হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুন ১৩ ঘণ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এখনও থেমে থেমে বিস্ফোরণ হচ্ছে। ফলে একটানা কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
লক্ষীপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সাজাদ (২৮) নামে এক কর্মী বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আমরা টানা ১২ ঘণ্টা কাজ করছি। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত হলেও আগুন ক্লান্ত হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কতক্ষণ সময় লাগবে বুঝতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, এখনও একের পর এক কনটেইনার বিস্ফোরণ হচ্ছে। দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। কনটেইনারে কোন জাতীয় রাসায়নিক রয়েছে তা জানা না যাওয়ায় নেভানো যাচ্ছে না আগুন। বর্তমানে আমরা লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীসহ মোট ২৫টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছি।
বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্য ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।
আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে অনেককে ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নগরীর অন্যান্য হাসপাতাল এবং কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালেও (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া চট্টগ্রামের সব চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ সময় বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি হাসপাতালগুলোতে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন জানান, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এর আগে কীভাবে আগুন লেগেছে বলতে পারছি না।