হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর ধামইরহাটে মাত্র ৬ মাসে ৭১ প্রজাতির প্রায় আড়াই লাখ চারা উৎপাদন করেছে ধামইরহাট বনবিভাগ।
ধামইরহাট বনবিভাগের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তুন, ঝাউ,শিমুল, ডুমুর, কদম, টিউলিপ, বটল ব্রাস, শিউলিফুল, কাঞ্চন, হৈমন্তী, কৃষ্ণচুড়া, চাম্পা, ফুলকৃষ্ণ, সোনালু, রাঁধাচুড়া, বাজনা, মহুয়া, হলুদ, দেলীগর্জন, বৈঠাগর্জন, গামার, তেতুল, হরিতকী, বহেরা, আমলকি, আমড়া, চাপালিশ, শিলকড়ই, ইপিল ইপিল, অর্জুন, জারুল, বকুল, ছাতিয়ান, পিতরাজ, কাঠ বাদাম, অশোক, জিলাপী চারা, দেশী নিম,লেবু, হিজল, জাম, তাল চারা, হাইব্রিড আকাশমনি, মেনজিয়াম,জলপাই, বদ্যনারকেল, দারমারা, চিকরাশি, পারুল, পলাশফুল, বেত, পিয়ারা, গোলাপ কার্টিং (ক্রয়), মেহগনি, কাঠাল, দেবদারু, শাল, আতাফল, ডেওয়া, সরিফা, সফেদা, কদবেল, নাকেশ্বর, গাব, জয়তুন করমচা, গর্জন, পিটালী লটকন বাতাবি লেবু ও চালতা সহ বিরল প্রজাতি, বিলুপ্ত ও শোভাবর্ধনকারী এইসব চারা রোপন করা হবে আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যান, শালবন সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
ধামইরহাট বনবিট কর্মকর্তা আনিছুর রহমান জানান, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্পের অধীনে ১৫ কিলোমিটার স্ট্রীপ বাগানে ১৫ হাজার, সাড়ে কিলোমিটার তাল চারার বাগানে ১৮শত, ২০ হেক্টর জমিতে স্বল্পমেয়াদী উডলট বাগানে ৫০ হাজার, ২০ হেক্টর এনরিচমেন্ট বাগানে সাড়ে ১২ হাজার, দীর্ঘ মেয়াদী দেশীয় প্রজাজি ও সৌন্দর্য বর্ধন চারা ২৫ হাজারটি, আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে বিপদাপন্ন বিলুপ্ত প্রায় ও দীর্ঘ মেয়াদী দেশীয় প্রজাতির ৮০ হাজার চারা, বেত বাগান সৃজনে ৫ হাজার চারা,দশমিক ৫০ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ২৫০টি ঔষধি চারা, দশমিক ২৫ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ২৫০টি গোলাপ চারা, বিনামুল্যে বিতরণের জন্য ৩ হাজার ১২৫টি চারা ও সুফল প্রকল্পের ২৭ হেক্টর এনরিচমেন্ট বাগানে ৪০ হাজার ৫শত চারাসহ ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪২৫ চারা বনবিভাগের নার্সারী হতে উত্তোলন করে তা রোপন করা হবে।
এতে জাতীয় উদ্যান সহ বিভিন্ন এলাকায় শোভাবর্ধন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা পালন করবে।
পাইকবান্দা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা একে এম ফরহাদ জাহান বলেন, ধামইরহাট বনবিভাগ বনায়নে সারাদেশে প্রথম হয়ে বৃক্ষরোপনে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরুস্কার-২০২০ অর্জন করেছে, আগামী ৫ই জুন ১ম স্থান অর্জন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১ম পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও অর্থ গ্রহণ করবে ধামইরহাট বনবিভাগ, ইতিপূর্বেও ধামইরহাট বনবিট ৫ বার দেশ সেরা হয়েছে, আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।