হাওর বার্তা ডেস্কঃ বন্যার পানি কমলেও স্কুলে যাওয়ার সুযোগ নেই অন্তত কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর। কারণ স্কুলগুলো এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে ভবনের সংস্কার এবং কোথাও কোথাও নতুন ভবন নির্মাণ ছাড়া পাঠদান করা যাবে না। ফলে এসব শিক্ষার্থীকে অপেক্ষা করতে হবে বেশ কয়েক দিন।
অন্যদিকে প্রাথমিকের ১৭ জেলার ১৪৮ উপজেলার ৪ হাজার প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক স্কুলে এখনো পানি রয়েছে। এ কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী প্রতিষ্ঠানের তালিকা এখনো নিশ্চিত করতে পারছে না প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
তবে মাধ্যমিক স্তরের পুরো তথ্য সংগ্রহ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। তথ্য অনুযায়ী, সিলেটসহ দেশের ১৮টি জেলায় বন্যার কারণে ৫ লাখের বেশি মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী নানাভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছে। বন্যাকবলিত স্কুল সংখ্যা ১ হাজার ৮৫টি। অবস্থা এতটাই নাজুক যে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১২১টিতে পাঠদান সম্ভব। ৯১৭টি প্রতিষ্ঠানেই পাঠদান সম্ভব নয়। আর আংশিক সম্ভব ১০২টি প্রতিষ্ঠানে। দেশের ৮৬টি উপজেলার ৫ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী বন্যাকবলিত ছিল।
এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট সদর এবং সুনামগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। সিলেট সদর জেলার ৩৪২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত ছিল। যার মধ্যে ২৮৮টি প্রতিষ্ঠানেই পাঠদান সম্ভব নয়। সুনামগঞ্জে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৬৫টি। হবিগঞ্জের ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত ছিল। সবই এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রামের ৯৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত ছিল। এর মধ্যে ৫৫টিই ব্যবহারের অনুপযোগী। আর ২৫টি আংশিক ব্যবহারের উপযোগী। জামালপুরের ২৫টি প্রতিষ্ঠান বন্যাকবলিত ছিল। এর সবই এখন ব্যবহারের অনুপযোগী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি। এই তথ্য যখন সংগ্রহ করা হয় তখন স্কুলগুলোতে পানি ছিল। এখন পানি কমে গেছে। এখন মাঠ পর্যায় থেকে নতুন করে তথ্য সংগ্রহ করছি। যেসব ভবনগুলো সংস্কার প্রয়োজন যেগুলো শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংস্কার করে পাঠদানের উপযোগী করে তোলা হবে।