পাবনার গুমনী নদীতে খাচায় মাছ চাষ করে অন্তত দশটি পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যরা নদীতে বাঁশ ও জাল দিয়ে ২০ ফুট দৈর্ঘ্য, ১০ ফুট প্রস্থ ও ৬ ফুট গভীর সাইজের একেকটি খাঁচা তৈরি করে মাছ চাষ করছে । সেখানে অনেকগুলো খালি ড্রামের সঙ্গে খাঁচার উপরিভাগ বেঁধে এটিকে ভাসমান করা রাখা হয়েছে। প্রতিটি খাঁচায় এক থেকে দেড় হাজার মনোসেক্স মাছ চাষ করা হয়।
এখানে এক কেজি মাছ উৎপাদন করতে ৮০/৯০ টাকা খরচ হয় । নদীর মাছ বলে স্থানীয় বাজারে এর চাহিদাও বেশি। বর্তমানে এ মাছ ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর উপজেলার পুঙ্গলী ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান প্রথমে গুমানী নদীর ডেমরা এলাকায় খাচায় মাছ চাষ শুরু করেন। তার সাফল্যের জন্য ২০১৪ সালে তিনি জাতীয় ও ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার লাভ করেন। কম খরচে মাছ চাষ করে অধিক লাভবান হওয়ায় অনেক মৎসজীবী এখন এ পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন।
এলাকার নাজিমুদ্দিন ও আব্দুর রাজ্জাকেরও গুমানী নদীতে কয়েকটি ভাসমান খাচা রয়েছে। তারাও এখানে মাছ উৎপাদন করে সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবী করেন। তবে প্রশিক্ষণ ও সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলে এখানকার মৎস্যজীবীরা উন্মুক্ত নদীতে মাছের চাষ আরো বাড়াতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। তখন খাঁচায় মাছ চাষের অধিক সুফল অর্জিত হবে,মানুষের দারিদ্রতাও দূর হবে।