হাওর বার্তা ডেস্কঃ আলোচিত পরীমণির ৩ কোটি টাকার যে গাড়িটি উপহার পেয়েছেন বলে গুঞ্জণ ছড়িয়েছে পড়ছে, সেটি সত্য নয়। যে গাড়িটি নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে সেটি পরীমনির কাছে বিক্রিই হয়নি। সে শো-রুম থেকে নিজেই কেনার কথা বলে টেস্ট ড্রাইভ বা ট্রায়াল দিতে একদিনের জন্য শোরুম থেকে নিয়ে আসছিলেন । পরে সে গাড়িটি না কিনে শোরুমে ফিরিয়ে দিয়ে ছিলেন । এমনকি সেই গাড়ি এখনও ঢাকা গুলশানের সেই শোরুমেই পরে আছে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে গাড়ির প্রতিষ্ঠানের মালিক হাবিব উল্লাহ ডন (অটো মিউজিয়ামের) কর্ণধার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাবিব বলেন, গত বছর আমার গুলশানের শো-রুমে নায়িকা পরীমণি আসেন। তিনি কয়েকটি গাড়ি দেখেন, ফিয়াট অটোমোবাইলস-এর ‘মাসেরাতি’ ব্র্যান্ডের গাড়িটি তার পছন্দ হয়। আমি তখন বাংলাদেশের বাহিরে , গাড়িটি নেওয়ার সময় আমার স্টাফরা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল- আপনি ক্যাশে নিবেন, নাকি ব্যাংক লোনে? পরীমণি তখন স্টাফদের পরে জানাবেন বলে গাড়িটি টেস্ট ড্রাইভে নিয়ে যান। আমার শো রুমের স্টাফ আমাকে বিষয়টি জানায়।
পরের দিন শোরুম থেকে পরীমণিকে আবার ফোন করা হয় উল্লেখ করে হাবিব উল্লাহ বলেন, তাকে শোরুম থেকে জানানো হয়, আপনি ক্যাশ অথবা ব্যাংক লোন যাতেই গাড়ি নেন না কেন, আপনাকে কিছু টাকা অ্যাডভ্যান্স করতে হবে। তখন পরীমণি আমার স্টাফকে বলেন, ‘আমি আপনাকে জানাচ্ছি।’ এরপর তিনি গাড়িটি ফিরিয়ে দিয়ে যান। একদিনই তার কাছে গাড়িটি রেখেছিলেন তিনি।’
গ্রেফতারের আগে পরীমণি তার টয়োটা হ্যারিয়ার (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫-৯৬৫৩) গাড়িটিই ব্যবহার করছিলেন বলে তার গাড়ি চালকও জানিয়েছেন। পরীমণির গাড়ির বিষয়টি আলোচনায় আসে গত বছরের ২৪ জুন। ওইদিন তিনি দুর্ঘটনায় পরেন। এতে তার ব্যবহৃত টয়োটা হ্যারিয়ার মডেলের সাদা রঙের গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গাড়িটির ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেন নিজেই।
এরপর ২৫ জুন পরীমনি ফেসবুকে একটি নীল রঙের গাড়ির সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করেন। যার শোরুমের নম্বর প্লেটযুক্ত ছিল ঢাকা-শ/৪৬২। এর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘নয়া প্রেমিক- ফার্স্ট ডেট’। ওই পোস্টে হ্যাশট্যাগ দেন মাসেরাতি। তার গাড়িটি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশও হয়।
এই গাড়িটি তিনি নিজেই কেনার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন বলে শোরুম মালিক নিশ্চিত করেছেন। তবে সেই প্রক্রিয়ার আর অগ্রসর হয়নি।
এদিকে পরীমণি বর্তমানে সিআইডির রিমান্ডে রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রিমান্ড শেষ হলে তাকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার আর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও সময় দরকার তাই পরীমণিসহ চারজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।