নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ মিনিটের কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভবনের চালা উঁড়িয়ে নিয়ে গেছে। রবিবার (০৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে শুরু হয় ঝঁড়।
ভোলাব এলাকার মানবাধিকার কর্মী মনির হোসেন বলেন, প্রচন্ড ঝঁড়ে ভোলাব এলাকার প্রায় ২০টি কলাবাগান, প্রায় ১০টি আখের জমিসহ বেশ কয়েকটি কাঁচা ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শিলা বৃষ্টির কারনে ধানের ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
দাউদপুর এলাকার কৃষক আমির হোসেন বলেন, দাউদপুরসহ আশ-পাশের এলাকার লাউ, সিম, পুই শাখ, ঢেড়স, কুমড়া, টমেটোসহ বিভিন্ন প্রকার সবজির বাগান নষ্ট হয়ে গেছে।
গাড়ি চালক গোলাকান্দাইল এলাকার রাজীব হোসেন বলেন, গোলাকান্দাইলসহ আশ-পাশের এলাকার বেশ কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ির চালা উড়ে গেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি লায়ন মীর আব্দুল আলীম বলেন, প্রচন্ড ঝঁড়ে প্রেসক্লাব ভবনের টিনের চালা উড়ে গেছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ক্লাবে নিউজের কাজ করছিলেন তখন। তবে সাংবাদিকদের কেউ আহত হননি।
বরপা এলাকার ইমদাদুল হক ভুইয়া দুলাল বলেন, সন্ধ্যার পর মিল-কারখানার শ্রমিকরা বাসায় ফেরার পথে ঝঁড়ের কবলে পড়েন। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের উপর গাছের ডাল পড়ে আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
হাটাব এলাকার মকবুল হোসেন বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের জমিতে চাষ করা বিভিন্ন ধরনের সবজি ও আখ ক্ষেত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
মাছিমপুর এলাকার সাংবাদিক রুবেল মাহমুদ বলেন, কয়েক স্থানে বেশ কয়েকটি বিদ্যুতের খুটি হেলে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া কয়েক স্থানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে বলেও সংবাদ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের তারাব জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহজাহান ফকির বলেন, ঝঁড় শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রতিটি এলাকা চেকিং দিয়ে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোকমান হোসেন বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ঝঁড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে উপজেলা প্রশাসন থেকে যতটুকু পারা যায় সহযোগিতা করা হবে।