নারায়ণগঞ্জে একজন স্কুলশিক্ষককে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মদনপুর ইউনিয়নের পিয়ার সাত্তার লতিফ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এর আগে উত্তেজিত একদল লোক মারধর করে।
প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত তার ওপর নির্যাতনের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। সেখানে তিনি দাবি করেন, স্কুলের পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়।
শিক্ষক শ্যামল কান্তির অভিযোগ, ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের মিথ্যা অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে স্থানীয় জনতাকে ক্ষেপিয়ে তোলা হয়েছিল। তিনি জানান, কিছুদিন আগে তিনি স্কুলের এক ছাত্রকে সাজা দিতে গিয়ে মারধর করেছিলেন। পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে সেই ঘটনাটিকে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। বলা হয়, এই ছাত্রকে মারার সময় তিনি ধর্ম সম্পর্কে কটু কথা বলেছেন, যা একেবারেই মিথ্যা বলেও দাবি করেন ওই শিক্ষক।
এদিকে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম জানিয়েছেন, স্থানীয় জনতার রোষের হাত থেকে ওই শিক্ষককে বাঁচাতে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানও বিবিসির কাছে স্বীকার করেছেন, তার উপস্থিতেই এই শিক্ষককে কান ধরে ওঠ-বস করিয়ে সাজা দেওয়া হয়। তার দাবি, জনরোষ থেকে এই শিক্ষককে বাঁচাতে এ ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।