রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানবিরোধী যে কোনো অপতৎপরতা এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্রান্ত রুখে দিতে জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি শনিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট আয়োজিত বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকরের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থে সংবিধানের ব্যবহার কখনো শুভ হতে পারে না।
রাষ্ট্রপ্রধান সংবিধানের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। আবদুল হামিদ বলেন, বিচার বিভাগ ও আইনজীবীদের এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
গণতন্ত্রের চর্চা ও মূল্যবোধের বিকাশ যত বাড়বে সংবিধানের কার্যকারিতা এবং মর্যাদাও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে রাষ্ট্রপতি মনে করেন।
আবদুল হামিদ দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মানবাধিকার রক্ষা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের পাশাপাশি শান্তি ও সংকটে সংবিধানের অভিভাবক ও রক্ষক হিসাবে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দেশ, জনগণ ও সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বিচারকরা তাদের মেধা ও মনন প্রয়োগের মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের প্রকাশনা স্মারক ‘ফিফটি ইয়ার্স (১৯৭২-২০২২) লিটারেচার অ্যান্ড লিগেসি অব সুপ্রিমকোর্ট অব বাংলাদেশ’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, শ্রীলংকার প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়া, পিসি, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন ফকির এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।