হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) হাসপাতালে গত ২৫ জুন পাবনার এক প্রসূতি নারীকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন নবজাতক শিশুকে পৃথিবীর আলো দেখানো হয়।
তিনজনই ছেলেসন্তান।
ঐতিহাসিক পদ্মা সেতুর জাঁকালো উদ্বোধনী দিনটিকে স্মৃতিময় করে রাখতে ওই তিন নবজাতক শিশুর নাম রাখা হয়- পদ্মা, সেতু ও উদ্বোধন।
ওই নবজাতক তিন শিশুর বাবার নাম মিজানুর রহমান (৩৪)। তিনি পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক। তিনি পাবনার জেলার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা গ্রামের অধিবাসী। মিজানুর রহমানের স্ত্রীর নাম শিউলী খাতুন (২৬)।
মিজানুর রহমান বলেন, গত ২৩ জুন বিকেলে পাবনার পিডিসি হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখানোর পর তিনি আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানান পেটের ভেতরে বাচ্চার অবস্থান সঠিক স্থানে নেই। এই অবস্থায় তার স্ত্রীকে জরুরিভাবে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। এরপর সেখান থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর শনিবার (২৫ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, তিন সন্তানের ডাক নাম হিসেবে পদ্মা, সেতু, উদ্বোধন রাখা হয়েছে। পরে আকিকা দিয়ে তাদের ভালো নাম রাখা হবে।
এমন নাম রাখার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্বের, স্বপ্নের। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে মূলত এই নাম রাখা হয়েছে। কোনো পুরস্কার পাওয়ার লোভে আমার সন্তানদের নাম পদ্মা, সেতু, উদ্বোধন রাখিনি।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, ২০১০ সালে শিউলী খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এর আগে, তাদের সংসার জীবনে তিনটি কন্যা রয়েছে। তাদের নাম মীম (১১), জীম (৮) ও সীম (৪)।
আগের তিনজন মেয়ে পরের এবার তিন ছেলে হওয়ায় তিনি ভীষণ খুশি বলে জানান।
এদিকে, রামেক হাসপাতালের তিন নবজাতকের ভিন্ন নাম রেখেছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এই নামগুলো হচ্ছে- হাসান, হোসাইন ও ঈসমাঈল। তবে বাড়ি গিয়ে এসব বিষয় চূড়ান্ত করবেন বলেও জানান মিজানুর রহমান।