ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুপার টেনে বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০১৬
  • ২৭৫ বার

তামিম তাণ্ডবে ওমানের সামনে ১৮০ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশই উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে। তবুও আনুষ্ঠানিকভাবে তো বাংলাদেশের নাম সুপার টেনে লিখে দেওয়া যাচ্ছিল না। ওমান ২০ ওভার না খেলা পর্যন্ত। যদিও আরব দেশটি ব্যাট করতে নামার পর বার কয়েক বৃষ্টি হানা দেয়। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে বাংলাদেশের জয় এলো ৫৪ রানে। ডি/এল মেথডেই নির্ধারিত হলো জয়ের ব্যবধান।

প্রথম দফা বৃষ্টির আগে ৭ ওভারে ৪১ রান করেছিল ওমান। বৃষ্টি থামলে ১৬ ওভারে ১৫২ রান নির্ধারণ করা হয় ওমানের জন্য; কিন্তু দ্বিতীয় দফা ব্যাট করতে নেমে ১.২ ওভার খেলার পর আবারও নামে বৃষ্টি। এবার প্রায় ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। এরপর আবারও খেলা শুরু হয়। এবার নির্ধারণ করা হলো ১২ ওভারে ওমানকে করতে হবে ১২০ রান।

অনেক বড় লক্ষ্য, চেষ্টা করতে তো দোষ নেই। এ কারণে ওমানের ব্যাটসম্যানরা চোক-কান বন্ধ করেই যেন ব্যাট চালানো শুরু করে দিয়েছিল। ফলে সাকিবের স্পিন ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৫ রানে গিয়ে থামে ওমানের ইনিংস। সাকিব আল হাসান ১৫ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, তাসকিন এবং আল আমিন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর ভর করে ১৮০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জণ করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তামিমই প্রথম এবং একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তামিম অপরাজিত থাকলেন ৬৩ বলে ১০৩ রানে। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মারও মারেন তিনি।

তামিমের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গী হিসেবে ছিলেন সাব্বির রহমান। ২৬ বলে তিনি করেন ৪৪ রান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ১টি ছক্কা। সাকিব ৯ বলে করেন ১৭ রান। সৌম্য করেন ১২ রান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সুপার টেনে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১২:১৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ মার্চ ২০১৬

তামিম তাণ্ডবে ওমানের সামনে ১৮০ রানের বিশাল চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার পরই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশই উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে। তবুও আনুষ্ঠানিকভাবে তো বাংলাদেশের নাম সুপার টেনে লিখে দেওয়া যাচ্ছিল না। ওমান ২০ ওভার না খেলা পর্যন্ত। যদিও আরব দেশটি ব্যাট করতে নামার পর বার কয়েক বৃষ্টি হানা দেয়। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে বাংলাদেশের জয় এলো ৫৪ রানে। ডি/এল মেথডেই নির্ধারিত হলো জয়ের ব্যবধান।

প্রথম দফা বৃষ্টির আগে ৭ ওভারে ৪১ রান করেছিল ওমান। বৃষ্টি থামলে ১৬ ওভারে ১৫২ রান নির্ধারণ করা হয় ওমানের জন্য; কিন্তু দ্বিতীয় দফা ব্যাট করতে নেমে ১.২ ওভার খেলার পর আবারও নামে বৃষ্টি। এবার প্রায় ১০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। এরপর আবারও খেলা শুরু হয়। এবার নির্ধারণ করা হলো ১২ ওভারে ওমানকে করতে হবে ১২০ রান।

অনেক বড় লক্ষ্য, চেষ্টা করতে তো দোষ নেই। এ কারণে ওমানের ব্যাটসম্যানরা চোক-কান বন্ধ করেই যেন ব্যাট চালানো শুরু করে দিয়েছিল। ফলে সাকিবের স্পিন ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৫ রানে গিয়ে থামে ওমানের ইনিংস। সাকিব আল হাসান ১৫ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, তাসকিন এবং আল আমিন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর ভর করে ১৮০ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জণ করলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তামিমই প্রথম এবং একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তামিম অপরাজিত থাকলেন ৬৩ বলে ১০৩ রানে। ১০টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৫টি ছক্কার মারও মারেন তিনি।

তামিমের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গী হিসেবে ছিলেন সাব্বির রহমান। ২৬ বলে তিনি করেন ৪৪ রান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে মারেন ১টি ছক্কা। সাকিব ৯ বলে করেন ১৭ রান। সৌম্য করেন ১২ রান।