ঢাকা ০৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বিশ্বে এবার যমজ শিশু জন্মের রেকর্ড

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১
  • ১৯৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এই প্রথমবারের মতো যমজ শিশু জন্মের রেকর্ড সৃষ্টি হলো বিশ্বে। শুক্রবার প্রকাশিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’ গবেষণায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮০ সালের পর থেকে বিশ্বের ১০০টি দেশে যমজ শিশু জšে§র হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দেশগুলোতে ৪২ জনের মধ্যে একজন যমজ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছেন। যা বছরে ১৬ লাখ যমজ শিশুর সমতুল্য। গার্ডিয়ান

নিবন্ধটির সহ-লেখক ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টিয়ান মনডেন বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে যমজ শিশুর সংখ্যা এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে, গত ৫০ বছরে এমনটা আর দেখা যায়নি।

বিশেষ করে গত ৪০-৫০ বছরে যমজ সন্তান জন্মের হার ধনী ও উন্নয়নশীল সব দেশেই বৃদ্ধি পেয়েছে।’ একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু যখন স্বাচ্ছন্দ্যে বিভক্ত হয় তখন প্রাকৃতিকভাবে যমজ শিশু জন্মগ্রহণ করে।

অথবা বাবা-মা যখন একসঙ্গে দুটি ডিম নিষিক্ত করেন তখন অভিন্ন যমজ শিশু জন্ম নেয়। কিন্তু বেশির ভাগ যমজই এখন চিকিৎসাগত কারণে জন্মগ্রহণ করছেন। এর পেছনে রয়েছে ডিম্বাশয়ের সক্রিয়তা বাড়ানো, প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি, হরমোনাল ও আইভিএফের মাধ্যমে একই সময়ে গর্ভে ভ্রুণ স্থানান্তরিত হওয়ার মতো চিকিৎসা।

গবেষণায় উঠে আসে, গত ৪০ বছরে গড়ে বৈশ্বিক যমজ শিশু জন্মের হার এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অঞ্চল ভিত্তিতে উত্তর আমেরিকায় এই হার ৭১ শতাংশ, ইউরোপে ৬০ শতাংশ, এশিয়ায় ৩২ শতাংশ। দুটি ভিন্ন ডিম্বাণু থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর হার শীর্ষে আফ্রিকা।

দেখা গেছে ৮০ শতাংশ ভিন্ন ডিম্বাণুজাত যমজই আফ্রিকা বা এশিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছেন। ব্রিটিশ ফার্টিলিটি সোসাইটির চেয়ারম্যান রাজ মার্থার বলেন, ‘সন্তান উৎপাদনশীলতার মতো চিকিৎসা বৃদ্ধি। বেশি বয়সে নারীদের প্রথম সন্তান গ্রহণের কারণে যমজ শিশু জন্মের হার বাড়ছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একসাথে সাকিব-তামিম

বিশ্বে এবার যমজ শিশু জন্মের রেকর্ড

আপডেট টাইম : ১০:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মার্চ ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এই প্রথমবারের মতো যমজ শিশু জন্মের রেকর্ড সৃষ্টি হলো বিশ্বে। শুক্রবার প্রকাশিত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’ গবেষণায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮০ সালের পর থেকে বিশ্বের ১০০টি দেশে যমজ শিশু জšে§র হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দেশগুলোতে ৪২ জনের মধ্যে একজন যমজ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছেন। যা বছরে ১৬ লাখ যমজ শিশুর সমতুল্য। গার্ডিয়ান

নিবন্ধটির সহ-লেখক ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রিস্টিয়ান মনডেন বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে যমজ শিশুর সংখ্যা এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে, গত ৫০ বছরে এমনটা আর দেখা যায়নি।

বিশেষ করে গত ৪০-৫০ বছরে যমজ সন্তান জন্মের হার ধনী ও উন্নয়নশীল সব দেশেই বৃদ্ধি পেয়েছে।’ একটি নিষিক্ত ডিম্বাণু যখন স্বাচ্ছন্দ্যে বিভক্ত হয় তখন প্রাকৃতিকভাবে যমজ শিশু জন্মগ্রহণ করে।

অথবা বাবা-মা যখন একসঙ্গে দুটি ডিম নিষিক্ত করেন তখন অভিন্ন যমজ শিশু জন্ম নেয়। কিন্তু বেশির ভাগ যমজই এখন চিকিৎসাগত কারণে জন্মগ্রহণ করছেন। এর পেছনে রয়েছে ডিম্বাশয়ের সক্রিয়তা বাড়ানো, প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি, হরমোনাল ও আইভিএফের মাধ্যমে একই সময়ে গর্ভে ভ্রুণ স্থানান্তরিত হওয়ার মতো চিকিৎসা।

গবেষণায় উঠে আসে, গত ৪০ বছরে গড়ে বৈশ্বিক যমজ শিশু জন্মের হার এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অঞ্চল ভিত্তিতে উত্তর আমেরিকায় এই হার ৭১ শতাংশ, ইউরোপে ৬০ শতাংশ, এশিয়ায় ৩২ শতাংশ। দুটি ভিন্ন ডিম্বাণু থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর হার শীর্ষে আফ্রিকা।

দেখা গেছে ৮০ শতাংশ ভিন্ন ডিম্বাণুজাত যমজই আফ্রিকা বা এশিয়াতে জন্মগ্রহণ করেছেন। ব্রিটিশ ফার্টিলিটি সোসাইটির চেয়ারম্যান রাজ মার্থার বলেন, ‘সন্তান উৎপাদনশীলতার মতো চিকিৎসা বৃদ্ধি। বেশি বয়সে নারীদের প্রথম সন্তান গ্রহণের কারণে যমজ শিশু জন্মের হার বাড়ছে।’