ঢাকা ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ইটনার ধনপুরে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল ইটনায় জাতীয় পরিচয়পত্র পরিষেবা স্থানান্তর ও কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ইটনায় এ প্লাস ক্যাম্পেইন অবহিত করন সভা অনুষ্ঠিত ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতে যেসব শর্ত দিলেন পুতিন রান্না শেখাচ্ছেন পড়শী, ঈদে দেখা যাবে অভিনয় আর গানে শিমের রাজ্য সীতাকুণ্ড ২১০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন, কৃষকের হাসি জাতিসংঘ, মহাসচিব, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব হাসপাতাল থেকে শিশু চুরি অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল সায়ান হরেদরে সবাইকে শাহবাগী বলা বন্ধ করতে হবে: মাহফুজ আলম পেঁয়াজের দাম না পেয়ে লোকসানের শঙ্কায় পাবনার চাষিরা

সরকারি কর্মকর্তা রেদোয়ানাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন স্বামী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১
  • ১৮০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলু (৩০) নামে গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী মো. দেলোয়ার রহমান মিজান (৪৫)। শনিবার বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে প্রসূতি ওয়ার্ডে এ অমানবিক ঘটনা ঘটে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি সন্ধ্যায় কুমুদিনী হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেদোয়ানার পিতার নাম রফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার রোমানতলা গ্রামে। তার স্বামীর নাম মো. দেলোয়ার রহমান মিজান। তিনি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

জানা যায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয়ে দীর্ঘ দিন মনোমালিন্য ছিল। গত ২২ মার্চ প্রসব ব্যথা নিয়ে খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলু হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ দিনের শিশু কন্যা রয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তার স্বামী মিজান কুমুদিনী হাসপাতালে আসে স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে দেখতে। স্ত্রীকে হত্যা করে ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপংকর ঘোষ, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রিজাউল হক শেখী দিপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেশ ভৌমিক লিটন বলেন, হাসপাতালে প্রতিটি ওয়ার্ডে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রসূতি রেদোয়ানার স্বামী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর দরজা লগ করে পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন গাফিলতি নেই।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, জেলা কালচারাল কর্মকর্তার হত্যার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে জেলা পর্যায়ে মীমাংসার চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে এসে স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। ঘাতক স্বামী মিজানের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপংকর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে রেদোয়ানার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইটনার ধনপুরে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল

সরকারি কর্মকর্তা রেদোয়ানাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন স্বামী

আপডেট টাইম : ০৯:৩১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মার্চ ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলু (৩০) নামে গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী মো. দেলোয়ার রহমান মিজান (৪৫)। শনিবার বিকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালে প্রসূতি ওয়ার্ডে এ অমানবিক ঘটনা ঘটে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি সন্ধ্যায় কুমুদিনী হাসপাতালে পরিদর্শনে এসে স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রেদোয়ানার পিতার নাম রফিকুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার রোমানতলা গ্রামে। তার স্বামীর নাম মো. দেলোয়ার রহমান মিজান। তিনি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

জানা যায়, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে নানা বিষয়ে দীর্ঘ দিন মনোমালিন্য ছিল। গত ২২ মার্চ প্রসব ব্যথা নিয়ে খন্দকার রেদোয়ানা ইসলাম ইলু হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ দিনের শিশু কন্যা রয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে তার স্বামী মিজান কুমুদিনী হাসপাতালে আসে স্ত্রী ও শিশু কন্যাকে দেখতে। স্ত্রীকে হত্যা করে ঘাতক স্বামী পালিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপংকর ঘোষ, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. হাফিজুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রিজাউল হক শেখী দিপু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেশ ভৌমিক লিটন বলেন, হাসপাতালে প্রতিটি ওয়ার্ডে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রসূতি রেদোয়ানার স্বামী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর দরজা লগ করে পালিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন গাফিলতি নেই।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, জেলা কালচারাল কর্মকর্তার হত্যার ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিল দীর্ঘ দিনের। এ নিয়ে জেলা পর্যায়ে মীমাংসার চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালে এসে স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। ঘাতক স্বামী মিজানের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপংকর ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে রেদোয়ানার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।