ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

তিস্তার চরে বাদামের ভালো ফলন, কৃষকের হাসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০১৬
  • ৪৭৪ বার

তিস্তা নদীর বালুতে ব্যাপকভাবে আগাম জাতের বাদামের চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা আশা করছে বাদামের ফলন ভাল হবে। বাজারে দাম ভাল থাকায় ব্যাপক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিস্তার বালুচরে প্রতি একর জমিতে ধান ৩০থেকে৩২ মন হলেও বাদাম হচ্ছে ১৮থেকে২০ মন। প্রতি মণ বাদামের দাম ২হাজার ৫শ টাকা। বাদাম পরিচর্যায় খরচ ও সময় কম লাগে।

তিস্তার ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর চর, চরখড়িবাড়ি, কিসামত ছাতনাই চর, পূর্ব বাইশপুকুর, দক্ষিণ বাইশপুকুর চর, ছাতুনামা চর, উত্তর খড়িবাড়ির চর, ভেন্ডাবাড়ির চরের জমিতে এবার ব্যাপকভাবে বাদামের চাষ করা হয়েছে।

দক্ষিণ বাইশপুকুর চরের বাদাম চাষি এরশাদ হোসেন (৩২) জানায়, চলতি মৌসুমে ৩ একর জমিতে বাদামের চাষ করেছে। ১ একর জমিতে ২২মন বাদাম ঘরে তুলতে পেরেছে। তিনি বলেন প্রতি একর জমিতে বাদাম চাষে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। একই গ্রামের সামচুল ইসলাম (৩৫) জানায়, তিস্তার পলিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাদামের দ্বিগুন ফলন তুলতে পারছে তারা। এবার বন্যা না হওয়ায় বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমন কম হয়েছে বলে জানায়, বাদাম চাষি জহুরুল ইসলাম।

হাসানুর ইসলাম বলেন, তিস্তার পলিতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে বাদামের খরচ কম। আর বাজারে দাম ভালো থাকায় ব্যাপক লাভবান হয়েছেন তিনিসহ এলাকার বাদাম চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, উপজেলার চলতি বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের বাদাম কৃষকদের ব্যাপকভাবে সাবলম্বী করে তুলবে। নীলফামারী কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানায়, তিস্তার চরে আগাম জাতের বাদাম এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। তিস্তার পাড়ের বাদামের দানা পরিপূর্ণ হওয়ায় অন্যান্য এলাকার চেয়ে বাজারে চাহিদা বেশি থাকে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

তিস্তার চরে বাদামের ভালো ফলন, কৃষকের হাসি

আপডেট টাইম : ১০:৪৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ মার্চ ২০১৬

তিস্তা নদীর বালুতে ব্যাপকভাবে আগাম জাতের বাদামের চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা আশা করছে বাদামের ফলন ভাল হবে। বাজারে দাম ভাল থাকায় ব্যাপক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিস্তার বালুচরে প্রতি একর জমিতে ধান ৩০থেকে৩২ মন হলেও বাদাম হচ্ছে ১৮থেকে২০ মন। প্রতি মণ বাদামের দাম ২হাজার ৫শ টাকা। বাদাম পরিচর্যায় খরচ ও সময় কম লাগে।

তিস্তার ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর চর, চরখড়িবাড়ি, কিসামত ছাতনাই চর, পূর্ব বাইশপুকুর, দক্ষিণ বাইশপুকুর চর, ছাতুনামা চর, উত্তর খড়িবাড়ির চর, ভেন্ডাবাড়ির চরের জমিতে এবার ব্যাপকভাবে বাদামের চাষ করা হয়েছে।

দক্ষিণ বাইশপুকুর চরের বাদাম চাষি এরশাদ হোসেন (৩২) জানায়, চলতি মৌসুমে ৩ একর জমিতে বাদামের চাষ করেছে। ১ একর জমিতে ২২মন বাদাম ঘরে তুলতে পেরেছে। তিনি বলেন প্রতি একর জমিতে বাদাম চাষে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা। একই গ্রামের সামচুল ইসলাম (৩৫) জানায়, তিস্তার পলিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাদামের দ্বিগুন ফলন তুলতে পারছে তারা। এবার বন্যা না হওয়ায় বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমন কম হয়েছে বলে জানায়, বাদাম চাষি জহুরুল ইসলাম।

হাসানুর ইসলাম বলেন, তিস্তার পলিতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে বাদামের খরচ কম। আর বাজারে দাম ভালো থাকায় ব্যাপক লাভবান হয়েছেন তিনিসহ এলাকার বাদাম চাষিরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, উপজেলার চলতি বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের বাদাম কৃষকদের ব্যাপকভাবে সাবলম্বী করে তুলবে। নীলফামারী কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফতাব হোসেন জানায়, তিস্তার চরে আগাম জাতের বাদাম এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে। তিস্তার পাড়ের বাদামের দানা পরিপূর্ণ হওয়ায় অন্যান্য এলাকার চেয়ে বাজারে চাহিদা বেশি থাকে।