ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গেঞ্জি-লুঙ্গি পড়ে নৌকায় চড়ালেন পরিকল্পনামন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অগাস্ট ২০২১
  • ১৬৩ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের  পৈত্রিক ডুংরিয়া গ্রামের বাড়িটি গত বছর দান করে দিয়েছেন সরকারকে। বর্তমানে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পাশে শান্তিগঞ্জ গ্রামে বসবাস করছেন। বাড়ির পাশের নাইন্দা নদীতে নৌকা চড়ার জন্য একটি ছোট নৌকা তৈরি করেছেন। সময় পেলেই নাইন্দা নদীতে একা একা বৈঠা বেয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়ান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) নির্বাচনী এলাকার জগন্নাথপুরে দিনভর সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে বিকেলে বাড়ি এসেই লুঙ্গি-গেঞ্জি পড়ে বৈঠা হাতে উঠে পড়েন নৌকায়। নিজ বাড়ির পাশে নাইন্দা নদীতে বেশকিছু সময় একা নৌকা চড়ান তিনি।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের ৬০ হাত লম্বা বিশিষ্ট ‘বীর বাংলা’ বাইচের নৌকা নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর গ্রামে আসলে সেখানে ভিড় করেন স্থানীয়রা। নৌকা দেখতে এগিয়ে যান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সখিনা বেগম, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মুক্তাদির আহমদসহ আ. লীগের নেতৃবৃন্দ।

নৌকা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন মন্ত্রী। একপর্যায়ে লুঙ্গি-গেঞ্জি পড়ে নিজ আগ্রহেই বাইচের নৌকায় অগ্রভাগে উঠে পড়েন। এরপর মন্ত্রীকে নিয়ে কিছু জায়গা প্রদক্ষিণ করে নৌকাটি। এ সময় বীর বাংলার বাইচের লোকজন মন্ত্রীকে সারি গান শুনান।

বীর বাংলা নৌকার মালিক সাদিকুর রহমান (৩০) আরটিভি নিউজকে বলেন, আজ সকালে আমরা নৌকা নিয়ে মন্ত্রীর বাড়ি গিয়েছিলাম। মন্ত্রীকে নৌকায় উঠিয়ে আমরা কিছু সময় বাইচ দিয়েছি। নৌকা ও বাইচ দেখে আমাদের বীরগাঁও-পাখিমারা হাওরে নৌকা বাইচের আয়োজন করলে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।

পরিকল্পনার রাজনৈতিক সহকারী হাসনাত হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, মাননীয় মন্ত্রী হাওর, নদী ও নৌকার প্রতি সবসময় দুর্বল। বাড়ি এসে সময় পেলেই বৈঠা হাতে একাই নৌকায় উঠে পড়েন। বীর বাংলা বাইচের নৌকা দেখে তিনি নিজ আগ্রহেই নৌকায় উঠে নৌকা বাইচ উপভোগ করেছেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, এলাকার মানুষ একটা সুন্দর নৌকা তৈরি করেছে। আনন্দ-ফুর্তি করতে তারা নৌকাটি নিয়ে এসেছিল। তাদের অনুরোধে নৌকায় উঠেছি। তারা একটা নৌকা বাইচের আয়োজন করতে চায়। বলেছি ওসির ও ইউএনও’র সঙ্গে কথা বলে আগামী মাসে আয়োজন করতে।

তিনি আরও বলেন, আমার ছোট একটা ডিঙ্গি নৌকা আছে। কাঠ কিনে মিস্ত্রি দিয়ে নৌকাটি তৈরি করেছি। এটি হাতে চালানো যায়। আমি নৌকা বাওয়া (চালানো) খুব পছন্দ করি। বাড়ি আসলে নৌকা বাওয়ার চেষ্টা করি।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জন্ম সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া গ্রামে। হাওরপাড়ের গ্রামের কাদামাটিতে বেড়ে ওঠা তার। ২০০৩ সালে যুগ্ম সচিব পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত তিনি। ২০০৯ সালে সুনামগঞ্জ-৩ (জন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা) আসনে প্রথম আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে তৃতীয়বার এমপি নির্বাচিত হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গেঞ্জি-লুঙ্গি পড়ে নৌকায় চড়ালেন পরিকল্পনামন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:২১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অগাস্ট ২০২১
হাওর বার্তা ডেস্কঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের  পৈত্রিক ডুংরিয়া গ্রামের বাড়িটি গত বছর দান করে দিয়েছেন সরকারকে। বর্তমানে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের পাশে শান্তিগঞ্জ গ্রামে বসবাস করছেন। বাড়ির পাশের নাইন্দা নদীতে নৌকা চড়ার জন্য একটি ছোট নৌকা তৈরি করেছেন। সময় পেলেই নাইন্দা নদীতে একা একা বৈঠা বেয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়ান তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) নির্বাচনী এলাকার জগন্নাথপুরে দিনভর সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ শেষে বিকেলে বাড়ি এসেই লুঙ্গি-গেঞ্জি পড়ে বৈঠা হাতে উঠে পড়েন নৌকায়। নিজ বাড়ির পাশে নাইন্দা নদীতে বেশকিছু সময় একা নৌকা চড়ান তিনি।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের বীরগাঁও গ্রামের ৬০ হাত লম্বা বিশিষ্ট ‘বীর বাংলা’ বাইচের নৌকা নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর গ্রামে আসলে সেখানে ভিড় করেন স্থানীয়রা। নৌকা দেখতে এগিয়ে যান পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ্জামান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সখিনা বেগম, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মুক্তাদির আহমদসহ আ. লীগের নেতৃবৃন্দ।

নৌকা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন মন্ত্রী। একপর্যায়ে লুঙ্গি-গেঞ্জি পড়ে নিজ আগ্রহেই বাইচের নৌকায় অগ্রভাগে উঠে পড়েন। এরপর মন্ত্রীকে নিয়ে কিছু জায়গা প্রদক্ষিণ করে নৌকাটি। এ সময় বীর বাংলার বাইচের লোকজন মন্ত্রীকে সারি গান শুনান।

বীর বাংলা নৌকার মালিক সাদিকুর রহমান (৩০) আরটিভি নিউজকে বলেন, আজ সকালে আমরা নৌকা নিয়ে মন্ত্রীর বাড়ি গিয়েছিলাম। মন্ত্রীকে নৌকায় উঠিয়ে আমরা কিছু সময় বাইচ দিয়েছি। নৌকা ও বাইচ দেখে আমাদের বীরগাঁও-পাখিমারা হাওরে নৌকা বাইচের আয়োজন করলে তিনি উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।

পরিকল্পনার রাজনৈতিক সহকারী হাসনাত হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, মাননীয় মন্ত্রী হাওর, নদী ও নৌকার প্রতি সবসময় দুর্বল। বাড়ি এসে সময় পেলেই বৈঠা হাতে একাই নৌকায় উঠে পড়েন। বীর বাংলা বাইচের নৌকা দেখে তিনি নিজ আগ্রহেই নৌকায় উঠে নৌকা বাইচ উপভোগ করেছেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, এলাকার মানুষ একটা সুন্দর নৌকা তৈরি করেছে। আনন্দ-ফুর্তি করতে তারা নৌকাটি নিয়ে এসেছিল। তাদের অনুরোধে নৌকায় উঠেছি। তারা একটা নৌকা বাইচের আয়োজন করতে চায়। বলেছি ওসির ও ইউএনও’র সঙ্গে কথা বলে আগামী মাসে আয়োজন করতে।

তিনি আরও বলেন, আমার ছোট একটা ডিঙ্গি নৌকা আছে। কাঠ কিনে মিস্ত্রি দিয়ে নৌকাটি তৈরি করেছি। এটি হাতে চালানো যায়। আমি নৌকা বাওয়া (চালানো) খুব পছন্দ করি। বাড়ি আসলে নৌকা বাওয়ার চেষ্টা করি।

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের জন্ম সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডুংরিয়া গ্রামে। হাওরপাড়ের গ্রামের কাদামাটিতে বেড়ে ওঠা তার। ২০০৩ সালে যুগ্ম সচিব পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত তিনি। ২০০৯ সালে সুনামগঞ্জ-৩ (জন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলা) আসনে প্রথম আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে তৃতীয়বার এমপি নির্বাচিত হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।