ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মৌলভীবাজারে খাদ্য গুদামে বন্যার পানি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
  • ১৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে অবস্থিত খাদ্য গুদামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে টিসিবির মজুত রাখা ডাল, চিনি ও তেল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া নিতে হচ্ছে।

এদিকে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু এলাকায় পানি কমছে, আবার কিছু বন্যার পানি বাড়ছে। উজানে বৃষ্টি না হওয়ায় মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা ও মনু নদীর পানি কিছুটা কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বানবাসী মানুষের। অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রের নিচতলায় টিউবওয়েল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা থাকায় তা পানিতে তলিয়ে গেছে। গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে বানবাসী মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ হিসেবে চাল দেওয়া হলেও তা রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা নেই।

মৌলভীবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জ্যোতি বিকাশ ত্রিপুরা জানান, শেরপুরে তাদের দুটি খাদ্য গুদাম রয়েছে। সেগুলো টিসিবি ব্যবহার করছে।

এ বিষয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কর্মকর্তা ইসমাইল মজুমদার জানান, গুদামে ৫৬৬ টন ডাল, ৩২০ টন চিনি ও ৬৫ হাজার লিটার তেল মজুত ছিল। গুদামে পানি প্রবেশ করায় গুদাম থেকে এসব পণ্য কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। বন্যার পানি উঠায় গুদামে রাখা ডাল ও চিনির  নিচের একটি স্তর ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যার কারণে এ পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলার ১১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদরাসা বন্ধ রয়েছে ৪৫টি। সব মিলে ১৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে ২৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার্তদের জন্য জেলায় ২০ লাখ বরাদ্দকৃত টাকা বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ৪১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো পাঠানো হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে খাদ্য গুদামে বন্যার পানি

আপডেট টাইম : ০৮:৪৬:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে অবস্থিত খাদ্য গুদামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে টিসিবির মজুত রাখা ডাল, চিনি ও তেল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া নিতে হচ্ছে।

এদিকে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। কিছু এলাকায় পানি কমছে, আবার কিছু বন্যার পানি বাড়ছে। উজানে বৃষ্টি না হওয়ায় মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা ও মনু নদীর পানি কিছুটা কমলেও দুর্ভোগ বেড়েছে বানবাসী মানুষের। অধিকাংশ আশ্রয়কেন্দ্রের নিচতলায় টিউবওয়েল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা থাকায় তা পানিতে তলিয়ে গেছে। গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছে বানবাসী মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ত্রাণ হিসেবে চাল দেওয়া হলেও তা রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা নেই।

মৌলভীবাজার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জ্যোতি বিকাশ ত্রিপুরা জানান, শেরপুরে তাদের দুটি খাদ্য গুদাম রয়েছে। সেগুলো টিসিবি ব্যবহার করছে।

এ বিষয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কর্মকর্তা ইসমাইল মজুমদার জানান, গুদামে ৫৬৬ টন ডাল, ৩২০ টন চিনি ও ৬৫ হাজার লিটার তেল মজুত ছিল। গুদামে পানি প্রবেশ করায় গুদাম থেকে এসব পণ্য কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। বন্যার পানি উঠায় গুদামে রাখা ডাল ও চিনির  নিচের একটি স্তর ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

জেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বন্যার কারণে এ পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলার ১১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদরাসা বন্ধ রয়েছে ৪৫টি। সব মিলে ১৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় ১০১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে ২৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার্তদের জন্য জেলায় ২০ লাখ বরাদ্দকৃত টাকা বিতরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ৪১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো পাঠানো হয়েছে।