ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিবরিয়া হত্যা মামলায়,৩ বছরে সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়েছে মাত্র একজনের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৫০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৩২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ১৭ বছর পূর্ণ হলো আজ ২৭ জানুয়ারি। দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা ভয়ানক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু সাক্ষি না আসাসহ বিভিন্ন জটিলতায় বিচারকার্য অনেকটাই থমকে আছে। ১৭১ জনের মধ্যে গত ৬ বছরে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে মাত্র ৪৪ জনের। এ মামলায় ৩ বছরে সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়েছে মাত্র একজনের।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আব্দাল জানান, ইতোমধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এটি আইনি প্রক্রিয়ায় চলছে। প্রসিকিউশনও প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, বিচার হতে আগে যা দেরি হয়েছে। কারণ কয়েকবার নারাজি ছিল। তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাই দেরি হয়েছে। এখন আশা করা যায় ২ থেকে আড়াই বছরের মধ্যে বিচারটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগ কেউই হত্যাকারীদের বিচার করতে সক্ষম হয়নি। তবে এ দিন বেশি দূর নয়, যেদিন বাংলার মাটিতে আমার বাবার হত্যার বিচার হবে। অন্যরা ২ বছর করে সময় পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ১৩ বছর সময় পেলো। তারা এ সময়েও কেন বিচার করতে পারেনি তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো জবাব নেই।

মামলায় যে ৩টি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তার সবগুলোকেই তিনি মিথ্যা বলে দাবি করে জানান, এ চার্জশিটগুলো তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লস্করপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরো জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে ১৭ বছরেও এমন একটি হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি অতি দ্রুত যেন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা হয়। তাহলেই এ এলাকার মানুষ শান্তি পাবে। কলঙ্কও মোচন হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের এ দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ মোট ৫ জন নিহত হন। এতে আহত হন ৪৩ জন। উক্ত ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা রোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় ৬ বছরে আগে। কিন্তু নানান কারণে বিচারকার্যে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় বিচার নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কিবরিয়া হত্যা মামলায়,৩ বছরে সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়েছে মাত্র একজনের

আপডেট টাইম : ০৯:৫০:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যার ১৭ বছর পূর্ণ হলো আজ ২৭ জানুয়ারি। দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা ভয়ানক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কয়েক বছর আগে। কিন্তু সাক্ষি না আসাসহ বিভিন্ন জটিলতায় বিচারকার্য অনেকটাই থমকে আছে। ১৭১ জনের মধ্যে গত ৬ বছরে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে মাত্র ৪৪ জনের। এ মামলায় ৩ বছরে সাক্ষ্য নেওয়া সম্ভব হয়েছে মাত্র একজনের।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আব্দাল জানান, ইতোমধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এটি আইনি প্রক্রিয়ায় চলছে। প্রসিকিউশনও প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, বিচার হতে আগে যা দেরি হয়েছে। কারণ কয়েকবার নারাজি ছিল। তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাই দেরি হয়েছে। এখন আশা করা যায় ২ থেকে আড়াই বছরের মধ্যে বিচারটি সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, বিএনপি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আওয়ামী লীগ কেউই হত্যাকারীদের বিচার করতে সক্ষম হয়নি। তবে এ দিন বেশি দূর নয়, যেদিন বাংলার মাটিতে আমার বাবার হত্যার বিচার হবে। অন্যরা ২ বছর করে সময় পেয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ১৩ বছর সময় পেলো। তারা এ সময়েও কেন বিচার করতে পারেনি তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো জবাব নেই।

মামলায় যে ৩টি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তার সবগুলোকেই তিনি মিথ্যা বলে দাবি করে জানান, এ চার্জশিটগুলো তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

লস্করপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরো জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে ১৭ বছরেও এমন একটি হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের দাবি অতি দ্রুত যেন এ হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা হয়। তাহলেই এ এলাকার মানুষ শান্তি পাবে। কলঙ্কও মোচন হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের এ দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। সভা শেষে ফেরার সময় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় তিনি ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ মোট ৫ জন নিহত হন। এতে আহত হন ৪৩ জন। উক্ত ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। দফায় দফায় তদন্তের বেড়াজালে আটকে থাকা রোমহর্ষক এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু হয়েছে প্রায় ৬ বছরে আগে। কিন্তু নানান কারণে বিচারকার্যে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় বিচার নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নিহতদের স্বজন ও স্থানীয়রা।