ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ইউক্রেনের সেই শিবির থেকে মুক্ত হলো আরও দুই বাংলাদেশি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
  • ১২৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইউক্রেনের ভেলিনের ডিটেনশন সেন্টারে আটকেপড়া চার বাংলাদেশির আরও দু’জনকে শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে। এ নিয়ে ওই ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থাকা চার বাংলাদেশিকেই ছেড়ে দেওয়া হলো। তারা বর্তমানে পোল্যান্ডে রয়েছেন।
আটকেপড়া অভিবাসীরা জানান, মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে সহস্রাধিক ইউক্রেনীয় সেনার সঙ্গে একই শিবিরে বিভিন্ন দেশের শতাধিক অভিবাসীকে একসঙ্গে রাখা হয়েছিল। এরপর নানা পর্যায় থেকে তাদের মুক্ত করতে উদ্যোগ শুরু হয়।
শনিবার যে দু’জন বাংলাদেশি মুক্ত হয়েছেন তারা হলেন- রিয়াদ মালিক এবং নূর মোহাম্মদ। ইউক্রেনে বাংলাদেশ অনরারি কনস্যুলেটের উপদেষ্টা মাহবুবুল আলম ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন, রিয়াদ মালিক এবং নূর মোহাম্মদকে মুক্ত করার বিষয়টি জটিল ছিল। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ভেলিন শিবিরে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন প্রতিনিধিকে গিয়ে তাদের নিয়ে আসতে নির্দেশনা দেয়। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে তখন একজন ইউক্রেনীয় নাগরিককে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দেওয়া হয়। শনিবার সকালে সেই নাগরিক ভেলিনের শিবিরে গিয়ে রিয়াদ ও নূরকে মুক্ত করেন ও গাড়িতে করে পোল্যান্ডের সীমান্তের দিকে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, যেহেতু ইউক্রেনে বাংলাদেশ দূতাবাস নেই এবং অনারারি কনস্যুলেটও অনেক দূরে, তাই দূতাবাসের কেউ বা আমার পক্ষে সেই ডেটিনেশন সেন্টার থেকে তাদের মুক্ত করে সীমান্তে পৌঁছে দেয়া সম্ভব ছিল না। আমার এক ইউক্রেনীয় বন্ধু তখন সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন এবং সেন্টারে গিয়ে বাংলাদেশিদের মুক্ত করেন।
কিয়েভ থেকে এখনেও পাঁচ থেকে দশজন বাংলাদেশি নাগরিক পরিবারসহ পোল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মারিউপোলে যুদ্ধের মধ্যে আটকেপড়া দুই বাংলাদেশি ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় শহরটি থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছেন। যারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিংবা আমরা যাদের কথা জেনেছি তাদের সবাইকে সহায়তা করা হয়েছে। ইউক্রেনের কোনো ডিটেনশন সেন্টারে আর কোনো বাংলাদেশি আটকে নেই।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহ না যেতেই অলভিয়া বন্দরে রুশ রকেট হামলার শিকার হয় বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি। এতে হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান নিহত হন। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি চাকরিতে ২২ হাজার নতুন নিয়োগের ঘোষণা আসছে

ইউক্রেনের সেই শিবির থেকে মুক্ত হলো আরও দুই বাংলাদেশি

আপডেট টাইম : ০৪:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইউক্রেনের ভেলিনের ডিটেনশন সেন্টারে আটকেপড়া চার বাংলাদেশির আরও দু’জনকে শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে। এ নিয়ে ওই ডিটেনশন সেন্টারে আটকে থাকা চার বাংলাদেশিকেই ছেড়ে দেওয়া হলো। তারা বর্তমানে পোল্যান্ডে রয়েছেন।
আটকেপড়া অভিবাসীরা জানান, মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে সহস্রাধিক ইউক্রেনীয় সেনার সঙ্গে একই শিবিরে বিভিন্ন দেশের শতাধিক অভিবাসীকে একসঙ্গে রাখা হয়েছিল। এরপর নানা পর্যায় থেকে তাদের মুক্ত করতে উদ্যোগ শুরু হয়।
শনিবার যে দু’জন বাংলাদেশি মুক্ত হয়েছেন তারা হলেন- রিয়াদ মালিক এবং নূর মোহাম্মদ। ইউক্রেনে বাংলাদেশ অনরারি কনস্যুলেটের উপদেষ্টা মাহবুবুল আলম ডয়েচে ভেলেকে বলেছেন, রিয়াদ মালিক এবং নূর মোহাম্মদকে মুক্ত করার বিষয়টি জটিল ছিল। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ ভেলিন শিবিরে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন প্রতিনিধিকে গিয়ে তাদের নিয়ে আসতে নির্দেশনা দেয়। বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে তখন একজন ইউক্রেনীয় নাগরিককে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দেওয়া হয়। শনিবার সকালে সেই নাগরিক ভেলিনের শিবিরে গিয়ে রিয়াদ ও নূরকে মুক্ত করেন ও গাড়িতে করে পোল্যান্ডের সীমান্তের দিকে নিয়ে যান।
তিনি বলেন, যেহেতু ইউক্রেনে বাংলাদেশ দূতাবাস নেই এবং অনারারি কনস্যুলেটও অনেক দূরে, তাই দূতাবাসের কেউ বা আমার পক্ষে সেই ডেটিনেশন সেন্টার থেকে তাদের মুক্ত করে সীমান্তে পৌঁছে দেয়া সম্ভব ছিল না। আমার এক ইউক্রেনীয় বন্ধু তখন সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন এবং সেন্টারে গিয়ে বাংলাদেশিদের মুক্ত করেন।
কিয়েভ থেকে এখনেও পাঁচ থেকে দশজন বাংলাদেশি নাগরিক পরিবারসহ পোল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মারিউপোলে যুদ্ধের মধ্যে আটকেপড়া দুই বাংলাদেশি ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় শহরটি থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছেন। যারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কিংবা আমরা যাদের কথা জেনেছি তাদের সবাইকে সহায়তা করা হয়েছে। ইউক্রেনের কোনো ডিটেনশন সেন্টারে আর কোনো বাংলাদেশি আটকে নেই।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। হামলা শুরুর পর এক সপ্তাহ না যেতেই অলভিয়া বন্দরে রুশ রকেট হামলার শিকার হয় বাংলাদেশি জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি। এতে হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান নিহত হন। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।