ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারোমাসি সবজি চাষে সাদেক মিয়ার সাফল্য

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৩০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • ১৬২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মো. সাদেক মিয়া।  হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ভুলকোট গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় কৃষক। ধান চাষের পাশাপাশি তিনি বারোমাসি সবজি চাষ করেন। সবজির আয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সরেজমিন গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।

সাদেক মিয়া বলেন, খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে হলে কিছু একটা করতে হয়। তবে চাই উপার্জন। আমার তেমন জমিজমা নেই। পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহে কৃষি কাজকে বেছে নিয়েছি। মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। নিজের জমির পাশাপাশি অন্যের জমিও বর্গা নিচ্ছি এসব সবজি চাষে। আমার সবজি চাষে উৎসাহ দেন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম। কৃষি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় এ কর্মকর্তাকে পাশে পাই। এবার চাষ করছি চিচিংগা, পুইশাক, লালশাক, সাগর কিং জাতের তরমুজ ও গ্রীষ্মকালীন শিম।

এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, সাদেক মিয়া কঠোর পরিশ্রমী। বছরজুড়ে তিনি (সাদেক) সবজি চাষ করেন। এ টাকায় তার পরিবার চলছে। এলাকায় একজন আদর্শবান কৃষক হিসেবে সাদেক মিয়ার পরিচিতি রয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক বলেন, সবজি চাষ করলেই হবে না। করতে হবে বিষমুক্ত চাষাবাদ। আমি কৃষকদের উৎসাহ দেই বিষমুক্ত ফসল চাষে। এরমধ্যে বিষমুক্ত সবজি চাষে অন্যতম কৃষক সাদেক মিয়া। তিনি ক্ষেতে কঠোর শ্রম দেন। এতে তার ক্ষেত থেকে ভালো মানের সবজি উৎপাদন হচ্ছে। তিনি এসব বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন। তাকে (সাদেক) অনুকরণ করে অন্যান্য কৃষকরাও এগিয়ে যাচ্ছেন।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন, জেলাজুড়ে সবজি চাষ হচ্ছে। এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের নানা এলাকায় সরবরাহ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান। করোনাকালেও সবজি উৎপাদন অব্যাহত আছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বারোমাসি সবজি চাষে সাদেক মিয়ার সাফল্য

আপডেট টাইম : ০২:৩০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মো. সাদেক মিয়া।  হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার ভুলকোট গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় কৃষক। ধান চাষের পাশাপাশি তিনি বারোমাসি সবজি চাষ করেন। সবজির আয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সরেজমিন গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।

সাদেক মিয়া বলেন, খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে হলে কিছু একটা করতে হয়। তবে চাই উপার্জন। আমার তেমন জমিজমা নেই। পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহে কৃষি কাজকে বেছে নিয়েছি। মৌসুম অনুযায়ী সবজি চাষ করি। নিজের জমির পাশাপাশি অন্যের জমিও বর্গা নিচ্ছি এসব সবজি চাষে। আমার সবজি চাষে উৎসাহ দেন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক শামীম। কৃষি সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় এ কর্মকর্তাকে পাশে পাই। এবার চাষ করছি চিচিংগা, পুইশাক, লালশাক, সাগর কিং জাতের তরমুজ ও গ্রীষ্মকালীন শিম।

এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, সাদেক মিয়া কঠোর পরিশ্রমী। বছরজুড়ে তিনি (সাদেক) সবজি চাষ করেন। এ টাকায় তার পরিবার চলছে। এলাকায় একজন আদর্শবান কৃষক হিসেবে সাদেক মিয়ার পরিচিতি রয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমুল হক বলেন, সবজি চাষ করলেই হবে না। করতে হবে বিষমুক্ত চাষাবাদ। আমি কৃষকদের উৎসাহ দেই বিষমুক্ত ফসল চাষে। এরমধ্যে বিষমুক্ত সবজি চাষে অন্যতম কৃষক সাদেক মিয়া। তিনি ক্ষেতে কঠোর শ্রম দেন। এতে তার ক্ষেত থেকে ভালো মানের সবজি উৎপাদন হচ্ছে। তিনি এসব বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন। তাকে (সাদেক) অনুকরণ করে অন্যান্য কৃষকরাও এগিয়ে যাচ্ছেন।

হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. তমিজ উদ্দিন খান বলেন, জেলাজুড়ে সবজি চাষ হচ্ছে। এসব সবজি স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে দেশের নানা এলাকায় সরবরাহ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান। করোনাকালেও সবজি উৎপাদন অব্যাহত আছে।