ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সড়ক দখল করে খড় শুকানোর ধুম, বাড়ছে দুর্ঘটনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০১৬
  • ৩১৫ বার

নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা- পাকা সড়কে চলছে ধানের খড় শুকানোর কাজ। এতে করে একদিকে রাস্তা যেমন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দূর্ঘটনার আশঙ্কা।

এসব পাকা সড়কপথে অনবরত চলছে বাস,ট্রাক, মিনিবাস, মোটরসাইক্যাল ছাড়াও রিক্সা-ভ্যান এবং ইজিবাইক চালকরা সর্বক্ষণ দুর্ঘটনার আতঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। শুধু তাই নয়, কোনো কোন পাকা সড়কে ধান মাড়াইয়ের কাজ পর্যন্ত করার অভিযোগ পাওয়া যায়। মোট কথা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জ্ঞাতসারেই চলছে পাকা সড়কে যানবাহন চলাচলে চরম অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং দুর্ঘটনার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও এই বেআইনি কাজ।

পাকা সড়কে ধান শুকাচ্ছেন এমন লোকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এই বোরো মৌসুমে বাড়ীতে কাঁচা মাটিতে ধান-খড় শুকাতে বেশি সময় লাগে। তা ছাড়া বৃষ্টি বাদল, ঝড়ে ক্ষতিও হয়। তাই তারা অত্যন্ত নিরাপদ এবং দ্রুত শুকানোর স্বার্থেই পাকা সড়কে ধান এবং খড় শুকিয়ে থাকেন।

নীলফামারী সদর উপজেলার কনিয়াল খাতা গ্রামের হযরত অালী নামে এই পথচারি বলেন, নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা না করে সড়ক বন্ধ করে সড়কের উপর খড় শুকাচ্ছে স্থানীয় কৃষক-কৃষানীরা। তিনি অারো বলেন, সড়ক গুলো দেখলে মনে হয় চলাচলের জন্য সড়ক নয় এ যেন ধান ও খড় শুকানো ব্যক্তিদের পৈত্রিক সম্পত্তি।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় চলমান সকল যানবাহন দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত, এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কৃষক-কৃষাণী সহ কৃষক পরিবারের ছোট- ছোট শিশু বাচ্চারা। আবার রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে অনেক স্থানে যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। দূর্ঘটনা এড়াতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মর্মান্তিক দূর্ঘটনা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সড়ক দখল করে খড় শুকানোর ধুম, বাড়ছে দুর্ঘটনা

আপডেট টাইম : ০১:২১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ মে ২০১৬

নীলফামারী সদর উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা- পাকা সড়কে চলছে ধানের খড় শুকানোর কাজ। এতে করে একদিকে রাস্তা যেমন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক দূর্ঘটনার আশঙ্কা।

এসব পাকা সড়কপথে অনবরত চলছে বাস,ট্রাক, মিনিবাস, মোটরসাইক্যাল ছাড়াও রিক্সা-ভ্যান এবং ইজিবাইক চালকরা সর্বক্ষণ দুর্ঘটনার আতঙ্কের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে। শুধু তাই নয়, কোনো কোন পাকা সড়কে ধান মাড়াইয়ের কাজ পর্যন্ত করার অভিযোগ পাওয়া যায়। মোট কথা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জ্ঞাতসারেই চলছে পাকা সড়কে যানবাহন চলাচলে চরম অসুবিধা সৃষ্টি করে এবং দুর্ঘটনার যথেষ্ট আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও এই বেআইনি কাজ।

পাকা সড়কে ধান শুকাচ্ছেন এমন লোকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এই বোরো মৌসুমে বাড়ীতে কাঁচা মাটিতে ধান-খড় শুকাতে বেশি সময় লাগে। তা ছাড়া বৃষ্টি বাদল, ঝড়ে ক্ষতিও হয়। তাই তারা অত্যন্ত নিরাপদ এবং দ্রুত শুকানোর স্বার্থেই পাকা সড়কে ধান এবং খড় শুকিয়ে থাকেন।

নীলফামারী সদর উপজেলার কনিয়াল খাতা গ্রামের হযরত অালী নামে এই পথচারি বলেন, নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা না করে সড়ক বন্ধ করে সড়কের উপর খড় শুকাচ্ছে স্থানীয় কৃষক-কৃষানীরা। তিনি অারো বলেন, সড়ক গুলো দেখলে মনে হয় চলাচলের জন্য সড়ক নয় এ যেন ধান ও খড় শুকানো ব্যক্তিদের পৈত্রিক সম্পত্তি।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় চলমান সকল যানবাহন দূর্ঘটনার সম্মুখীন হয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে প্রতিনিয়ত, এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কৃষক-কৃষাণী সহ কৃষক পরিবারের ছোট- ছোট শিশু বাচ্চারা। আবার রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে অনেক স্থানে যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। দূর্ঘটনা এড়াতে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যে কোন সময় ঘটতে পারে মর্মান্তিক দূর্ঘটনা।