হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ দূতাবাস লিসবন, যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে আজ (৭ মার্চ ২০২২ তারিখে) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ-এ প্রদত্ত কালজয়ী ভাষণের স্মরণে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস” পালন করেছে।
পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব তারিক আহসান দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ এবং পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্মানিত সদস্যদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। অতঃপর “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস” উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।
পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দের অংশগ্রহণে দিবসটি উপলক্ষ্যে এক মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে আলোচকবৃন্দ বাঙালি জাতির ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই ভাষণের তাৎপর্য তুলে ধরেন। সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাঙালির অধিকার আদায়ের সকল গণতান্ত্রিক প্রচেষ্টা নিষ্ফল হবার প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু, তাঁর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে বাংলার নিষ্পেষিত মুক্তিকামী জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন । রাষ্ট্রদূত আরো মন্তব্য করেন, বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব এবং ৭ই মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ, সমগ্র বাঙালি জাতিকে যেভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে একাত্ম করেছিল, বিশ্ব ইতিহাসে তা একান্তই বিরল। আর সেজন্যই ইউনেস্কো ভাষণটিকে মানবজাতির একটি প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে। পরিশেষে, রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সবাইকে ৭ই মার্চের ভাষণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং ঐক্য ও সংকল্পের মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভাশেষে “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ -এর ভাষণ” এর উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায় কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।