ঢাকা ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
২০০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি কাতারের আমিরের প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা তামিম-হেলসের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভিন্নমত বিএনপিসহ বেশির ভাগ দলের ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ

অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের রক্ত প্রতিস্থাপনে এইডস মুক্ত রোগী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘হিউম্যান লিউকোসাইটিক অ্যান্টিজেন’ ঠিক করে দেয় স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে এইচআইভির (HIV) মতো মারণরোগ থেকে মুক্তির দিশা। অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের (নাভিরজ্জু) রক্ত প্রতিস্থাপন করে এডস রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই ঘটনায় আশার আলো দেখছেন রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, কর্ড ব্লাড ট্রান্সপ্ল্যান্ট। এতদিন এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল বিশ্বের চিকিৎসক মহল। কিন্তু ঘটনা হল, এডস রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উৎসাহিত চিকিৎসক মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক মহিলা লিউকেমিয়া রোগে ভুগছিলেন। ২০১৩ সালে তার এইডস ধরা পড়ে। আবার ২০১৭ সালে অ্যাকিউট মায়েলজেনাস লিউকেমিয়া ধরা পড়ে। অ্যান্টিরেট্রভিয়াল থেরাপি চলার সময় কর্ড ব্লাড থেরাপির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রসূন ভট্টাচার্যর কথায়, “অ্যাম্বিলিকাল কর্ডের রক্তে যে স্টেম কোষ থাকে তা এইচআইভি ভাইরাসের মিউটেশন বন্ধ করে দিতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় হিউম্যান লিউকোসাইটিক অ্যান্টিজেন।’ তার কথায়, দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে এইচএলএ ম্যাচ করলেই রোগী সুস্থ হবেন। যেমনটা ওই ক্ষেত্রে হয়েছে।” উল্লেখ্য, অস্ত্রোপচারের দু’সপ্তাহের মধ্যে রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এতদিন ধরে স্টেম সেল থেরাপি করা হত। এবার নতুন পদ্ধতি অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে রোগমুক্তি রোগের বিরুদ্ধে নয়া অস্ত্র। কিন্তু প্রশ্ন হল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ বা অন্য সরকারি হাসপাতালে এই পদ্ধতি কতটা সম্ভবপর? অধ্যাপক প্রসূন ভট্টাচার্যর কথায়, “মেডিক্যাল কলেজে তো অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে অন্য রোগের চিকিৎসা হয়েছে। বাইরে থেকে আনা হয়েছে। আসলে এই উপাদান কতটা সাধারণ মানুষের আয়ত্তে থাকবে তার উপর নির্ভর করে।” মেডিক্যালের পরিকাঠামো ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যে যথেষ্ট রয়েছেন তা ষ্পষ্ট করেছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

২০০ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি

অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের রক্ত প্রতিস্থাপনে এইডস মুক্ত রোগী

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘হিউম্যান লিউকোসাইটিক অ্যান্টিজেন’ ঠিক করে দেয় স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে এইচআইভির (HIV) মতো মারণরোগ থেকে মুক্তির দিশা। অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের (নাভিরজ্জু) রক্ত প্রতিস্থাপন করে এডস রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই ঘটনায় আশার আলো দেখছেন রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, কর্ড ব্লাড ট্রান্সপ্ল্যান্ট। এতদিন এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ছিল বিশ্বের চিকিৎসক মহল। কিন্তু ঘটনা হল, এডস রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার খবর প্রকাশ্যে আসতেই উৎসাহিত চিকিৎসক মহল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক মহিলা লিউকেমিয়া রোগে ভুগছিলেন। ২০১৩ সালে তার এইডস ধরা পড়ে। আবার ২০১৭ সালে অ্যাকিউট মায়েলজেনাস লিউকেমিয়া ধরা পড়ে। অ্যান্টিরেট্রভিয়াল থেরাপি চলার সময় কর্ড ব্লাড থেরাপির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশনের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. প্রসূন ভট্টাচার্যর কথায়, “অ্যাম্বিলিকাল কর্ডের রক্তে যে স্টেম কোষ থাকে তা এইচআইভি ভাইরাসের মিউটেশন বন্ধ করে দিতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেয় হিউম্যান লিউকোসাইটিক অ্যান্টিজেন।’ তার কথায়, দাতা ও গ্রহীতার মধ্যে এইচএলএ ম্যাচ করলেই রোগী সুস্থ হবেন। যেমনটা ওই ক্ষেত্রে হয়েছে।” উল্লেখ্য, অস্ত্রোপচারের দু’সপ্তাহের মধ্যে রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এতদিন ধরে স্টেম সেল থেরাপি করা হত। এবার নতুন পদ্ধতি অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে রোগমুক্তি রোগের বিরুদ্ধে নয়া অস্ত্র। কিন্তু প্রশ্ন হল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ বা অন্য সরকারি হাসপাতালে এই পদ্ধতি কতটা সম্ভবপর? অধ্যাপক প্রসূন ভট্টাচার্যর কথায়, “মেডিক্যাল কলেজে তো অ্যাম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে অন্য রোগের চিকিৎসা হয়েছে। বাইরে থেকে আনা হয়েছে। আসলে এই উপাদান কতটা সাধারণ মানুষের আয়ত্তে থাকবে তার উপর নির্ভর করে।” মেডিক্যালের পরিকাঠামো ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যে যথেষ্ট রয়েছেন তা ষ্পষ্ট করেছেন তিনি।