চলতি মাসের শেষদিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি মৌসুমী নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির নিয়মিত বৈঠক এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, সদ্যগত মে মাসে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩৮ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঢাকা, চট্রগ্রাম, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে স্বাভাবিকের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে রংপুর ও সিলেট বিভাগে হয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। আর রাজশাহী বিভাগে প্রায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। মে মাসে দেশের বেশ কিছু জায়গায় কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্রবৃষ্টি হয়েছে।
পশ্চিমা লঘুচাপের সাথে পূবালী বায়ু প্রবাহের সংযোগ ঘটায় দেশের উত্তর এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে মে মাসে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। গত ৩ মে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে মৃদু ধরনের তাপপ্রবাহ শুরু হয়।
তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধির কারণে ১৩ থেকে ১৫ মে এবং ২০ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত খুলনা ও রাজশাহী বিভাগসহ ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কয়েকটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় (২২ মে ২০১৫) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
বৃষ্টিপাত ব্যতিত তাপমাত্রা, তাপপ্রবাহ, কৃষি আবহাওয়ার পূর্বাভাস এবং নদনদীর অবস্থা মে মাসের পূর্বাভাসের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল বলে বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে জানানো হয়।