ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাওরকে খুব ভালোবাসেন প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২
  • ২৬৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরকে খুব ভালোবাসেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনের ২য় তলার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার রাতে অষ্টগ্রাম ইটনা মিঠামইন উপজেলা উন্নয়ন ও কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে রাষ্ট্রপতির ৭৯তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমিতির সভাপতি হাজী মো. সোলায়মানের সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বৃহত্তম ময়মনসিংহ সমিতির মহাসচিব হারুন-অর-রশীদ, রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিন্সিপাল আব্দুল হক ও রাষ্ট্রপতির ভাগ্নে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি চাই আমার বাপ-চাচা যারা গ্রামে বড় হয়েছে পানির স্বাদ খেয়ে, কচু, খেঁচো খেয়ে। তাদের জন্য আমি কাজ করতে চাই। আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই কাজগুলো করতে পারছি।

তিনি বলেন, আমি যখন (সম্প্রতি) রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি, তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনি দুই জেলার (সুনামগঞ্জ-নেত্রকোণা) মধ্যে সংযোগ করে দিচ্ছেন এখানে আমাদের (কিশোরগঞ্জ) এলাকাকেও লাগিয়ে দেন। তাহলে আমরা আপনাদের এলাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করতে পারব।’

এম এ মান্নান বলেন, হাওর আমার জন্মভূমি। হাওর আমার মা, হাওর আমার বাবা। কয়েকদিন আগে আমরা একনেকে বিশাল প্রকল্প পাস করলাম। নেত্রকোনার সঙ্গে সুনামগঞ্জের সারা বছরের সংযোগ হবে। এটি আগে চিন্তাও করা যায়নি। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।

তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে যখন প্রধানমন্ত্রী ও আমার উপস্থিতিতে এই সড়ক নিয়ে আলোচনা হয় তখন এলজিইডির ইঞ্জিনিয়াররা হাত তুলে বললেন, ‘এটা অসম্ভব’। এই দিকে রাস্তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এটাকে ডুবা রাস্তা করতে হবে। আর না হয় যেভাবে আছে সেভাবেই ট্রলার দিয়ে চলাচল করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাহস দিলেন। তিনি বললেন, ‘এটা তো পদ্মা সেতু নয়। পদ্মায় যদি সেতু বানানো যায়, মেঘনায় যদি সেতু বানানো যায়, তাহলে এখানে কেন পারা যাবে না। এটাতো জমি-এখানে বর্ষা হলে পানি হয়, শীতকালে শুকিয়ে যায়। আমরা এখানে ফ্লাইওভার (উড়াল সেতু) করব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো এরকম নাই যে, পাশাপাশি দুটো জেলা, কিন্তু কোনো সংযোগ নাই। অন্য জেলার সংযোগ দিয়ে আমাদের চলতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এজন্য সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস করে দিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

হাওরকে খুব ভালোবাসেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০২:৫৬:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ জানুয়ারী ২০২২

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওরকে খুব ভালোবাসেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনের ২য় তলার মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে শনিবার রাতে অষ্টগ্রাম ইটনা মিঠামইন উপজেলা উন্নয়ন ও কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে রাষ্ট্রপতির ৭৯তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমিতির সভাপতি হাজী মো. সোলায়মানের সভাপতিত্বে এবং সহসভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক রাজেন্দ্র চন্দ্র দেব মন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বৃহত্তম ময়মনসিংহ সমিতির মহাসচিব হারুন-অর-রশীদ, রাষ্ট্রপতির ছোট ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিন্সিপাল আব্দুল হক ও রাষ্ট্রপতির ভাগ্নে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি চাই আমার বাপ-চাচা যারা গ্রামে বড় হয়েছে পানির স্বাদ খেয়ে, কচু, খেঁচো খেয়ে। তাদের জন্য আমি কাজ করতে চাই। আমার নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই কাজগুলো করতে পারছি।

তিনি বলেন, আমি যখন (সম্প্রতি) রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি, তখন তিনি আমাকে বললেন, ‘আপনি দুই জেলার (সুনামগঞ্জ-নেত্রকোণা) মধ্যে সংযোগ করে দিচ্ছেন এখানে আমাদের (কিশোরগঞ্জ) এলাকাকেও লাগিয়ে দেন। তাহলে আমরা আপনাদের এলাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করতে পারব।’

এম এ মান্নান বলেন, হাওর আমার জন্মভূমি। হাওর আমার মা, হাওর আমার বাবা। কয়েকদিন আগে আমরা একনেকে বিশাল প্রকল্প পাস করলাম। নেত্রকোনার সঙ্গে সুনামগঞ্জের সারা বছরের সংযোগ হবে। এটি আগে চিন্তাও করা যায়নি। সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প।

তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে যখন প্রধানমন্ত্রী ও আমার উপস্থিতিতে এই সড়ক নিয়ে আলোচনা হয় তখন এলজিইডির ইঞ্জিনিয়াররা হাত তুলে বললেন, ‘এটা অসম্ভব’। এই দিকে রাস্তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এটাকে ডুবা রাস্তা করতে হবে। আর না হয় যেভাবে আছে সেভাবেই ট্রলার দিয়ে চলাচল করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাহস দিলেন। তিনি বললেন, ‘এটা তো পদ্মা সেতু নয়। পদ্মায় যদি সেতু বানানো যায়, মেঘনায় যদি সেতু বানানো যায়, তাহলে এখানে কেন পারা যাবে না। এটাতো জমি-এখানে বর্ষা হলে পানি হয়, শীতকালে শুকিয়ে যায়। আমরা এখানে ফ্লাইওভার (উড়াল সেতু) করব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর কোনো এরকম নাই যে, পাশাপাশি দুটো জেলা, কিন্তু কোনো সংযোগ নাই। অন্য জেলার সংযোগ দিয়ে আমাদের চলতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের এজন্য সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস করে দিয়েছেন।