ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুজিব নগর সরকার অস্থায়ী সরকার ছিলো না : সৈয়দ আশরাফ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৬
  • ২৩৩ বার

আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষরিত ও অনুমোদিত সম্মেলনের মাধ্যমে নবগঠিত কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসের মাইলফলক। বাংলাদেশের জন্য মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম।”

তিনি বলেন, ‘মুজিব নগর সরকার অস্থায়ী সরকার ছিলো না। এটা বাংলাদেশের সর্ব প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার সময় বাংলাদেশে কার্যত কোন সরকার ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হলেও এবং তাকে সরকার প্রধান হিসাবে ঘোষণা দেয়া হলেও বাংলাদেশ সরকারের রূপরেখা ১৯৭১ এর ১০ই এপ্রিল পর্যন্ত স্পষ্ট ছিলো না।’

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল ১৯৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় পরিষদের সদস্যরা আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন এবং এই সরকার ১৭ই এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার (যেটিকে পরে মুজিবনগর নামে নামকরণ করা হয়) একটি আমবাগানে শপথ গ্রহণ করেন।’

তিনি বলেন, ‘১৭ই এপ্রিল শপথ নিলেও ১০ই এপ্রিল সরকার গঠনের পর সেইদিনই তারা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামীলীগের ইতিহাসে অভিষেক অনুষ্ঠান করা হয়না। আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এই কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান চালু করে যেভাবে ইতিহাস সৃষ্টি করলো এরপর থেকে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় এরকম অভিষেক অনুষ্ঠান চালু করা যেতে পারে।’

অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুখ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান সিরাজ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: বদিউজ্জামান ডাবলু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন।

আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকারকে প্রতিহিংসা থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে বিএনপি। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। সেসময় আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীর উপর হামলা চালিয়েছিলেন। শাহ এ এস এম কিবরিয়াসহ অনেক নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে তাদের আমলে। আর এতেই বোঝা যায় আওয়ামীলীগ কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বিএনপি। দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন।’ ৮০ ভাগ মানুষই আওয়ামীলীগকে সমর্থন করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী। এসময় জেলা আওয়ামীলীগ, থানা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মুজিব নগর সরকার অস্থায়ী সরকার ছিলো না : সৈয়দ আশরাফ

আপডেট টাইম : ০১:০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৬

আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাক্ষরিত ও অনুমোদিত সম্মেলনের মাধ্যমে নবগঠিত কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসের মাইলফলক। বাংলাদেশের জন্য মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব অপরিসীম।”

তিনি বলেন, ‘মুজিব নগর সরকার অস্থায়ী সরকার ছিলো না। এটা বাংলাদেশের সর্ব প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার সময় বাংলাদেশে কার্যত কোন সরকার ছিলো না। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করা হলেও এবং তাকে সরকার প্রধান হিসাবে ঘোষণা দেয়া হলেও বাংলাদেশ সরকারের রূপরেখা ১৯৭১ এর ১০ই এপ্রিল পর্যন্ত স্পষ্ট ছিলো না।’

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল ১৯৭০ এর নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় পরিষদের সদস্যরা আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশ সরকার গঠন করেন এবং এই সরকার ১৭ই এপ্রিল কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার (যেটিকে পরে মুজিবনগর নামে নামকরণ করা হয়) একটি আমবাগানে শপথ গ্রহণ করেন।’

তিনি বলেন, ‘১৭ই এপ্রিল শপথ নিলেও ১০ই এপ্রিল সরকার গঠনের পর সেইদিনই তারা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গ্রহণ করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামীলীগের ইতিহাসে অভিষেক অনুষ্ঠান করা হয়না। আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ এই কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান চালু করে যেভাবে ইতিহাস সৃষ্টি করলো এরপর থেকে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় এরকম অভিষেক অনুষ্ঠান চালু করা যেতে পারে।’

অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ফারুখ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান সিরাজ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: বদিউজ্জামান ডাবলু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন।

আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেব বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকারকে প্রতিহিংসা থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছেন।’

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে বিএনপি। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। সেসময় আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীর উপর হামলা চালিয়েছিলেন। শাহ এ এস এম কিবরিয়াসহ অনেক নেতাকর্মীকে প্রাণ দিতে হয়েছে তাদের আমলে। আর এতেই বোঝা যায় আওয়ামীলীগ কখনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। প্রতিহিংসার রাজনীতি করে বিএনপি। দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন।’ ৮০ ভাগ মানুষই আওয়ামীলীগকে সমর্থন করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী। এসময় জেলা আওয়ামীলীগ, থানা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।