ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মরিচের বাম্পার ফলন, বৃষ্টির কারণে লোকসানের আশঙ্কা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১
  • ১৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবারে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা মারিচ তোলার ধুম পড়ে গেছে। কেউ ক্ষেত থেকে মরিচ তুলছে। কেউবা আবার তুলে মরিচ বাড়ির উঠানে নিয়ে রাখছেন।

এছাড়া অনেক কৃষক তাদের ক্ষেত থেকেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর ট্রাকে ভরে কৃষকদের উৎপাদিত কাঁচা মরিচ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে মিলছে না আশানুরূপ দাম, এমন দাবি কৃষকদের।

স্থানীয় ও কৃষকদের সূত্রে জানান গেছে, গত কয়েক বছর ধরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ, মহিপুর, আলীপুর, লতাচাপলীসহ বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া কৃষকরা দামও পেয়েছে ভালো। তাই লাভের আশায় কৃষকরা মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।

ভাগ্য ফেরানোর যুদ্ধে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন এখানকার কৃষকরা। খালগুলো মরে যাওয়া ও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ক্ষেতে ঠিকমতো পানিও দিতে পারেননি বলে জানান সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।

স্থানীয় আড়তদার মালিকরা জানান, প্রচুর পরিমাণে মরিচ উৎপাদন হওয়ায় এখানকার কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে তা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি। এছাড়া হাটে স্থানীয় কৃষক ছাড়াও পার্শবর্তী ইউনিয়নের লোকজন কাঁচা মরিচ নিয়ে আসে। এদিকে কৃষকদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকসহ নানা মানুষের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। একজন নারী শ্রমিক ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ ভেঙে দিলে ১ মণে ১০০ টাকা আয় হয়।

থঞ্জুপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, এ এলাকার জমিগুলো হলো বেলে মাটির। যার কারণে বিন্দু মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এখানকার কৃষকরা জিরা, বাঁশগাড়াসহ নানা জাতের মরিচের আবাদ করছেন। এবারে তিনিও ২ একর জমিতে মরিচের চাষ করেছেন।

ফলনে খুশি, তবে দাম নিয়ে আশঙ্কায় কৃষক

কৃষক মো. আফজাল ভদ্র জানান, এবারে তিনি প্রায় ৪ একর জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। সার, ঔষধ ও পানি সেচ বাবদ এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন।

কৃষক মো. মাহবুব বলেন, নিয়মিত সার দেয়া, নিড়ানি দিয়ে ক্ষেত পরিষ্কার করার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এখন পুরো ক্ষেতের মরিচ সঠিক দামে বিক্রি করতে পারলে ৪ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবো।

উপজেলা কৃষি-কর্মকর্তা আবদুল মন্নান জানান, এ উপজেলায় এবার ৫০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ৪ টন উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া পানি সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন খাল খনন শুরু হয়েছে।

 

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মরিচের বাম্পার ফলন, বৃষ্টির কারণে লোকসানের আশঙ্কা

আপডেট টাইম : ১২:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবারে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা মারিচ তোলার ধুম পড়ে গেছে। কেউ ক্ষেত থেকে মরিচ তুলছে। কেউবা আবার তুলে মরিচ বাড়ির উঠানে নিয়ে রাখছেন।

এছাড়া অনেক কৃষক তাদের ক্ষেত থেকেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর ট্রাকে ভরে কৃষকদের উৎপাদিত কাঁচা মরিচ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে মিলছে না আশানুরূপ দাম, এমন দাবি কৃষকদের।

স্থানীয় ও কৃষকদের সূত্রে জানান গেছে, গত কয়েক বছর ধরে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ, মহিপুর, আলীপুর, লতাচাপলীসহ বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়া কৃষকরা দামও পেয়েছে ভালো। তাই লাভের আশায় কৃষকরা মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়ছেন।

ভাগ্য ফেরানোর যুদ্ধে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন এখানকার কৃষকরা। খালগুলো মরে যাওয়া ও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ক্ষেতে ঠিকমতো পানিও দিতে পারেননি বলে জানান সংশ্লিষ্ট কৃষকরা।

স্থানীয় আড়তদার মালিকরা জানান, প্রচুর পরিমাণে মরিচ উৎপাদন হওয়ায় এখানকার কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে তা খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছি। এছাড়া হাটে স্থানীয় কৃষক ছাড়াও পার্শবর্তী ইউনিয়নের লোকজন কাঁচা মরিচ নিয়ে আসে। এদিকে কৃষকদের পাশাপাশি নারী শ্রমিকসহ নানা মানুষের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। একজন নারী শ্রমিক ক্ষেত থেকে কাঁচা মরিচ ভেঙে দিলে ১ মণে ১০০ টাকা আয় হয়।

থঞ্জুপাড়া গ্রামের কৃষক মো. মাসুম বিল্লাহ জানান, এ এলাকার জমিগুলো হলো বেলে মাটির। যার কারণে বিন্দু মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে এখানকার কৃষকরা জিরা, বাঁশগাড়াসহ নানা জাতের মরিচের আবাদ করছেন। এবারে তিনিও ২ একর জমিতে মরিচের চাষ করেছেন।

ফলনে খুশি, তবে দাম নিয়ে আশঙ্কায় কৃষক

কৃষক মো. আফজাল ভদ্র জানান, এবারে তিনি প্রায় ৪ একর জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। সার, ঔষধ ও পানি সেচ বাবদ এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা খরচ করেছেন।

কৃষক মো. মাহবুব বলেন, নিয়মিত সার দেয়া, নিড়ানি দিয়ে ক্ষেত পরিষ্কার করার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। এখন পুরো ক্ষেতের মরিচ সঠিক দামে বিক্রি করতে পারলে ৪ লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবো।

উপজেলা কৃষি-কর্মকর্তা আবদুল মন্নান জানান, এ উপজেলায় এবার ৫০০ হেক্টরেরও বেশি জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড়ে ৪ টন উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া পানি সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে বিভিন্ন খাল খনন শুরু হয়েছে।