ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা শমী কায়সারের ব্যাংক হিসাব তলব আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা

প্রতিদিন যেসব প্রশ্নের মুখোমুখী হন আমেরিকান মুসলিমরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
  • ২৮৮ বার

প্রতিনিয়ত নানা ধরণের প্রশ্নের মুখোমুখী হতে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের। ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে এসব প্রশ্ন করা হচ্ছে। এমনকি স্কুলের শিশুদের প্রতিও তার সহপাঠিরা ওই সব প্রশ্ন তুলেছে। যা রীতিমতো আপত্তি ও অবমাননাকর। কিন্তু মুসলিমদের প্রতি অন্যদের কেন এই ধর্মীয় বিদ্বেষ, অসাংবিধানিক, অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক আচরণ?

দেশটির বিভিন্ন স্থানে একের পর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে নানা ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের।

এমনকি ঢালাওভাবে অনেকে সমালোচনা করছেন মুসলিমদের। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাতেও এমন মন্তব্য শোনা গেছে। তবে মুসলিমদের অনেকেই মনে করেন মিডিয়ার কারণেই মুসলিমদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে সেখানে ।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি স্কুলের শিক্ষার্থী দুই ভাইবোন লানা আর লেইফ। লেইফ বলেন, আমাকে অনেক সময় মানুষ প্রশ্ন করে, ওহ তুমি মুসলিম? তুমি কোথা থেকে এসেছো? কিন্তু ইসলাম কি কোন দেশের? সারা বিশ্বেই তো মুসলিমরা আছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারা সংস্কৃতিতে কিভাবে ইসলামকে দেখা হচ্ছে বা চিত্রিত করা হচ্ছে এটি সবার জানা। সে কারণে কি তাদের মধ্যে কোন ভয় কাজ করছে? লেইফ বলেন, আমি ভীত আমার দেশ আমেরিকার জন্যে। আমি ভীত সন্ত্রাসী হামলার হয় কিনা সেটা নিয়ে।

স্কুলে বাচ্চাদের যখন পড়াশোনার বিরতি চলছিলো তখন কয়েকজন নারীর সাথে কথা বলেছেন সংবাদদাতা। সুদান থেকে আসা হিন্দ আর আমাল জানালেন, তিনি স্কুলে এসে হিজাব পড়েন কিন্তু বাইরেও সেটি পড়েন না।

তিনি বলেন, কারণ আমি ভয় পাই। সবাই তাকায় ওহ তুমি মুসলিম। মিডিয়া মানুষকে এমনভাবে ভীত করে তুলেছে। এমনকি স্কুলে আমার বাচ্চাকে একজন বলেছে তুমি মুসলিম, তাহলে তুমি সন্ত্রাসী। এমনকি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণাতেও এসেছে এমন কথা। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা মুসলিমদের জন্যে আসলেই কঠিন।

নাইজার থেকে আসা রাবেয়া বলছেন, আমার বাচ্চা স্কুলে যায় এবং সে হিজাব পড়ে। একদিন তার ক্লাসমেট বলো মুসলিমরা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোমা মেরেছে। এরপর থেকে আমি আর তাকে হিজাব পড়তে দেই না। তবে ভিন্নমতও রয়েছে কারও কারও মধ্যে।

মিশরের মারওয়া বলেন, এটি সত্যি সেপ্টেম্বর ১১’র পর অনেক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আমার বাচ্চা স্কুলে পড়তো এবং ভয় পাচ্ছিলাম মুসলিম নামের জন্যে কোন সমস্যা হয় কিনা। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে তেমন কিছু হয়নি । এটি আসলে পুরোটাই মিডিয়ার সৃষ্টি।

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের অনেকেই মনে করেন তাদের মুসলিম হিসেবে বিবেচনা না করে আমেরিকান হিসেবে বিবেচনা করলেও আর কোন সমস্যা থাকেনা। কেউ কেউ বলেন ইসলাম বিষয়ে সবাইকে বোঝাতে যাতে করে অন্যরা বুঝতে পারে ইসলাম কি এবং আমরা কি বিশ্বাস করি।-বিবিসি

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

প্রতিদিন যেসব প্রশ্নের মুখোমুখী হন আমেরিকান মুসলিমরা

আপডেট টাইম : ১০:০৯:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

প্রতিনিয়ত নানা ধরণের প্রশ্নের মুখোমুখী হতে হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের। ঘরে-বাইরে, কর্মস্থলে এসব প্রশ্ন করা হচ্ছে। এমনকি স্কুলের শিশুদের প্রতিও তার সহপাঠিরা ওই সব প্রশ্ন তুলেছে। যা রীতিমতো আপত্তি ও অবমাননাকর। কিন্তু মুসলিমদের প্রতি অন্যদের কেন এই ধর্মীয় বিদ্বেষ, অসাংবিধানিক, অনৈতিক ও বৈষম্যমূলক আচরণ?

দেশটির বিভিন্ন স্থানে একের পর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এসেছে নানা ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের।

এমনকি ঢালাওভাবে অনেকে সমালোচনা করছেন মুসলিমদের। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাতেও এমন মন্তব্য শোনা গেছে। তবে মুসলিমদের অনেকেই মনে করেন মিডিয়ার কারণেই মুসলিমদের সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়েছে সেখানে ।

নিউ হ্যাম্পশায়ারের একটি স্কুলের শিক্ষার্থী দুই ভাইবোন লানা আর লেইফ। লেইফ বলেন, আমাকে অনেক সময় মানুষ প্রশ্ন করে, ওহ তুমি মুসলিম? তুমি কোথা থেকে এসেছো? কিন্তু ইসলাম কি কোন দেশের? সারা বিশ্বেই তো মুসলিমরা আছে।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারা সংস্কৃতিতে কিভাবে ইসলামকে দেখা হচ্ছে বা চিত্রিত করা হচ্ছে এটি সবার জানা। সে কারণে কি তাদের মধ্যে কোন ভয় কাজ করছে? লেইফ বলেন, আমি ভীত আমার দেশ আমেরিকার জন্যে। আমি ভীত সন্ত্রাসী হামলার হয় কিনা সেটা নিয়ে।

স্কুলে বাচ্চাদের যখন পড়াশোনার বিরতি চলছিলো তখন কয়েকজন নারীর সাথে কথা বলেছেন সংবাদদাতা। সুদান থেকে আসা হিন্দ আর আমাল জানালেন, তিনি স্কুলে এসে হিজাব পড়েন কিন্তু বাইরেও সেটি পড়েন না।

তিনি বলেন, কারণ আমি ভয় পাই। সবাই তাকায় ওহ তুমি মুসলিম। মিডিয়া মানুষকে এমনভাবে ভীত করে তুলেছে। এমনকি স্কুলে আমার বাচ্চাকে একজন বলেছে তুমি মুসলিম, তাহলে তুমি সন্ত্রাসী। এমনকি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারণাতেও এসেছে এমন কথা। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা মুসলিমদের জন্যে আসলেই কঠিন।

নাইজার থেকে আসা রাবেয়া বলছেন, আমার বাচ্চা স্কুলে যায় এবং সে হিজাব পড়ে। একদিন তার ক্লাসমেট বলো মুসলিমরা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোমা মেরেছে। এরপর থেকে আমি আর তাকে হিজাব পড়তে দেই না। তবে ভিন্নমতও রয়েছে কারও কারও মধ্যে।

মিশরের মারওয়া বলেন, এটি সত্যি সেপ্টেম্বর ১১’র পর অনেক প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আমার বাচ্চা স্কুলে পড়তো এবং ভয় পাচ্ছিলাম মুসলিম নামের জন্যে কোন সমস্যা হয় কিনা। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে তেমন কিছু হয়নি । এটি আসলে পুরোটাই মিডিয়ার সৃষ্টি।

যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিমদের অনেকেই মনে করেন তাদের মুসলিম হিসেবে বিবেচনা না করে আমেরিকান হিসেবে বিবেচনা করলেও আর কোন সমস্যা থাকেনা। কেউ কেউ বলেন ইসলাম বিষয়ে সবাইকে বোঝাতে যাতে করে অন্যরা বুঝতে পারে ইসলাম কি এবং আমরা কি বিশ্বাস করি।-বিবিসি