ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে নদীর পানি কমলেও উন্নতি নেই বন্যা পরিস্থিতির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২
  • ১৯২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমেছে ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। কিন্তু তারপরেও জেলার হাওরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বানের পানিতে নতুন করে আরও চারটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ জুন) কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপরে। পরের দিন রোববার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেটি কমে ১১৪ সেন্টিমিটারে নেমে আসে। তার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পানি আরও ৩ সেন্টিমিটার কমলেও হাওরের পানি কমেনি।

হাওরের পানি কমতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন খান এলিস জানান, শনিবার জেলায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩৫৪টি। কিন্তু রোববার চারটি কেন্দ্র নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় সেগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের অন্য কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলায় ৫৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজার ৪১৯ জন ৩৫০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাসহ এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন, নবীগঞ্জে ১২, বানিয়াচংয়ে ১৫, লাখাইয়ে ৬, সদর উপজেলায় ৬, মাধবপুরে ৫ ও বাহুবল উপজেলার চারটি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত রয়েছে। দুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা, ৪১৫ মেট্রিক টন চাল ও তিন হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা সেবার জন্য কাজ করছে ৩০টি মেডিক্যাল টিম।

জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, এবারের বন্যায় ২৪ হাজার ২৩০টি পরিবার এবং ৮৩ হাজার ৪৯০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে আট হাজার ১৯০ জন পুরুষ, আট হাজার ১৪ জন নারী, পাঁচ হাজার ১১ জন শিশু এবং ২০৪ জন প্রতিবন্ধী আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জে নদীর পানি কমলেও উন্নতি নেই বন্যা পরিস্থিতির

আপডেট টাইম : ১০:০৯:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমেছে ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। কিন্তু তারপরেও জেলার হাওরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বানের পানিতে নতুন করে আরও চারটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ জুন) কালনী ও কুশিয়ারা নদীর পানি ছিল বিপৎসীমার ১১৭ সেন্টিমিটার ওপরে। পরের দিন রোববার (২৬ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেটি কমে ১১৪ সেন্টিমিটারে নেমে আসে। তার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পানি আরও ৩ সেন্টিমিটার কমলেও হাওরের পানি কমেনি।

হাওরের পানি কমতে আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন খান এলিস জানান, শনিবার জেলায় বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩৫৪টি। কিন্তু রোববার চারটি কেন্দ্র নতুন করে প্লাবিত হওয়ায় সেগুলোতে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের অন্য কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলায় ৫৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজার ৪১৯ জন ৩৫০টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভাসহ এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন, নবীগঞ্জে ১২, বানিয়াচংয়ে ১৫, লাখাইয়ে ৬, সদর উপজেলায় ৬, মাধবপুরে ৫ ও বাহুবল উপজেলার চারটি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত রয়েছে। দুর্গতদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৫ লাখ টাকা, ৪১৫ মেট্রিক টন চাল ও তিন হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা সেবার জন্য কাজ করছে ৩০টি মেডিক্যাল টিম।

জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, এবারের বন্যায় ২৪ হাজার ২৩০টি পরিবার এবং ৮৩ হাজার ৪৯০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে আট হাজার ১৯০ জন পুরুষ, আট হাজার ১৪ জন নারী, পাঁচ হাজার ১১ জন শিশু এবং ২০৪ জন প্রতিবন্ধী আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছেন।