ঘোষিত জাতীয় প্রেসক্লাবের কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি। কমিটির পক্ষে সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ছাড়াই জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের একটি অংশ নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেছে। হঠাৎ করে ডাকা দ্বি বার্ষিক সভা থেকে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শফিকুর রহমানকে সভাপতি ও কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থক সাংবাদিকদের প্রাধান্য রেখে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক হিসেবে পরিচিত কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন। তবে এই সাধারণ সভায় একশ’র কম সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকালে ঘোষিত এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ ৬০ বছরের ঐতিহ্যলালিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেসক্লাব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঐকান্তিক আগ্রহ, আন্তরিকতা এবং অঙ্গীকার থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভবপর হয়নি। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেবলমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই এক কমিটির কাছ থেকে আরেক কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রথা রয়েছে। এর কোন রূপ ব্যত্যয় এবং লংঘন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ এবং দেশের সাংবাদিক সমাজ কোন ভাবেই মেনে নেবে না।
প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির গত ২৫ ও ২৬ মে ২০১৫ অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ২৭ জুন ২০১৫ অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভার আলোচ্য বিষয় দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্লাবের স্বত্বাধিকারী বা মালিক যেহেতু স্থায়ী সদস্যবৃন্দ, সুতরাং তাদের সম্মিলিত প্রজ্ঞা, দায়িত্বশীলতা এবং সংকট নিরসনের আন্তরিক প্রয়াসের উপর ব্যবস্থাপনা কমিটি সব সময়ই আস্থাশীল। আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠেয় অতিরিক্ত সাধারণ সভাতেই সংকট নিরসনের পন্থা বের করা এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এই অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে অন্য কারো পক্ষে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা করার নৈতিক ও আইনগত কোনো এখতিয়ার বা বৈধতা নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি সুষ্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছে যে, ২৮ শে মে ২০১৫ তারিখে কোনো দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা নির্ধারিত ছিল না। ইতিপূর্বে আহুত সভাটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বাতিল করা হয়েছে এবং সাধারণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা সদস্যদের এর মধ্যেই অবহিত করা হয়েছে। কাজেই দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার নামে যারা তথাকথিত একটি সভা করেছেন তা গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লংঘন এবং ক্লাবের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিপন্থী। একই সঙ্গে তা জাতীয় গণতন্ত্র এবং প্রেস ক্লাবের স্বার্থ ও ঐক্য বিরোধী। এটা ক্লাবের অখ-তা এবং সাংবাদিক সমাজের বৃহত্তর ঐক্য বিনষ্ট করবে এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। ক্লাব পরিচালনা করে ক্লাবের বৈধ কমিটি। ২৭ জুন ২০১৫ এর অতিরিক্ত সাধারন সভাই ক্লাবের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে। তাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সকল স্থায়ী সদস্যের প্রতি আমাদের আবেদন ক্লাবের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও অখণ্ডতা রক্ষার ব্যাপারে আপনারা যার যার অবস্থান থেকে বলিষ্ঠ ও দৃঢ় ভূমিকা পালন করুন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন ছাড়াই জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যদের একটি অংশ নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি ঘোষণা করেছে। হঠাৎ করে ডাকা দ্বি বার্ষিক সভা থেকে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে শফিকুর রহমানকে সভাপতি ও কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থক সাংবাদিকদের প্রাধান্য রেখে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক হিসেবে পরিচিত কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছেন। তবে এই সাধারণ সভায় একশ’র কম সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকালে ঘোষিত এ কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ ৬০ বছরের ঐতিহ্যলালিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেসক্লাব নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঐকান্তিক আগ্রহ, আন্তরিকতা এবং অঙ্গীকার থাকা সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভবপর হয়নি। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেবলমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই এক কমিটির কাছ থেকে আরেক কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তরের প্রথা রয়েছে। এর কোন রূপ ব্যত্যয় এবং লংঘন জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ এবং দেশের সাংবাদিক সমাজ কোন ভাবেই মেনে নেবে না।
প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির গত ২৫ ও ২৬ মে ২০১৫ অনুষ্ঠিত সভায় আগামী ২৭ জুন ২০১৫ অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভার আলোচ্য বিষয় দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্লাবের স্বত্বাধিকারী বা মালিক যেহেতু স্থায়ী সদস্যবৃন্দ, সুতরাং তাদের সম্মিলিত প্রজ্ঞা, দায়িত্বশীলতা এবং সংকট নিরসনের আন্তরিক প্রয়াসের উপর ব্যবস্থাপনা কমিটি সব সময়ই আস্থাশীল। আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠেয় অতিরিক্ত সাধারণ সভাতেই সংকট নিরসনের পন্থা বের করা এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এই অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে অন্য কারো পক্ষে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা করার নৈতিক ও আইনগত কোনো এখতিয়ার বা বৈধতা নেই।
জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি সুষ্পষ্ট ভাবে জানাচ্ছে যে, ২৮ শে মে ২০১৫ তারিখে কোনো দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা নির্ধারিত ছিল না। ইতিপূর্বে আহুত সভাটি ব্যবস্থাপনা কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বাতিল করা হয়েছে এবং সাধারণ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা সদস্যদের এর মধ্যেই অবহিত করা হয়েছে। কাজেই দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার নামে যারা তথাকথিত একটি সভা করেছেন তা গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লংঘন এবং ক্লাবের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পরিপন্থী। একই সঙ্গে তা জাতীয় গণতন্ত্র এবং প্রেস ক্লাবের স্বার্থ ও ঐক্য বিরোধী। এটা ক্লাবের অখ-তা এবং সাংবাদিক সমাজের বৃহত্তর ঐক্য বিনষ্ট করবে এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। ক্লাব পরিচালনা করে ক্লাবের বৈধ কমিটি। ২৭ জুন ২০১৫ এর অতিরিক্ত সাধারন সভাই ক্লাবের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে। তাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সকল স্থায়ী সদস্যের প্রতি আমাদের আবেদন ক্লাবের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য ও অখণ্ডতা রক্ষার ব্যাপারে আপনারা যার যার অবস্থান থেকে বলিষ্ঠ ও দৃঢ় ভূমিকা পালন করুন।