ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১০১ বছরে মা হয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন বিশ্বকে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • ২১৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিটা মে’য়ের মনের ইচ্ছা থাকে মা হবার। সব ইচ্ছাগু’লির মধ্যে এই ইচ্ছাটাই প্রাধান্য পায়। সব মে’য়ে চায় সঠিক সময়ে মা হতে। নিজে’র স’ন্তানের মুখে মা ডাক শোনার জন্য সব মে’য়েরাই ব্যাকুল ভাবে অ’পেক্ষা করে থাকে।

কিন্তু অনেকের সেই ইচ্ছা পূরণ হয় আবার কারোর হয়না।অনেকে আবার সঠিক বয়সে মা হতে না পারলেও অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত মা হওয়ার চেষ্টা চা’লিয়ে যায়।বেশি বয়সে মা হওয়া খুবই ঝুকিপুর্ন। ১০ মাস ১০ দিন একটা প্রা’ণকে নিজে’র শ’রীরে রাখা বেশি বয়সে খুব আশ’ঙ্কাজনক। কিন্তু অনেকেই সেই প্রতিকূলতাকে জয় করেও বেশি বয়সে মা হয়েছেন।

এতদিন সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার কৃতিত্ব ছিল দক্ষিন আফ্রিকাবাসী মালেগওয়ালে রামোকগোপা নামক এক ম’হিলার। তিনি ৯২ বছর বয়সে নিজে’র জ’ন্ম’দিনের ঠিক ৩দিন পর তার ২৫ ও ২৬ তম স’ন্তানের জ’ন্ম দেন।এই ঘ’টনাটি ঘ’টেছিলো ১৯৩১ সালে। তারপর কে’টে গেছে আরো ৯ দশক।এতদিন কেউ ঐ বয়সে মা হওয়ার ঝুঁ’কি নেননি। কিন্তু সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ১০১ বছর বয়সে মা হলেন ইতালির এক ম’হিলা।

তিনি আগেই ১৬ টি স’ন্তানের মা। তবুও তিনি এই বয়সে এসে মা হওয়ার ইচ্ছা প্র’কাশ ক’রেছেন। আনাতোলিয়া ভার্তাদেলারম হল সেই ম’হিলার নাম।তার মা হওয়ার প্রক্রিয়া খুব সহ’জ ছিলোনা। তার স্বা’মী মা’রা গেছেন বেশ কিছু বছর আগেই।এই বয়সে এসে তার হঠাত ইচ্ছা জাগে মা হওয়ার। আর তারপর থেকেই তিনি ইন্টারনেটের সাহায্যে খুঁজে বার করেন এক স্পার্ম ডোনারকে এবং তাকে লিখিত দেন যে- ”আমি তোমাকে আমা’র স্বা’মী হিসাবে দা’বি করবোনা আর আমি আমা’র স’ন্তানের বাবা হিসাবেও কখনও তোমাকে দা’বি করবোনা।

আমি আমা’র মৃ’ত স্বা’মীকেই ভালোবাসি।”তারপর সেই ডোনার রাজি হয়ে যায় আর ডিম্বানু প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তিনি অবশেষে মা হন। তবে তার এই মা হওয়ার ঘ’টনাটি খুব একটা ভালো চোখে দেখেননি ইতালিবাসী। মা হওয়ার পরেই বহু স’মালোচনার মুখে পড়তে হয় সেই ম’হিলাকে।কারণ ইউরোপের দেশগু’লিতে ডিম্বানু প্রতিস্থাপন একটি আ’ইনত দ’ণ্ডনীয় অ’পরাধ। তিনি অ’স্ত্রপ্র’চার করিয়েছেন তুরস্কের একটি বেস’রকারি নার্সিংহোমে। সেই নার্সিংহোমটি ইউরোপের সব আ’ইনের বাইরে।

সেই বৃ’দ্ধা ম’হিলা কোন বা’ধাই মানেননি। তিনি ধ’ন্যবাদ জা’নিয়েছেন ঐ নার্সিংহোমের সমস্ত চিকি’ৎসকদের। তিনি কাউকে সেই নার্সিংহোমের নাম জা’নাননি। সব শেষে তিনি জা’নিয়েছেন যে তিনি এবং তার স’ন্তান বর্তমানে খুব ভালো আছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

১০১ বছরে মা হয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন বিশ্বকে

আপডেট টাইম : ০৩:২৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিটা মে’য়ের মনের ইচ্ছা থাকে মা হবার। সব ইচ্ছাগু’লির মধ্যে এই ইচ্ছাটাই প্রাধান্য পায়। সব মে’য়ে চায় সঠিক সময়ে মা হতে। নিজে’র স’ন্তানের মুখে মা ডাক শোনার জন্য সব মে’য়েরাই ব্যাকুল ভাবে অ’পেক্ষা করে থাকে।

কিন্তু অনেকের সেই ইচ্ছা পূরণ হয় আবার কারোর হয়না।অনেকে আবার সঠিক বয়সে মা হতে না পারলেও অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত মা হওয়ার চেষ্টা চা’লিয়ে যায়।বেশি বয়সে মা হওয়া খুবই ঝুকিপুর্ন। ১০ মাস ১০ দিন একটা প্রা’ণকে নিজে’র শ’রীরে রাখা বেশি বয়সে খুব আশ’ঙ্কাজনক। কিন্তু অনেকেই সেই প্রতিকূলতাকে জয় করেও বেশি বয়সে মা হয়েছেন।

এতদিন সবচেয়ে বেশি বয়সে মা হওয়ার কৃতিত্ব ছিল দক্ষিন আফ্রিকাবাসী মালেগওয়ালে রামোকগোপা নামক এক ম’হিলার। তিনি ৯২ বছর বয়সে নিজে’র জ’ন্ম’দিনের ঠিক ৩দিন পর তার ২৫ ও ২৬ তম স’ন্তানের জ’ন্ম দেন।এই ঘ’টনাটি ঘ’টেছিলো ১৯৩১ সালে। তারপর কে’টে গেছে আরো ৯ দশক।এতদিন কেউ ঐ বয়সে মা হওয়ার ঝুঁ’কি নেননি। কিন্তু সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ১০১ বছর বয়সে মা হলেন ইতালির এক ম’হিলা।

তিনি আগেই ১৬ টি স’ন্তানের মা। তবুও তিনি এই বয়সে এসে মা হওয়ার ইচ্ছা প্র’কাশ ক’রেছেন। আনাতোলিয়া ভার্তাদেলারম হল সেই ম’হিলার নাম।তার মা হওয়ার প্রক্রিয়া খুব সহ’জ ছিলোনা। তার স্বা’মী মা’রা গেছেন বেশ কিছু বছর আগেই।এই বয়সে এসে তার হঠাত ইচ্ছা জাগে মা হওয়ার। আর তারপর থেকেই তিনি ইন্টারনেটের সাহায্যে খুঁজে বার করেন এক স্পার্ম ডোনারকে এবং তাকে লিখিত দেন যে- ”আমি তোমাকে আমা’র স্বা’মী হিসাবে দা’বি করবোনা আর আমি আমা’র স’ন্তানের বাবা হিসাবেও কখনও তোমাকে দা’বি করবোনা।

আমি আমা’র মৃ’ত স্বা’মীকেই ভালোবাসি।”তারপর সেই ডোনার রাজি হয়ে যায় আর ডিম্বানু প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তিনি অবশেষে মা হন। তবে তার এই মা হওয়ার ঘ’টনাটি খুব একটা ভালো চোখে দেখেননি ইতালিবাসী। মা হওয়ার পরেই বহু স’মালোচনার মুখে পড়তে হয় সেই ম’হিলাকে।কারণ ইউরোপের দেশগু’লিতে ডিম্বানু প্রতিস্থাপন একটি আ’ইনত দ’ণ্ডনীয় অ’পরাধ। তিনি অ’স্ত্রপ্র’চার করিয়েছেন তুরস্কের একটি বেস’রকারি নার্সিংহোমে। সেই নার্সিংহোমটি ইউরোপের সব আ’ইনের বাইরে।

সেই বৃ’দ্ধা ম’হিলা কোন বা’ধাই মানেননি। তিনি ধ’ন্যবাদ জা’নিয়েছেন ঐ নার্সিংহোমের সমস্ত চিকি’ৎসকদের। তিনি কাউকে সেই নার্সিংহোমের নাম জা’নাননি। সব শেষে তিনি জা’নিয়েছেন যে তিনি এবং তার স’ন্তান বর্তমানে খুব ভালো আছেন।