আপনার অভিনীত ছবি ইউটার্ন মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার। কেমন সাড়া পাচ্ছেন দর্শকের কাছ থেকে?
এখন পর্যন্ত অনেকেই আমাকে শুভকামনা জানিয়েছেন। আসলে এ ছবিতে আমি গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে অভিনয় করেছি। চরিত্র এবং পোশাক পরিকল্পনায়ও নতুনত্ব ছিল। সব মিলিয়ে এক ধরনের অপেক্ষায় ছিলাম দর্শক কীভাবে আমাকে গ্রহণ করে। আমার মনে হয় সবকিছুই ঠিকঠাক আছে।
ছবিটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলেন কি?
শহীদুজ্জামান সেলিম ভাই এবং আমিই এখন পর্যন্ত প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখতে পারিনি। সেলিম ভাই একটি কাজে ঢাকার বাইরে আছেন। আর আমি নাটকের শুটিংয়ের ব্যস্ততায় সময় বের করতে পারছি না। তবে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন চলাকালীনই ছবিটি দেখব।
শুটিংয়ের আগে পরিচালক যেভাবে আপনার চরিত্র চিত্রায়ণের পরিকল্পনা করেছিলেন, সেটার বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে?
ডাবিংয়ের সময় এবং এরপর আমি আমার অভিনয় দেখেছি। ডাবিংয়ের পর পরিচালকও বলেছেন, তিনি যে পরিকল্পনা নিয়ে আমাকে এ ছবিতে নিয়েছিলেন, সেটা নাকি ঠিক আছে। আসলে দর্শকই চূড়ান্ত বিচারক।
অনেক ছবি ঠিক থাকলেও ব্যবসা সফল না হওয়ার কারণ কী বলে মনে করেন?
আমি বলব প্রেক্ষাগৃহের পরিবেশের জন্যই প্রযোজক টাকা তুলে আনতে পারছেন না। এর জন্য কেউ কেউ বিকল্পভাবে সিনেমা দেখে থাকেন। আর সিনেমাপ্রেমী বিশালসংখ্যক দর্শক হলবিমুখ হয়ে পড়ছেন। সিনেমা হলের উন্নতি হলে দর্শকের সংখ্যা বাড়বে। এতে করে প্রযোজক এবং হল মালিকও লাভবান হবেন। প্রচুরসংখ্যক সিনেমাও নির্মিত হবে।
আপনার আরও একটি সিনেমা অনেক দিন ধরে অনিশ্চিত হয়ে আছে। এর অগ্রগতি কেমন?
ওই ছবির কোনো খবরই আমার কাছে নেই। এটির পরিচালক রাফায়েল আহসানই এর সঠিক খবর জানেন। তবে বর্তমানে কোনো নতুন ছবিতে কাজ করছি না। মূল ধারার সিনেমায় আর কাজ করছি না। তবে ‘ইউটার্ন’ ছবিটির শুটিং চলাকালীন কয়েকটি আর্ট ফিল্মের প্রস্তাব এসেছিল; ঢাকার বাইরে লোকেশন হওয়ায় কাজগুলো করিনি। কারণ আমার ছোট্ট মেয়েকে রেখে ঢাকার বাইরে থাকা সম্ভব নয়।
শুনেছি উপস্থাপনায় ফিরছেন আবার?
হ্যাঁ। মাছরাঙা টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানে আমি উপস্থাপনা করব। এটি রোজার সময় এক মাস প্রচার হবে। মূলত খাবারবিষয়ক অনুষ্ঠান। এটি প্রযোজনা করছেন অজয় পোদ্দার। আগামী সপ্তাহ থেকে এফডিসিতে এর শুটিং শুরু হবে। এর আগে দুই রমজানেও অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছি।
নাটকে অভিনয়ের কথা বলুন।
বর্তমানে আমার অভিনীত দুইটি ধারাবাহিক নাটক প্রচার হচ্ছে। আফসানা মিমির পরিচালনায় এটিএন বাংলায় প্রচার হচ্ছে ‘সাতটি তারার তিমির’ এবং মাসুদ সেজানের ‘চলিতেছে সার্কাস’ প্রচার হচ্ছে বাংলাভিশনে। ১২ জুন থেকে রেদওয়ান রনির পরিচালনায় ‘ঝালমুড়ি’ ধারাবাহিক নাটক আরটিভিতে প্রচার শুরু হবে। আর প্রতি ঈদেই হাতেগোনা কয়েকটি নাটকে অভিনয় করি। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না।
সংবাদ শিরোনাম
দর্শকই চূড়ান্ত বিচারক
- Reporter Name
- আপডেট টাইম : ০৬:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০১৫
- ২৯৭ বার
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ