ঢাকা ০৭:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

সংসদে বিল পাস বেসরকারি মেডিক্যালে ১০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকতে হবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • ৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকার বাধ্যবাধকতা রেখে জাতীয় সংসদে ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বিল-২০২২’ পাস হয়েছে।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। বিলটি পাসের আগে বিরোধীদলীয় কয়েকজন সদস্যের জনমত যাচাই-বাছাই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলটি উত্থাপনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলো এখন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনা এবং অপারেশন গাইডলাইনস-২০১১ এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং অপারেশন গাইডলাইনস-২০০৯-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

এই দুটি নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে। গত বছরের ৩ মে খসড়া এই বিলটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজের প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:১০। এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদিত পদের শতকরা ২৫ শতাংশের বেশি রাখা যাবে না। মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজের ৫ শতাংশ আসন অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে এই আসনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা ভর্তি শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকারকে জানাতে হবে।

বেসরকারি মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজ কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থীর আসন বিশিষ্ট হতে হবে। এই কলেজ স্থাপনের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় কমপক্ষে দুই একর এবং ডেন্টাল কলেজের জন্য এক একর জমি থাকতে হবে। অন্য এলাকায় এই জমির পরিমাণ চার একর ও দুই একর হতে হবে বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে। জমি সংশ্লিষ্ট কলেজের নামে নিরঙ্কুশ, নিষ্কণ্টক, অখণ্ড ও দায়মুক্ত হতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ এবং এর অধীন পরিচালিত হাসপাতাল কোনোভাবেই ইজারা বা ভাড়া নেওয়া জমিতে বা ভবনে স্থাপন করা যাবে না।

বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার এক বছরের মধ্যে আগে স্থাপিত মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলোকে এ বছরের মধ্যে বিধান মেনে অনুমোদন নিতে হবে বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের নামে কমপক্ষে তিন কোটি টাকা এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের নামে দুই কোটি টাকা যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে সংরক্ষিত থাকতে হবে। এরই মধ্যে স্বীকৃতি পাওয়া মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের নামে এক কোটি টাকা জমা থাকতে হবে। তবে ৫০ আসনের অধিক অতিরিক্ত প্রতি আসনের জন্য মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে তিন লাখ টাকা এবং ডেন্টাল কলেজের জন্য দুই লাখ টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে জমা থাকতে হবে। ব্যক্তি নামে মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজের ক্ষেত্রে আরো এক কোটি টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসাবে জমা থাকতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের সকল শিক্ষার্থীর ভর্তি ফি সরকার নির্ধারণ করবে। কোনো মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজ কাউন্সিলের অনুমোদন না নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ৫ শতাংশ আসন অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য না রাখলে এবং অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করলে একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সরকারের অনুমতি ছাড়া নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করলে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা

সংসদে বিল পাস বেসরকারি মেডিক্যালে ১০ শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকতে হবে

আপডেট টাইম : ০৯:৪৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ১০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকার বাধ্যবাধকতা রেখে জাতীয় সংসদে ‘বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বিল-২০২২’ পাস হয়েছে।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। বিলটি পাসের আগে বিরোধীদলীয় কয়েকজন সদস্যের জনমত যাচাই-বাছাই প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

বিলটি উত্থাপনের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলো এখন বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনা এবং অপারেশন গাইডলাইনস-২০১১ এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং অপারেশন গাইডলাইনস-২০০৯-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।

এই দুটি নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে নতুন আইনের খসড়া করা হয়েছে। গত বছরের ৩ মে খসড়া এই বিলটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।

বিলে বলা হয়েছে, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজের প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত হবে ১:১০। এসব প্রতিষ্ঠানে কোনো বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদিত পদের শতকরা ২৫ শতাংশের বেশি রাখা যাবে না। মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজের ৫ শতাংশ আসন অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে এই আসনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তালিকা ভর্তি শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সরকারকে জানাতে হবে।

বেসরকারি মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজ কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থীর আসন বিশিষ্ট হতে হবে। এই কলেজ স্থাপনের জন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় কমপক্ষে দুই একর এবং ডেন্টাল কলেজের জন্য এক একর জমি থাকতে হবে। অন্য এলাকায় এই জমির পরিমাণ চার একর ও দুই একর হতে হবে বলে বিলে বিধান রাখা হয়েছে। জমি সংশ্লিষ্ট কলেজের নামে নিরঙ্কুশ, নিষ্কণ্টক, অখণ্ড ও দায়মুক্ত হতে হবে। মেডিক্যাল কলেজ বা ডেন্টাল কলেজ এবং এর অধীন পরিচালিত হাসপাতাল কোনোভাবেই ইজারা বা ভাড়া নেওয়া জমিতে বা ভবনে স্থাপন করা যাবে না।

বিলটি আইন হিসেবে কার্যকর হওয়ার এক বছরের মধ্যে আগে স্থাপিত মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজগুলোকে এ বছরের মধ্যে বিধান মেনে অনুমোদন নিতে হবে বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল কলেজের নামে কমপক্ষে তিন কোটি টাকা এবং বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের নামে দুই কোটি টাকা যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে সংরক্ষিত থাকতে হবে। এরই মধ্যে স্বীকৃতি পাওয়া মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের নামে এক কোটি টাকা জমা থাকতে হবে। তবে ৫০ আসনের অধিক অতিরিক্ত প্রতি আসনের জন্য মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে তিন লাখ টাকা এবং ডেন্টাল কলেজের জন্য দুই লাখ টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে জমা থাকতে হবে। ব্যক্তি নামে মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজের ক্ষেত্রে আরো এক কোটি টাকা সংরক্ষিত তহবিল হিসাবে জমা থাকতে হবে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের সকল শিক্ষার্থীর ভর্তি ফি সরকার নির্ধারণ করবে। কোনো মেডিক্যাল বা ডেন্টাল কলেজ কাউন্সিলের অনুমোদন না নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ৫ শতাংশ আসন অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য না রাখলে এবং অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করলে একই দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। সরকারের অনুমতি ছাড়া নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করলে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।