রফিকুল ইসলামঃ ‘ তোমার জন্য ফোঁটা পৃথিবীর সব গোলাপ, / তোমার জন্য এই কবিতা নয় সে প্রলাপ। / আলোকিত হয়ে নিজে তুমি, / আলোকিত করেছ পৃথিবীকে। / তুমি এই পৃথিবীতে এসেছ / শুভেচ্ছা তোমায়, / তাই অনাগত ক্ষণ হোক আরো সুন্দর / উচ্ছল দিন কামনায়। / আজ জন্মদিন তোমায়। ‘
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আদরণীয় ছোট ভাই বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. আবদুল হক নূরু’র ৬৫ তম জন্মবার্ষিকী বর্ণাঢ্য ও ভাবপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত আমন্ত্রিত অতিথিরা এভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন।
উজ্জ্বল বর্ণালি জন্মোৎসবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতিপুত্র তিনবারের নির্বাচিত এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদল, কিশোরগঞ্জ জেলা দায়রা জজ মো. সায়েদুল রহমান, পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ তরুণ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন।
এছাড়াও মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা শাখার যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী কলেজ পরিদর্শক মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ, গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. জামালপুর রহমান ও উপাধ্যক্ষ মোস্তাকুর রহমান, তাড়াইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফারুক উদ্দিন আহমেদ, নিকলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দীপক কুমার বিশ্বাস, অষ্টগ্রাম রোটারি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা আরিফ খান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ইসলাম উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ মহিলা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ ফজলুল হক সাগর, গুরুদয়ার সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মো. ফেরদৌস আহমেদ ও সাবেক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, মহিলা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সহসম্পাদক রিয়াদ হোসেন, সওজের সাবেক প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিজুল হকসহ বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলার শিক্ষাবিদ-শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সমাজ সংস্কারক, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমকর্মী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের জনতা।
কিশোরগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজ রঙচঙে ও জ্বলজ্বলে এ আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্তাবধানে ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী এবং অধ্যক্ষ মো. আবদুল হকের সহধর্মিণী ও তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবেদা আক্তার জাহান লাভলী।
আজ (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময়, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, কেক কাটা, ফটোসেশন ও ভালোবাসায় সিক্ত করা হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের অকুতোভয় এ বীরকে। কলেজের উম্মুক্ত বিস্তৃত সবুজ মাঠে শত শত ভক্ত-অনুরাগী ও সহযোদ্ধাদের সরব উপস্থিতিতে প্রজ্জ্বলিত নিলাভো আলোর হাসির আভায় ও আবেগে ৬৫ পাউন্ডের জন্মদিনের কেক কাটার পর এক আনন্দ আড্ডায় মেতে উঠেন সবাই। তারা প্রকাশ করেছেন মনের অভিপ্রায়ও – ‘আলোকিত হয়ে নিজে তুমি, / আলোকিত করেছ পৃথ্বী।’
দ্বিতীয় পর্বের সন্ধ্যা ও রাতের অনুষ্ঠান শুরু হয় শুভেচ্ছা বক্তব্যে এবং শেষ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অতিথি শিল্পীদের গানের মধ্য দিয়ে।
হাওরাঞ্চলে নারী শিক্ষার প্রসারে রাষ্ট্রপতির মাতৃ-নামীয় একমাত্র বিদ্যাপীঠ তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মো. আবদুল হক নূরু সুধীজন উপস্থিত থেকে, ব্যক্তিগত ফোন করে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ও মেসেঞ্জারে চিরকুট পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।