ঢাকা ০১:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

মাকে ছাড়া এখন জীবনটা কারাগারের মতো লাগছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২
  • ১৩৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘আমি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা মারা যাওয়ার পর মা-ই ছিলেন একমাত্র ভরসাস্থল। সুখ-দুঃখ মায়ের সাথেই শেয়ার করতাম। সেই মাকেও ওরা নির্মমভাবে খুন করলো! মাকে ছাড়া এখন জীবনটা কারাগারের মতো লাগছে। সারাক্ষণ মনে হয়, আমার সবচেয়ে দামি জিনিসটা আমার কাছে নেই। কেন ওরা আমার মাকে এমনভাবে খুন করলো? বাচ্চুকে বিশ্বাস করেছিলাম। বিশ্বাসের ফল পেয়েছি, তবে সব হারিয়ে।’

এভাবেই নিজের কষ্টের কথা কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন প্রায় আড়াই বছর আগে রাজধানীর ধানমন্ডিতে খুন হওয়া গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগমের মেয়ে অ্যাডভোকেট দিলরুবা সুলতানা রুবা।

একই দিনে আফরোজা বেগমের গৃহকর্মী দিতিও খুন হন। এ ঘটনায় দিলরুবা সুলতানা বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশের পর মামলার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মজিবুর রহমান গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাচ্চু মিয়া এবং গৃহকর্মী মোছা. সুরভী আক্তার নাহিদাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

যে তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে, তারা হলেন—ইলেকট্রিশিয়ান বেলায়েত হোসেন, বাড়ির কেয়ারটেকার গাউছুল আজম প্রিন্স এবং গার্ড নুরুজ্জামান। আগামী ২৮ মার্চ মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে।

বুধবার রাতে মোবাইল ফোনে মামলার বাদী দিলরুবা সুলতানা বলেন, ‘বাচ্চু আর সুরভীর অবশ্যই ফাঁসি চাই। আমার মা নামাজি মহিলা ছিলেন। নেশার টাকার জন্য দুইটা মানুষকে ওরা এমন নির্মমভাবে হত্যা করলো! ওদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’

তিনি বলেন, ‘আমার আর কে আছে? আম্মাই ছিলেন আমার ভরসাস্থল। আব্বা মারা যাওয়ার পর আম্মাই আমার জন্য সবকিছু করেছেন। সেই আম্মাকে ওরা এমনভাবে খুন করলো! আম্মার স্বাভাবিক মৃত্যু হলে বুঝতাম, আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু কিভাবে আম্মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো! বাচ্চুকে বিশ্বাস করেছিলাম। বিশ্বাসের মূল্য সে এভাবে দিলো? বিশ্বাসের ফল পেয়েছি, তবে সব হারিয়ে। এখন শিক্ষা হয়েছে। ঘটনার কিছুদিন আগে থেকে বাচ্চু খুবই বাড়াবাড়ি করত। তবে বাদ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আম্মাকে ম্যানেজ করে সে আবার কাজে রয়ে যায়। সেদিন যদি ওকে বিদায় করে দিতাম, তাহলে আম্মাকে হারাতে হতো না।’

দিলরুবা সুলতানা বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরাকে ওরে হত্যা করেছে। মাকে ছাড়া এখন জীবন আমার কারাগারের মতো কাটছে। সবকিছু খালি খালি লাগে। যিনি চলে গেছেন, তিনি তো আর ফিরে আসবেন না। তবে, তাকে যারা খুন করেছে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি চাই। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আমি রাষ্ট্রপতি, বিচার বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আশা করছি। তারা যেন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেন।’

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা  বলেছেন, বাচ্চু মিয়া এবং ভিকটিম আফরোজা বেগম একই গ্রামের বাসিন্দা (ময়মনসিংহের পাগলা থানার মুখী গ্রাম)। আফরোজা বেগম এবং তার স্বামীকে অভিভাবক হিসেবে মানতেন বাচ্চুর বাবা আব্দুল হেকিম। সেই সুবাধে বাচ্চু ওই বাসায় কাজ করত।

উল্লেখ্য, আব্দুল হেকিম মারা গেছেন। মারা যাওয়ার আগে অসুস্থ হলে আফরোজা বেগম তাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করান। এদিকে বাচ্চু মিয়া আফরোজা বেগমের গ্রামের জমি দেখাশোনা করত। এ সময় সুকৌশলে বাচ্চু বিশ্বস্ততা অর্জন করে। আফরোজা বেগমের অর্থ-সম্পদের বিষয়ে অবগত হয়।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে বাচ্চুর সঙ্গে পরিচয় হয় কিছু বখাটে লোকের। তাদের সঙ্গে চলাফেরা করত বাচ্চু। মাদক সেবন করত সে। তার মধ্যে বিলাসী জীবনযাপনের মানসিকতা জন্মে। ফলে, আফরোজা বেগমের অর্থ-সম্পদের ওপর বাচ্চুর লোভ জন্মায়। কিভাবে তা লুট করা যায়, সে সুযোগ খুঁজতে থাকে বাচ্চু।’

বাচ্চু প্রথমে বাসায় আন্তরিকভাবে কাজ করলেও ঘটনার কিছুদিন আগে তার মানসিকতা ও চালচলনে পরিবর্তন দেখা দেয়। ভুল কাজের জন্য তাকে কিছু বলে রুক্ষ আচরণ করত। বাচ্চুর চালচলন সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আফরোজা বেগমের মেয়ে এবং এ মামলার বাদী অ্যাডভোকেট দিলরুবা সুলতানা রুবা তাকে কাজ থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাচ্চু ভুল স্বীকার করে কাজে থেকে যায়। সে বিলাসী জীবনযাপনের বাসনা লালন করছিল। আফরোজা বেগমের বাসার অর্থ-সম্পদের বিষয়ে অবগত ছিল সে। কিভাবে তা লুট করা যায় সুযোগ খুঁজতে থাকে। তার পরিচিত সুরভীর মাধ্যমে একটি চাকু কেনে। সুরভীকে কাজের লোক সাজিয়ে কৌশলে ও পরিকল্পিতভাবে চাকুসহ বাসায় প্রবেশ করায়। ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকেলে আফরোজা বেগমের কাছে চাবি চায় তারা। আফরোজা বেগম চাবি দিতে অস্বীকার করলে রাগে-ক্ষোভে সুরভীসহ বাচ্চু আফরোজা বেগমকে ছুরি দিয়ে কয়েক দফা আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। আফরোজা বেগমকে মারার দৃশ্য দেখে ফেলে গৃহপরিচারিকা দিতি। পরে তারা তাকেও খুন করে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর রাতে ধানমন্ডির ১৫নং লোবেলিয়া অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম ও তার গৃহকর্মী দিতির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আফরোজা বেগমের মেয়ে অ্যাডভোকেট দিলরুবা সুলতানা বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

মাকে ছাড়া এখন জীবনটা কারাগারের মতো লাগছে

আপডেট টাইম : ০৭:২০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘আমি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা মারা যাওয়ার পর মা-ই ছিলেন একমাত্র ভরসাস্থল। সুখ-দুঃখ মায়ের সাথেই শেয়ার করতাম। সেই মাকেও ওরা নির্মমভাবে খুন করলো! মাকে ছাড়া এখন জীবনটা কারাগারের মতো লাগছে। সারাক্ষণ মনে হয়, আমার সবচেয়ে দামি জিনিসটা আমার কাছে নেই। কেন ওরা আমার মাকে এমনভাবে খুন করলো? বাচ্চুকে বিশ্বাস করেছিলাম। বিশ্বাসের ফল পেয়েছি, তবে সব হারিয়ে।’

এভাবেই নিজের কষ্টের কথা কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন প্রায় আড়াই বছর আগে রাজধানীর ধানমন্ডিতে খুন হওয়া গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগমের মেয়ে অ্যাডভোকেট দিলরুবা সুলতানা রুবা।

একই দিনে আফরোজা বেগমের গৃহকর্মী দিতিও খুন হন। এ ঘটনায় দিলরুবা সুলতানা বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশের পর মামলার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মজিবুর রহমান গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাচ্চু মিয়া এবং গৃহকর্মী মোছা. সুরভী আক্তার নাহিদাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

যে তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে, তারা হলেন—ইলেকট্রিশিয়ান বেলায়েত হোসেন, বাড়ির কেয়ারটেকার গাউছুল আজম প্রিন্স এবং গার্ড নুরুজ্জামান। আগামী ২৮ মার্চ মামলাটির পরবর্তী তারিখ ধার্য রয়েছে।

বুধবার রাতে মোবাইল ফোনে মামলার বাদী দিলরুবা সুলতানা বলেন, ‘বাচ্চু আর সুরভীর অবশ্যই ফাঁসি চাই। আমার মা নামাজি মহিলা ছিলেন। নেশার টাকার জন্য দুইটা মানুষকে ওরা এমন নির্মমভাবে হত্যা করলো! ওদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’

তিনি বলেন, ‘আমার আর কে আছে? আম্মাই ছিলেন আমার ভরসাস্থল। আব্বা মারা যাওয়ার পর আম্মাই আমার জন্য সবকিছু করেছেন। সেই আম্মাকে ওরা এমনভাবে খুন করলো! আম্মার স্বাভাবিক মৃত্যু হলে বুঝতাম, আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছেন। কিন্তু কিভাবে আম্মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো! বাচ্চুকে বিশ্বাস করেছিলাম। বিশ্বাসের মূল্য সে এভাবে দিলো? বিশ্বাসের ফল পেয়েছি, তবে সব হারিয়ে। এখন শিক্ষা হয়েছে। ঘটনার কিছুদিন আগে থেকে বাচ্চু খুবই বাড়াবাড়ি করত। তবে বাদ দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আম্মাকে ম্যানেজ করে সে আবার কাজে রয়ে যায়। সেদিন যদি ওকে বিদায় করে দিতাম, তাহলে আম্মাকে হারাতে হতো না।’

দিলরুবা সুলতানা বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরাকে ওরে হত্যা করেছে। মাকে ছাড়া এখন জীবন আমার কারাগারের মতো কাটছে। সবকিছু খালি খালি লাগে। যিনি চলে গেছেন, তিনি তো আর ফিরে আসবেন না। তবে, তাকে যারা খুন করেছে তাদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি চাই। ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আমি রাষ্ট্রপতি, বিচার বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি আশা করছি। তারা যেন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেন।’

চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা  বলেছেন, বাচ্চু মিয়া এবং ভিকটিম আফরোজা বেগম একই গ্রামের বাসিন্দা (ময়মনসিংহের পাগলা থানার মুখী গ্রাম)। আফরোজা বেগম এবং তার স্বামীকে অভিভাবক হিসেবে মানতেন বাচ্চুর বাবা আব্দুল হেকিম। সেই সুবাধে বাচ্চু ওই বাসায় কাজ করত।

উল্লেখ্য, আব্দুল হেকিম মারা গেছেন। মারা যাওয়ার আগে অসুস্থ হলে আফরোজা বেগম তাকে ঢাকায় এনে চিকিৎসা করান। এদিকে বাচ্চু মিয়া আফরোজা বেগমের গ্রামের জমি দেখাশোনা করত। এ সময় সুকৌশলে বাচ্চু বিশ্বস্ততা অর্জন করে। আফরোজা বেগমের অর্থ-সম্পদের বিষয়ে অবগত হয়।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন আগে বাচ্চুর সঙ্গে পরিচয় হয় কিছু বখাটে লোকের। তাদের সঙ্গে চলাফেরা করত বাচ্চু। মাদক সেবন করত সে। তার মধ্যে বিলাসী জীবনযাপনের মানসিকতা জন্মে। ফলে, আফরোজা বেগমের অর্থ-সম্পদের ওপর বাচ্চুর লোভ জন্মায়। কিভাবে তা লুট করা যায়, সে সুযোগ খুঁজতে থাকে বাচ্চু।’

বাচ্চু প্রথমে বাসায় আন্তরিকভাবে কাজ করলেও ঘটনার কিছুদিন আগে তার মানসিকতা ও চালচলনে পরিবর্তন দেখা দেয়। ভুল কাজের জন্য তাকে কিছু বলে রুক্ষ আচরণ করত। বাচ্চুর চালচলন সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আফরোজা বেগমের মেয়ে এবং এ মামলার বাদী অ্যাডভোকেট দিলরুবা সুলতানা রুবা তাকে কাজ থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাচ্চু ভুল স্বীকার করে কাজে থেকে যায়। সে বিলাসী জীবনযাপনের বাসনা লালন করছিল। আফরোজা বেগমের বাসার অর্থ-সম্পদের বিষয়ে অবগত ছিল সে। কিভাবে তা লুট করা যায় সুযোগ খুঁজতে থাকে। তার পরিচিত সুরভীর মাধ্যমে একটি চাকু কেনে। সুরভীকে কাজের লোক সাজিয়ে কৌশলে ও পরিকল্পিতভাবে চাকুসহ বাসায় প্রবেশ করায়। ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকেলে আফরোজা বেগমের কাছে চাবি চায় তারা। আফরোজা বেগম চাবি দিতে অস্বীকার করলে রাগে-ক্ষোভে সুরভীসহ বাচ্চু আফরোজা বেগমকে ছুরি দিয়ে কয়েক দফা আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। আফরোজা বেগমকে মারার দৃশ্য দেখে ফেলে গৃহপরিচারিকা দিতি। পরে তারা তাকেও খুন করে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর রাতে ধানমন্ডির ১৫নং লোবেলিয়া অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম ও তার গৃহকর্মী দিতির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আফরোজা বেগমের মেয়ে অ্যাডভোকেট দিলরুবা সুলতানা বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।