শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের সময় গোয়েন্দা পুলিশ তার বাসায় প্রবেশে সাংবাদিকের যে পরিচয় দিয়েছিল, এটি কৌশলের অংশ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্রিমিনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে চলে যাবার সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন। ঢাবির মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, পুলিশ বিভিন্ন সময় আসামি ধরার জন্য বিভিন্নরকম কৌশল অবলম্বন করে থাকে। কৌশলের অংশ হিসেবে কখনো ভিক্ষুক, কখনো হকার আবার কখনো অন্য পরিচয় দেওয়া হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রেও (শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের সময়) কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল। তবে গোয়েন্দা পুলিশের গায়ে তখন জ্যাকেট পরা ছিল বলে জেনেছি।
শফিক রেহমানকে স্বসম্মানে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, অামার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানকে সুনির্দিষ্ট মামলায় তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
পুলিশের প্রধান আরও বলেন, প্রমাণিত তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের কাছে তথ্য প্রমাণ না থাকলে তো পুলিশ গ্রেফতার করবে না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টকশোতে যা ইচ্ছে তাই বলা হচ্ছে এটা ঠিক না।
ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. জিয়া রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, একুশে টিভির সিইও মনজুরুল অাহসান বুলবুল, ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ অাহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লুবনা মরিয়ম প্রমুখ।