হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রবর্তক সংঘের কর্মচারীদের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় প্রবর্তক সংঘের পক্ষ থেকে।
গত ১২ মার্চ প্রবর্তক সংঘের সাথে স্থানীয় ইসকন মন্দিরের সংঘর্ষের বিষয়ে প্রবর্তক সংঘ কর্তৃক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্তের জন্য প্রবর্তক সংঘ তাদের নিজ কার্যালয়ের মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রবর্তক সংঘসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও প্রায় ৭২টি মন্দির, হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের ২ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রবর্তক সংঘের সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ লালা, সাধারণ সম্পাদক তিনকড়ি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি প্রফেসর রঞ্জিত কুমার দে ও প্রেসিডিয়াম মেম্বার এডভোকেট শ্বভু প্রসাদ বিশ্বাস।
মতবিনিময় সভায় যেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয় তা হচ্ছে :
প্রবর্তক সংঘের সাথে ইসকনের চুক্তির ব্যত্যয়সমূহের যুক্তি আলোচনা। ১২ মার্চ ২০২১ তারিখে ইসকন কর্তৃক প্রবর্তক সংঘের কর্মচারীদের উপর হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়। আলোচনায় ইসকনের বিরুদ্ধে প্রবর্তক সংঘের পূর্ববর্তী গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং করণীয়সমূহ ঠিক রাখা হয়। আগামী ০২ এপ্রিল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকাস্থ অফিসে ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র বহ্মচারীসহ ইসকন প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্তটি পূনর্বহাল রাখা হয়।
মতবিনিময় সভায় যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা হচ্ছে :
প্রবর্তক সংঘের কর্মচারীদের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
ইসকন নামধারী সন্ত্রাসী পুরোহিতদের মন্দির থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
চুক্তিভঙ্গের কারণে প্রবর্তক এলাকা থেকে ইসকনকে চিরতরে বহিষ্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১৪ নং ধারা অনুযায়ী চুক্তি বাতিলযোগ্য হওয়ায় চুক্তিভঙ্গের কারণে ইসকনকে মন্দির ছেড়ে যেতে হবে।
চুক্তির শর্তানুযায়ী চুক্তিভঙ্গের জন্য ইসকনের বিরুদ্ধে প্রবর্তক সংঘের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, আগামী ০২ এপ্রিল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকাস্থ অফিসে ইসকনের সাথে বৈঠকে চুক্তির সকল শর্ত মেনে চলার জন্য ইসকনকে চাপ প্রয়োগ করা হবে। ইসকন চুক্তির শর্ত না মানলে পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করা হবে।