ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনাবৃষ্টিতে নীলফামারীতে আমন চাষ ও পাট জাগে সমস্যায় কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১
  • ২২৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আষাঢ় মাসের শুরুতে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও আর বৃষ্টির দেখা নেই নীলফামারীতে। প্রচণ্ড রোদ আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে মাঝে মধ্যে।

ফলে এই বৃষ্টিপাতে কৃষকের কোনো কাজে আসছে না। এতে করে নীলফামারীর সর্বত্র বর্ষাতেও খরায় পুড়ছে ফসলের মাঠ।

বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা আমন চারা লাগাতে পারছেন না। আর যারা আগেই আমনের চারা রোপণ করেছেন সেগুলোও প্রচণ্ড দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড তাপের কারণে লোকজনও বাইরে বেরুতে পারছেন না।

জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো ও মোটর চালিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন এবং আমনের চারা রোপণ করছেন। বৃষ্টির পানিতে লাগানো আগাম আমন ক্ষেত পানির অভাবে চুপসে যাচ্ছে। যারা বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করছেন তারা বিদ্যুতের লুকোচুরির খেলায় পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মেশিন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আমন আবাদ ও পাট জাগ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে পাট কেটে রেখে দিয়েছেন কৃষক, পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না।  জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, নিচু জমিগুলোতে আমনের চারা রোপণের পর উঁচু জমিতে বৃষ্টির অভাবে চারা লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। জলাশয় সংকট ও পানি সমস্যার কারণে পাট জাগ দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

জেলার সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের পাট চাষি আজগার আলী বলেন, আমরা মূলত পাট চাষ করে থাকি জ্বালানির পাটখড়ির জন্য। কারণ আমাদের এলাকার পাটের মান ভালো না।

ভরা বর্ষাতেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদী, খাল-বিলের পানি শুকিয়ে গেছে। বর্ষার পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে যারা আমনের জমি আবাদ করেছেন তারা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তারা কোথাও পানি পাচ্ছেন না। এতে আগাম লাগানো ধানের ক্ষেতগুলো পানির অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা ফসল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন এবং সেইসঙ্গে কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রূপম জানান, জেলায় আমনের চারা লাগানো শুরু হয়েছে। বৃষ্টির অভাবে জমিতে শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে কৃষকরা চারা রোপণের কাজ করছেন। সময় আছে তাই সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষকদের দোগাছি তৈরি করে রাখার জন্য বলা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অনাবৃষ্টিতে নীলফামারীতে আমন চাষ ও পাট জাগে সমস্যায় কৃষক

আপডেট টাইম : ০৭:৩১:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আষাঢ় মাসের শুরুতে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেও আর বৃষ্টির দেখা নেই নীলফামারীতে। প্রচণ্ড রোদ আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে মাঝে মধ্যে।

ফলে এই বৃষ্টিপাতে কৃষকের কোনো কাজে আসছে না। এতে করে নীলফামারীর সর্বত্র বর্ষাতেও খরায় পুড়ছে ফসলের মাঠ।

বৃষ্টির অভাবে কৃষকরা আমন চারা লাগাতে পারছেন না। আর যারা আগেই আমনের চারা রোপণ করেছেন সেগুলোও প্রচণ্ড দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড তাপের কারণে লোকজনও বাইরে বেরুতে পারছেন না।

জেলার ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর ঘুরে দেখা গেছে, পানির অভাবে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকরা। অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে শ্যালো ও মোটর চালিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন এবং আমনের চারা রোপণ করছেন। বৃষ্টির পানিতে লাগানো আগাম আমন ক্ষেত পানির অভাবে চুপসে যাচ্ছে। যারা বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করছেন তারা বিদ্যুতের লুকোচুরির খেলায় পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। দিনের বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় মেশিন চালানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আমন আবাদ ও পাট জাগ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এদিকে পাট কেটে রেখে দিয়েছেন কৃষক, পানির অভাবে জাগ দিতে পারছেন না।  জেলার ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের কৃষক মতিয়ার রহমান বলেন, নিচু জমিগুলোতে আমনের চারা রোপণের পর উঁচু জমিতে বৃষ্টির অভাবে চারা লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। জলাশয় সংকট ও পানি সমস্যার কারণে পাট জাগ দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

জেলার সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের পাট চাষি আজগার আলী বলেন, আমরা মূলত পাট চাষ করে থাকি জ্বালানির পাটখড়ির জন্য। কারণ আমাদের এলাকার পাটের মান ভালো না।

ভরা বর্ষাতেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় নদ-নদী, খাল-বিলের পানি শুকিয়ে গেছে। বর্ষার পানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে যারা আমনের জমি আবাদ করেছেন তারা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন। তারা কোথাও পানি পাচ্ছেন না। এতে আগাম লাগানো ধানের ক্ষেতগুলো পানির অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা ফসল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন এবং সেইসঙ্গে কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কৃষি বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহসিন রেজা রূপম জানান, জেলায় আমনের চারা লাগানো শুরু হয়েছে। বৃষ্টির অভাবে জমিতে শ্যালো মেশিনে সেচ দিয়ে কৃষকরা চারা রোপণের কাজ করছেন। সময় আছে তাই সমস্যা হবে না বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষকদের দোগাছি তৈরি করে রাখার জন্য বলা হয়েছে।