়াবিদ বলেন, দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশা থাকছে। আবার কুয়াশা কাটতে না কাটতে সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে সূর্যের তাপ কম সময় ধরে পাওয়া যাচ্ছে। কুয়াশা যদি দ্রুত কেটে যেত তাহলে সূর্যের তাপ বেশি সময় ধরে পাওয়া যেত। সেক্ষেত্রে শীত কম অনুভূত হতো।

এছাড়া ঢাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়াও শীত বেশি অনুভূত হওয়ার কারণ মনে করছেন আবহাওয়াবিদ শাহীনূর ইসলাম। তিনি বলেন, আজ ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দুই-তিন দিন আগেও ছিল ২৫ ডিগ্রির ঘরে।

আরও অন্তত দুই দিন আবহাওয়ায় এ অবস্থা বিরাজ করতে পারে এবং আগামী শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) থেকে শীত কিছুটা কমে আসতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারি কি না- এ প্রশ্নের জবাবে শাহীনূর বলেন, কমলেও তা খুব বেশি না, সামান্য কমতে পারে হয়তো।

এদিকে দেশের উত্তরের জনপদে কয়েক দিন ধরেই বইছে কনকনে বাতাস, সঙ্গে রয়েছে কুয়াশার দাপট। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। আর শীত বাড়তে শুরু করায় ফুটপাতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাদর বিছিয়ে বা ভ্যানে করে শীতের কাপড় বিক্রি বেড়েছে।