অধ্যক্ষ ড.গোলসান আরা বেগমঃ
মহাবীরের স্মরন গাঁথা চশমা আমি
রক্তে ধুয়ে হয়েছি অহংকারে দামী
সেই ১৯৩৪ সালে তুলেছিলে চোখে
আমার চেয়ে ব্যথা নেই কারো বুকে।
তুমি তো মরণ যন্ত্রনায় ছটপট করছিলে
মীরজাফরেরা করছিলো জয়োউল্লাস
স্থবির অসহায় বুক ভিজিয়েছি জলে
ধন্য আমি গায়ে মেখে শেষ নিঃশ্বাস।
হাত বাড়িয়েছিলে,ওঠতে চেয়েছিলে
ঠোট খুলে দিতে ছেয়েছিলে হুংকার
ফোটা ফোটা রক্তে ডুবে গেলো দু’পা
শেষ কথাটি বলা হলো না তোমার।
বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে ধরফর করি আজো
স্মরণ তালিকায় যতদিন থাকবো
নবায়ন করবো ব্যথার ভালোবাসায় শোক
পিতা হারানোর দুঃখ অন্ততকাল সইবো।
অপেক্ষায় থাকি যদি আস,তুলে নাও চোখে
৭৫ থেকে বহু চেস্টা করেও ঘুমুতে পারিনি
ইতিহাস তোমায় করলো ক্ষত বিক্ষত কাটা ছেঁড়া
বুঝলো না বাংলাদেশের স্বাধীনতা কতো ঋনি।
সৌভাগ্যবান আমি, ইঞ্চি ফিতায় মেপেছি
তোমার নেতৃত্বের গুনাবলী,তুমিই বিশ্ববন্ধু
বাংলার মাটি মানুষের ভালোবাসার নয়ন মণি
সাক্ষী দিয়ে বলছি – বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু।
সেই দুধের মাছি যারা ঘুর ঘুর করতো
দিতো কানে তুলে চাটুকারী কুমন্ত্রণা
স্যার স্যার বলে মুখে তুলতো ফ্যানা
তারাই দেহে রাঙিয়ে দিলো রক্ত কণা।
বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে মানুষ আমায় জড়িয়ে
ফেলে নিঃশ্বাস ব্যথার বুক ভিজিয়ে
বুক ফেটে যায় দেখে তাদের আহাজারি
বোবা বধির চোখে শুধু দেখি তাকিয়ে।