বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে তেল, চালসহ ৫ পণ্য

হাওর বার্তা ডেস্কঃ লকডাউনের মধ্যেও রাজধানীর কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা অনেকেই মাস্ক ছাড়াই বাজারে এসেছেন। আবার অনেক বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

গত ৩০ জুন প্রতি লিটারে সয়াবিনে ৪ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন এই দাম বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে চিত্র ভিন্ন। এছাড়া চালসহ আরও চার পণ্য সপ্তাহের ব্যবধানে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। শুক্রবার রাজধানীর একাধিক কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন নতুন মূল্য অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৪৯ ও খোলা সয়াবিন ১২৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৫৩-১৫৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খোলা সয়াবিনের লিটার বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩৫ টাকা।

রাজধানীর রামপুরা বাজারের মুদি বিক্রেতা মো. আলাউদ্দিন বলেন, তেলের দাম কমানোর ঘোষণার কথা শুনেছি। কিন্তু নতুন করে তেল কেনা হয়নি। আগে যে দামে কিনেছি সেই দামে কিছু লাভ করে বিক্রি করছি। নতুন করে তেল কিনলে কম দামে পেলে কম দামেই বিক্রি করবে।

এদিকে বাজারে চালসহ চার পণ্য- আলু, দারুচিনি ও হলুদ সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিকেজি মাঝারি আকারের চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫-৫৬ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৩ টাকা। সরু চাল প্রতিকেজি ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ৫৬-৬৫ টাকায় বিক্রি হয়।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারের খালেক রাইস এজেন্সির মালিক ও খুচরা চাল বিক্রেতা মো. দিদার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, গত সপ্তাহে চালের দাম কিছুটা কমে আবার বাড়তে শুরু করেছে। মিল পর্যায় থেকে দাম বাড়ার কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে আবারও চালের দাম বাড়ছে।

অন্যদিকে বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৪ টাকা, যা সাত দিন আগে ২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ৪০০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতিকেজি হলুদ ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা সাত দিন আগে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

চড়া দামে বিক্রি হয়েছে সব ধরনের সবজি। সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫০-৭০ টাকা। গত সপ্তাহে ৮০-১০০ টাকা বিক্রি হওয়া প্রতিকেজি পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকা। প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতিকেজি বরবটি বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, পটোল প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর