ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চড়া সবজির বাজার, বরবটির কেজি ৮০ টাকা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৯:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • ২৩৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলছে শীতের মৌসুম। এই সময়ে দাম কম থাকার কথা থাকলেও এখনো চড়া সবজির বাজার। এর আগে বিক্রেতারা বলেছিলেন, শীত আসলে সবজির দাম কমে যাবে। তবে ক্রেতারা বলছেন বাজার এখনো বাড়তি সবজির দাম।

সপ্তাহের বাজারে করলা-বরবটি এখনো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। এছাড়া অন্য সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় ৫০ টাকায়। বাজারে এসে দাম দেখে ক্রেতার জিজ্ঞেস করছেন, সবজির দাম আর কবে কমবে?শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখনও প্রতিটি সবজিই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি থাকার পরও সবজি কেন এত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা। তারা বলছেন, পাইকারি বাজারে বেশি দামে কেনা পড়ছে, তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এছাড়া পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি যাচ্ছে।

dhaka post

বাজারে দেশি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। সিম মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাঁজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ছোটগুলো ৮০ টাকা, বড় করলা হাইব্রিড ৬০ টাকা, বরবটি ছোট লালটা ৫০ টাকা, শালগম ৪০ টাকায়, খিরা ৪০ টাকা, বরবটি সবুজটা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও মাঝারি ধরনের ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, ফুলকা (পিয়াজের ফুল) ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি আটি, বাঁধাকপি মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।নতুন পেয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও, আগের ভালো মানের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।

dhaka post

বাজারে ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। এক কেজি বয়লার মুরগির দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। কক মুরগি ২৪০ টাকায়, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। এই মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।
পাশাপাশি আজকের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। আর খাসির দাম ৮৫০ টাকা।

 

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে গুলশান সংলগ্ন কাঁচাবাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল হাসানা প্রান্ত। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শীত চলে এসেছে কিন্তু বাজারে সবজির দাম এখনো কমেনি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং বরবটিও বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। সব ধরনের সবজিই এখনও ৫০ টাকা বা তার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।রমজানের আগেই হঠাৎ বেড়েছে সবজির দাম – PBA Agency For Photo News

তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা সবজি কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। মাছ মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম না হয় বাদই দিলাম। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে শীত চলে আসার পরও সবজির দাম বেশি। এটা খুবই দুঃখ আর হতাশার বিষয়।

 

দাম বেশির বিষয়ে রামপুরা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মোখলেসুর রহমান বলেন, ভেবেছিলাম শীত আসলে সবজির দাম কমে যাবে। কিন্তু এখনও সেই অর্থে দাম কমেনি। পাইকারি বাজারে সবজি কিনতে গেলে সেখানেও বাড়তি দাম। তাদের প্রশ্ন করলে তারা বলে, বাজারে সবজির হাত বদলালেই দাম বেড়ে যায়। এছাড়া মালের ঘাটতি, চাঁদাবাজি, পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চড়া সবজির বাজার, বরবটির কেজি ৮০ টাকা

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলছে শীতের মৌসুম। এই সময়ে দাম কম থাকার কথা থাকলেও এখনো চড়া সবজির বাজার। এর আগে বিক্রেতারা বলেছিলেন, শীত আসলে সবজির দাম কমে যাবে। তবে ক্রেতারা বলছেন বাজার এখনো বাড়তি সবজির দাম।

সপ্তাহের বাজারে করলা-বরবটি এখনো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। এছাড়া অন্য সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি প্রায় ৫০ টাকায়। বাজারে এসে দাম দেখে ক্রেতার জিজ্ঞেস করছেন, সবজির দাম আর কবে কমবে?শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এখনও প্রতিটি সবজিই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি থাকার পরও সবজি কেন এত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি বিক্রেতারা। তারা বলছেন, পাইকারি বাজারে বেশি দামে কেনা পড়ছে, তাই খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। এছাড়া পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ায় দাম বাড়তি যাচ্ছে।

dhaka post

বাজারে দেশি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকায়। সিম মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাঁজর ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, করলা ছোটগুলো ৮০ টাকা, বড় করলা হাইব্রিড ৬০ টাকা, বরবটি ছোট লালটা ৫০ টাকা, শালগম ৪০ টাকায়, খিরা ৪০ টাকা, বরবটি সবুজটা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও মাঝারি ধরনের ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, ফুলকা (পিয়াজের ফুল) ২০ থেকে ৩০ টাকা প্রতি আটি, বাঁধাকপি মাঝারি সাইজের প্রতি পিস ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা কলা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।নতুন পেয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হলেও, আগের ভালো মানের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়।

dhaka post

বাজারে ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়। এক কেজি বয়লার মুরগির দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। কক মুরগি ২৪০ টাকায়, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগি। এই মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়।
পাশাপাশি আজকের বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। আর খাসির দাম ৮৫০ টাকা।

 

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে গুলশান সংলগ্ন কাঁচাবাজারে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী নাজমুল হাসানা প্রান্ত। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শীত চলে এসেছে কিন্তু বাজারে সবজির দাম এখনো কমেনি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং বরবটিও বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। সব ধরনের সবজিই এখনও ৫০ টাকা বা তার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।রমজানের আগেই হঠাৎ বেড়েছে সবজির দাম – PBA Agency For Photo News

তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতারা সবজি কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে। মাছ মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম না হয় বাদই দিলাম। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে শীত চলে আসার পরও সবজির দাম বেশি। এটা খুবই দুঃখ আর হতাশার বিষয়।

 

দাম বেশির বিষয়ে রামপুরা বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা মোখলেসুর রহমান বলেন, ভেবেছিলাম শীত আসলে সবজির দাম কমে যাবে। কিন্তু এখনও সেই অর্থে দাম কমেনি। পাইকারি বাজারে সবজি কিনতে গেলে সেখানেও বাড়তি দাম। তাদের প্রশ্ন করলে তারা বলে, বাজারে সবজির হাত বদলালেই দাম বেড়ে যায়। এছাড়া মালের ঘাটতি, চাঁদাবাজি, পরিবহন ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে সবজির দাম বাড়তি যাচ্ছে।