ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

করোনা নাকি সাধারণ সর্দি-জ্বর? বুঝবেন যেভাবে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২
  • ১৩৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষাকাল মানেই রোদ-বৃষ্টির খেলা। কখন রোদ আড়াল করে ঝুম বৃষ্টি শুরু হবে তা কেউ বলতে পারে না। এর সঙ্গে রয়েছে প্রচণ্ড গরম। এই গরম আর বৃষ্টিতে ভিজে অনেকেই এখন সর্দি-কাশিতে ভুগছেন! এই তালিকায় যে কেবল বড়রাই রয়েছেন তা কিন্তু নয়, আছে ছোটরাও।

অন্যদিকে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, করোনার চতুর্থ ঢেউ আসতে চলেছে। এ সময় সাধারণ সর্দি-কাশিকেও অনেকেই করোনা ভেবে ভুল করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আর সাধারণ ফ্লু এর উপসর্গগুলো প্রায় একই রকমভাবে প্রথমদিকে প্রকাশ পায়। আর এ কারণেই অনেকেই ভাবেন, তিনি বোধ হয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কিছু লক্ষণ আছে যা সাধারণ ফ্লু থেকে করোনার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। চলুন জেনে নেয়া যাক সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি করোনা বুঝে নেয়ার উপায়-

সাধারণ ফ্লু এর ক্ষেত্রে ভাইরাস ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস এমনকি মানুষের সংস্পর্শে এলেও হতে পারে।

সাধারণ ফ্লু কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়। আবার এর প্রভাবও খুব একটা গুরুতর রূপ ধারণ করে না। অন্যদিকে কোভিড ১৯ এর প্রভাবে আক্রান্তদের সর্দি-কাশি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথার মতো সাধারণ উপসর্গ ফ্লু এর কারণে হয়ে থাকে। এসব লক্ষণ কিন্তু করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে দেখা গেছে। তবে করোনায় সংক্রমিত হলে আক্রান্তরা স্বাদ ও গন্ধ হারাতে পারেন। এমনটি সাধারণ ফ্লু’র ক্ষেত্রে হয় না। এছাড়া বমি বমি ভাব ও ক্লান্তির লক্ষণও করোনার ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।

সাধারণ সর্দি-কাশি টের পাওয়ার আরো একটি লক্ষণ হলো ২-৩ দিনের মধ্যে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে করোনার ক্ষেত্রে ৩-৫ দিন পর্যন্ত সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন আক্রান্তরা। আবার ১৪ দিন পরেও উপসর্গগুলো দেখা যায়। তাই সর্দি-কাশি, জ্বর বা গলা ব্যথা হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। বরং ২-৩ দিন সময় দিন। নিজের শরীরকে বোঝার চেষ্টা করুন ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।

পাশাপাশি খেয়াল রাখুন গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং জ্বর ছাড়া করোনার অন্য কোনো উপসর্গগুলো চোখে পড়ছে কি না। ২-৩ দিনের মধ্যে যদি অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে তাহলে কোভিড ১৯ পরীক্ষা করুন।

সর্দি-কাশি এড়াতে গরম পানিতে গার্গল করুন। তুলসি পাতা ফুটিয়ে মধু দিয়ে পান করুন। ভেষজ চা পান করার বিকল্প নেই। দিনে অন্তত দুইবার করে গরম ভাঁপ নিন। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। অসুস্থ হওয়ার পরপরই আলাদা ঘর, বাথরুম, পোশাক, থালা-বাসন ব্যবহার করুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি চাকরিতে ২২ হাজার নতুন নিয়োগের ঘোষণা আসছে

করোনা নাকি সাধারণ সর্দি-জ্বর? বুঝবেন যেভাবে

আপডেট টাইম : ১১:০৭:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্ষাকাল মানেই রোদ-বৃষ্টির খেলা। কখন রোদ আড়াল করে ঝুম বৃষ্টি শুরু হবে তা কেউ বলতে পারে না। এর সঙ্গে রয়েছে প্রচণ্ড গরম। এই গরম আর বৃষ্টিতে ভিজে অনেকেই এখন সর্দি-কাশিতে ভুগছেন! এই তালিকায় যে কেবল বড়রাই রয়েছেন তা কিন্তু নয়, আছে ছোটরাও।

অন্যদিকে আবার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, করোনার চতুর্থ ঢেউ আসতে চলেছে। এ সময় সাধারণ সর্দি-কাশিকেও অনেকেই করোনা ভেবে ভুল করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা আর সাধারণ ফ্লু এর উপসর্গগুলো প্রায় একই রকমভাবে প্রথমদিকে প্রকাশ পায়। আর এ কারণেই অনেকেই ভাবেন, তিনি বোধ হয় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কিছু লক্ষণ আছে যা সাধারণ ফ্লু থেকে করোনার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক। চলুন জেনে নেয়া যাক সাধারণ সর্দি-কাশি নাকি করোনা বুঝে নেয়ার উপায়-

সাধারণ ফ্লু এর ক্ষেত্রে ভাইরাস ছড়ায় বাতাসের মাধ্যমে। অন্যদিকে করোনাভাইরাস এমনকি মানুষের সংস্পর্শে এলেও হতে পারে।

সাধারণ ফ্লু কয়েক দিনের মধ্যেই সেরে যায়। আবার এর প্রভাবও খুব একটা গুরুতর রূপ ধারণ করে না। অন্যদিকে কোভিড ১৯ এর প্রভাবে আক্রান্তদের সর্দি-কাশি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।

সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথার মতো সাধারণ উপসর্গ ফ্লু এর কারণে হয়ে থাকে। এসব লক্ষণ কিন্তু করোনা রোগীদের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে দেখা গেছে। তবে করোনায় সংক্রমিত হলে আক্রান্তরা স্বাদ ও গন্ধ হারাতে পারেন। এমনটি সাধারণ ফ্লু’র ক্ষেত্রে হয় না। এছাড়া বমি বমি ভাব ও ক্লান্তির লক্ষণও করোনার ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়।

সাধারণ সর্দি-কাশি টের পাওয়ার আরো একটি লক্ষণ হলো ২-৩ দিনের মধ্যে আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে ওঠেন। অন্যদিকে করোনার ক্ষেত্রে ৩-৫ দিন পর্যন্ত সর্দি-কাশিতে ভুগে থাকেন আক্রান্তরা। আবার ১৪ দিন পরেও উপসর্গগুলো দেখা যায়। তাই সর্দি-কাশি, জ্বর বা গলা ব্যথা হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। বরং ২-৩ দিন সময় দিন। নিজের শরীরকে বোঝার চেষ্টা করুন ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।

পাশাপাশি খেয়াল রাখুন গলা ব্যথা, ঠান্ডা লাগা এবং জ্বর ছাড়া করোনার অন্য কোনো উপসর্গগুলো চোখে পড়ছে কি না। ২-৩ দিনের মধ্যে যদি অবস্থার পরিবর্তন না ঘটে তাহলে কোভিড ১৯ পরীক্ষা করুন।

সর্দি-কাশি এড়াতে গরম পানিতে গার্গল করুন। তুলসি পাতা ফুটিয়ে মধু দিয়ে পান করুন। ভেষজ চা পান করার বিকল্প নেই। দিনে অন্তত দুইবার করে গরম ভাঁপ নিন। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন। অসুস্থ হওয়ার পরপরই আলাদা ঘর, বাথরুম, পোশাক, থালা-বাসন ব্যবহার করুন।