ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

পাম চাষ করে ভোগান্তিতে চাষিরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০১৬
  • ২৭০ বার

পাম চাষিরা পাম চাষ করে বিপাকে পড়েছেন । প্রায় ৭-৮ বছর আগে লাগানো পাম গাছগুলোতে এখন ফল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু পাম ফল কোথায় বিক্রি করবেন তা জানা নেই চাষিদের। পামফল বিক্রি করতে না পরায় গাছেই ফলগুলো নষ্ট হচ্ছে। দেখার কেউ নেই।

ঝিনাইদহের বাজার গোপালপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ার পাম চাষি আব্দুল লতিফ বলেন, ২০০৭-০৮ সালের দিকে আমি প্রায় দু’বিঘা জমিতে সাড়ে ৩শ’টি পাম গাছের চারা রোপণ করি। এখানে প্রায় আমার ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়। পাম গাছগুলোতে গত দু’বছর ফল আসতে শুরু হয়েছে। কিন্তু কোথায় বিক্রি করতে হবে নানা স্থানে খোঁজ খবর নিয়েও বিক্রির জায়গা পাচ্ছি না।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আলামপুর গ্রামের আব্দুল আলিম জানান, আমি এক বিঘা জমিতে পামচারা রোপণ করেছিলাম। গাছগুলোতে পাম ফল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু বিক্রির কোন জায়গা না পেয়ে গত মাসে গাছগুলো কেটে দিয়েছি।

চাষিদের অভিযোগ, ২০০৭-০৮ সালে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ায় ‘তুর ডেভোলপমেন্ট’ নামের একটি কোম্পানি অফিস খুলে বসেন। তারা মাঠ পর্যায়ে আকর্ষণীয় বেতন ভাতার প্রলোভন দেখিয়ে কর্মী নিয়োগ দেন। এক পর্যায়ে ‘তুর ডেভোলপমেন্ট’ কোম্পানি অফিস গুটিয়ে নিয়ে চলে গেছে বলে পাম চাষিরা জানিয়েছেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পাম চাষীদের সঙ্গে কর্মীদের যোগাযোগ। এখন গাছগুলোতে পাম ফল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু বিক্রির কোন জায়গা না পেয়ে পাম চাষিরা পড়েছেন ব্যাপক ভোগান্তিতে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের কৃষি বিভাগে উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আকরামুল হক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেহেরপুর বিসিকে একটা মেশিন আছে। তবে সেখানে যে পরিমাণ পাম ফল দরকার তা সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। যে কারণে অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে। তিনি আরও জানান, এখানে পাম ফল থেকে যে তেল উৎপাদন হয় তা পরিশোধনে একটু সমস্যা আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

পাম চাষ করে ভোগান্তিতে চাষিরা

আপডেট টাইম : ১১:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০১৬

পাম চাষিরা পাম চাষ করে বিপাকে পড়েছেন । প্রায় ৭-৮ বছর আগে লাগানো পাম গাছগুলোতে এখন ফল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু পাম ফল কোথায় বিক্রি করবেন তা জানা নেই চাষিদের। পামফল বিক্রি করতে না পরায় গাছেই ফলগুলো নষ্ট হচ্ছে। দেখার কেউ নেই।

ঝিনাইদহের বাজার গোপালপুর গ্রামের পূর্ব পাড়ার পাম চাষি আব্দুল লতিফ বলেন, ২০০৭-০৮ সালের দিকে আমি প্রায় দু’বিঘা জমিতে সাড়ে ৩শ’টি পাম গাছের চারা রোপণ করি। এখানে প্রায় আমার ৭৫ হাজার টাকা খরচ হয়। পাম গাছগুলোতে গত দু’বছর ফল আসতে শুরু হয়েছে। কিন্তু কোথায় বিক্রি করতে হবে নানা স্থানে খোঁজ খবর নিয়েও বিক্রির জায়গা পাচ্ছি না।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আলামপুর গ্রামের আব্দুল আলিম জানান, আমি এক বিঘা জমিতে পামচারা রোপণ করেছিলাম। গাছগুলোতে পাম ফল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু বিক্রির কোন জায়গা না পেয়ে গত মাসে গাছগুলো কেটে দিয়েছি।

চাষিদের অভিযোগ, ২০০৭-০৮ সালে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারী পাড়ায় ‘তুর ডেভোলপমেন্ট’ নামের একটি কোম্পানি অফিস খুলে বসেন। তারা মাঠ পর্যায়ে আকর্ষণীয় বেতন ভাতার প্রলোভন দেখিয়ে কর্মী নিয়োগ দেন। এক পর্যায়ে ‘তুর ডেভোলপমেন্ট’ কোম্পানি অফিস গুটিয়ে নিয়ে চলে গেছে বলে পাম চাষিরা জানিয়েছেন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পাম চাষীদের সঙ্গে কর্মীদের যোগাযোগ। এখন গাছগুলোতে পাম ফল আসতে শুরু করেছে। কিন্তু বিক্রির কোন জায়গা না পেয়ে পাম চাষিরা পড়েছেন ব্যাপক ভোগান্তিতে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের কৃষি বিভাগে উপ-পরিচালক শাহ মোহাম্মদ আকরামুল হক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেহেরপুর বিসিকে একটা মেশিন আছে। তবে সেখানে যে পরিমাণ পাম ফল দরকার তা সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। যে কারণে অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে। তিনি আরও জানান, এখানে পাম ফল থেকে যে তেল উৎপাদন হয় তা পরিশোধনে একটু সমস্যা আছে।