হাওর বার্তা ডেস্কঃ উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে নেত্রকোনার কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলার নিম্নাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কমপক্ষে আড়াই লাখ মানুষ। এই তিন উপজেলায় অনেক বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে। বন্যার পানিতে কয়েক হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর উপজেলার মানুষ।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, নেত্রকোনার পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরী, ধনু, কংস, উব্দাখালীসহ সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আজ শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর একটায় উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার, ধনু নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
কলমাকান্দা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম খসরু বলেন, কলমাকান্দা উপজেলা সদর তিন ফুট পানির নিচে রয়েছে। হাজার হাজার মানুষ গৃহছাড়া হয়ে আশ্রয়ের সন্ধানে ঘুরছে। কলমাকান্দা সদরের প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও উপজেলা পরিষদের একটি ভবনে বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানান তিনি।
কলমাকান্দা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন বলেন, উপজেলার নানিয়া, চৈতা, পোগলা, গোয়াতলা, চানকোনা, বড়খাপন, ভাটিপাড়া, গঙ্গানগর, কৃষ্ণপুরসহ ২৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, পানিবন্দী মানুষকে উদ্ধারের কাজ ও ত্রাণ বিতরণ চলছে। কলমাকান্দা, দুর্গাপুর ও বারহাট্টা উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে ৫০ মেট্রিকটন চাল, নগদ দুই লাখ টাকা ও দুই শত শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে।