হাওর বার্তা ডেস্কঃ বন্যাকবলিত নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গত তিন দিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা চার গ্রামে রাত জেগে পাহারা বসিয়েছেন।
মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙাপুতা হাওর সংলগ্ন মাঘান-সিয়াধার ইউনিয়নের বলদশী, খুরশীমূল, রামপাশা ও সিয়াধার গ্রামের বাসিন্দারা এখনো পানিবন্দি। গত কয়েকদিন ধরে গ্রামগুলোতে ডাকাত আতঙ্ক এখানকার মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ৪ গ্রামের অন্তত ১২শ পরিবার রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে বলদশী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক সজল সরকার, ইন্দ্রজিৎ দাশ ও সিয়াধার গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ জানান, বন্যায় এমনিতে আমরা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছি। তার ওপর ডাকাত পড়ছে। প্রতিরাতেই বিভিন্ন এলাকার মানুষজন চিৎকার-চেঁচামেচি করছে। এতে সবার মনে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হাসেম আপ্তু মিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে এলাকায় ডাকাত আসে, রাতভর জেগে পাহারা দিতে হচ্ছে।
৮নং ওয়ার্ড মেম্বার আলয় চন্দ্র দে জানান, রামপাশা, বলদশী, খুরশীমূল ও সিয়াধার গ্রামে অন্তত ১২শ পরিবারের বসবাস। বন্যার পানি বাড়ায় ডাকাত আতঙ্কে ৩-৪টি ট্রলার নিয়ে প্রতিরাতেই এসব গ্রামের মানুষদের পাহারা দিতে হচ্ছে। প্রতিদিনই পুলিশ আসছে। কয়েকদিনের জন্য স্থায়ীভাবে পুলিশ টহল রাখলে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে। তাছাড়া গ্রামবাসীর সঙ্গে গ্রাম পুলিশ টহল দিচ্ছে।
মাঘান-সিয়াধার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, ডাকাত প্রতিরোধে ওই এলাকায় প্রতিদিনই পুলিশ যাচ্ছে। মানুষও রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে রামপাশা, বলদশী, খুরশীমূল ও সিয়াধার এলাকায় ডাকাত পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। বন্যার পানি বেশি হওয়ায় ডাকাতির ভয়টা বেশি।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হাসান বলেন, এটা গ্রামবাসীর নিজেদের আতঙ্ক। পুলিশ পাঠিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি। হাওরে রাতের বেলা মাছ ধরার ট্রলার দেখেও গ্রামবাসী চিৎকার চেঁচামেচি করে।